Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফের ইভিএম বিতর্ক, সন্দেহ দূর করে আস্থা অর্জন জরুরি

জুয়েল সরকার
১১ মে ২০২২ ১৪:৩৩

দেশে হঠাৎ জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ক্ষেত্রে যখন বিরোধীদের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছিল; তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ঘোষণা অল্পবিস্তর আশার আলো দেখিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি সংসদীয় সব আসনেই ভোট গ্রহণের ডিজিটাল যন্ত্র ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কথা বলেছেন। বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মূলত এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই।

বিজ্ঞাপন

যদিও ইভিএম নিয়ে এই বিতর্ক বহু পুরনো। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের ভোটে যতবার এই মেশিন ব্যবহৃত হয়েছে ততবারই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি উপেক্ষা করে ২০১০ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে বিগত এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন শামসুল হুদা কমিশনের চালু করা ম্যানুয়াল ইভিএম বাতিল করে নিজেরাই ফিঙ্গারপ্রিন্টযুক্ত ইভিএম তৈরি করে। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬টি আসনে (ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২, রংপুর-৩ ও সাতক্ষীরা-২) ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর যতবারই ইভিএমে ভোটের কথা এসেছে, এর বিরোধিতা করেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। আর এর পক্ষে জোরালো সমর্থন দিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের যুক্তি- এটি ভোট গ্রহণের আধুনিক পদ্ধতি, ফল গণনাও সহজ। তবে বিরোধী দলগুলোর দাবি- এই মেশিনে সহজেই কারচুপি করা যায় এবং ফল পাল্টে দেয়া সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে এই যন্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় এটি নিয়ে ইসিও খুব একটা জল ঘোলা করেনি এতদিন। তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে- প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এমন ইঙ্গিতে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে ভোট গ্রহণের এই ডিজিটাল যন্ত্রটি।

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসিও এরইমধ্যে ইভিএমে ভোট নেয়ার প্রক্রিয়া সম্প্রসারণের কথা বলছেন। তবে ইসি বলছে, ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস আছে, তারা আগে সেটা দূর করতে চায়। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ পটভূমিতে ধরে নেয়াই যায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব না হলেও অধিকাংশ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। ইসিও বলছে অন্তত ১৩০ আসনে ইভিএমে ভোটের কথা। যদিও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো ইভিএমের কারিগরি ত্রুটির কথা বলছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির সংলাপে অংশ নেয়া বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের অধিকাংশই বিতর্ক থাকায় এই মেশিন দিয়ে ভোট না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তারপরও কেন ভোটগ্রহণ যন্ত্রনির্ভর হবে, কি রহস্য লুকিয়ে আছে এই মেশিনটিতে-এমন প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে।

শুধু বাংলাদেশেই নয় ইভিএম নিয়ে দেশে দেশে বিতর্ক রয়েছে। ভোটদানের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা না থাকায় অনেক দেশ ইভিএম পরিত্যাগ করেছে। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে পৃথিবীর যতগুলো দেশ ইভিএম গ্রহণ করেছে, তার চেয়ে বেশি দেশ ইভিএম বাতিল করেছে। বাতিল করেছে এমন দেশের তালিকায় আছে জার্মানি, স্পেন, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নরওয়ে, ভেনেজুয়েলা, ইউক্রেন, মালয়েশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো রাজ্য। সম্প্রতি ভারতেও বিরোধী দলগুলো ইভিএমের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে। বর্তমানে পুরোপুুরি ইভিএম চালু আছে শুধুমাত্র ভারত, ব্রাজিল, ফিলিপাইন এবং এস্তোনিয়ায়।

বিভিন্ন নিবন্ধ ও তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, ভোটব্যবস্থাপনাকে সহজতর করার লক্ষ্য থেকেই সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতি চালু হয়। ইভিএম পদ্ধতির সময়কাল প্রায় ৬০ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিশ্বের কোনো দেশেই পুরোপুরি মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি এটি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪টি দেশ ইভিএম ব্যবহার বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ১৪টি দেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। ১১টি দেশে আংশিক ব্যবহার হচ্ছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ৫টি দেশে। ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকার অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে মাত্র যে ৪টি দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, সে সব দেশেও এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা আছে।

উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে ইভিএমের গ্রহণযোগ্য ব্যবহার ঘটেনি। শতকরা ৯০ ভাগ দেশে ইভিএম পদ্ধতি নেই। যে কয়েকটি দেশ এটি চালু করেছিল তারাও এখন এটি নিষিদ্ধ করেছে। আয়ারল্যান্ডও ২০০২-২০০৪ সালে ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিতর্কের মুখে দুটি কমিশন গঠন করে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইভিএম যন্ত্র বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রযুক্তিগত রক্ষাকবচ অপ্রতুল। ২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ড পরিত্যাগ করে। জার্মানির ফেডারেল কোর্ট ইভিএমকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেয়।

২০০৯ সালে ফিনল্যান্ডের সুপ্রিমকোর্ট ৩টি মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের ফলাফল অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করে। ২০০৭ সালে নেদারল্যান্ডস ইভিএম ব্যবস্থা বাতিল করেছে কারচুপির কারণে নয়, বরং এই মেশিন টেম্পারিং করা যাবে না—এ ধরনের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না বলে। ড. অ্যালেক্স হালডারমেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ইভিএমের ওপর গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন, আমেরিকায় ইভিএম টেম্পারপ্রুফ নয়। ফলে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

আমাদের দেশেও ব্যবহৃত ইভিএমে বিভিন্ন ত্রুটি দেখা গিয়েছে। ইতঃপূর্বে যেসব স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তাতে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার গতি মন্থর হয়ে পড়ায় এবং অনেক কেন্দ্রে ইভিএম বিড়ম্বনার কারণে কিছু ভোটার ভোট দিতে পারেননি। এছাড়া আঙুলের ছাপ না মেলায় অনেকে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। ফলে নির্বাচনে ভোট পড়েছে কম। স্পষ্টতই এসব ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ ও নিুমানের বলে প্রতীয়মান হয়েছে সবার কাছে।

তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা বারবার বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ও ভোটারদের আস্থা অর্জন ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা উচিত হবে না। এজন্য ভোটারদের সন্দেহ দূর করে আস্থায় ফেরানোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। ইভিএমের মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে নির্বাচনে কারচুপি করার সুযোগ আছে বলে মনে করেন অনেক ভোটার। ভোটারদের এ সন্দেহ দূর করা না গেলে ইভিএমে ভোটগ্রহণের পর নির্বাচনের ফলাফল বিতর্কিত হতে পারে।

বস্তুত ভোটগ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি যে ত্রুটিমুক্ত নয়, তা বিভিন্ন দেশে প্রমাণিত একথা বলাই বাহুল্য। এ কারণে অনেক দেশে ইভিএমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যে, ভোটপ্রদানের সঙ্গে সঙ্গে একটি কাগজের স্লিপ বেরিয়ে আসে এবং সেটি ব্যালট বাক্সে ফেলা হয়। অর্থাৎ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য দুই ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে। এজন্য পছন্দের প্রার্থীকে দেওয়া ভোট মেশিনের পাশাপাশি ছাপা কাগজেও যাতে সংরক্ষিত হয় এবং ভোটদাতা তার প্রমাণ পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে। সব মিলে এ ক্ষেত্রে একটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকা প্রয়োজন।

তবে ইভিএম ভোট গ্রহণের একটি পদ্ধতি মাত্র। যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা না যায় এবং হৃত আস্থা পুনরুদ্ধারে নতুন নির্বাচন কমিশন দৃষ্টান্ত দাঁড় করাতে না পারে, তাহলে যে পদ্ধতিতেই নির্বাচন হোক না কেন; এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন-বিতর্ক নিরসন করা যাবে না। নতুন নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষাটা হলো- তাদের যে মুখ্য কাজ প্রশ্নমুক্ত, স্বচ্ছ নির্বাচন করা এবং নির্বাচনে অংশীজন সবার অধিকারে মাঠ সমতল রাখা; সে ক্ষেত্রে তারা শতভাগ সফল কিনা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তাদের প্রস্তুতি কতটা আছে কিংবা তারা কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব রক্ষায় এসব বিষয় তাদের কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কী হবে এবং সবার অংশগ্রহণ যাতে নিশ্চিত হয় এ জন্য ক্ষমতাসীনদের তরফে সর্বাগ্রে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রেষারেষি নয়; পরমতসহিষুষ্ণতাই মুখ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এসব ক্ষেত্রে আমাদের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখিই হতে হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোনো দলীয় সরকারের অধীনে প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন তো হয়ইনি; উপরন্তু কোনো কোনো নির্বাচন- বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। কাজেই নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে ঐকমত্যে না পৌঁছে নির্বাচনের পথে পা বাড়ালে আরও বেশি নেতিবাচকতা দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। কারণ এসব ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।

গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজনে সর্বাগ্রে স্বচ্ছ, প্রশ্নমুক্ত, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই হবে। পরস্পরকে উদার মনোভাব নিয়ে আলোচনায় বসে প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে। সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার চেষ্টা চালানোর যে কথা বলেছেন; এ জন্য আগে দরকার সরকারি দল বা জোটের ঐকান্তিক সদিচ্ছা। ইভিএম পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে, নাকি ব্যালট পেপারের মাধ্যমে; তাও ওই আলোচনাতেই চূড়ান্ত করা সম্ভব।

ইভিএম বিতর্ক যেমন নতুন নয়; তেমনি অস্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কও পুরোনো। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক এবং প্রশ্নমুক্ত না হয়, তাহলে যত আধুনিক পদ্ধতিই গ্রহণ করা হোক না কেন; রাজনৈতিক জটিলতা বাড়বে বৈ কমবে না। আমাদের বিভাজিত রাজনীতি জাতীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তো বটেই; একই সঙ্গে জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রেও বড় প্রতিবন্ধক হয়ে আছে। রাজনীতির মাঠ সমতল করে, অধিকাংশ ভোটারের ক্ষেত্রে বৈষম্যের নিরসন ঘটিয়ে জনমনে সৃষ্ট আস্থাহীনতা দূর করে দেশ-জাতির উন্নয়নে সবাইকে শরিক করে এগোতে পারলে এর আরও বড় সুফলভোগী হবো আমরা।

৫০ বছরের বাংলাদেশ আজ অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বিপুল আত্মত্যাগ আর অনেক কিছু হারিয়ে। যে প্রত্যয়ে প্রত্যয়ী হয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম; এত উন্নয়ন সত্ত্বেও আজ সেই প্রত্যয়ের অনেকটাই বিপরীতে রয়েছি নানা দিকে। আমাদের অন্যতম সংকট হচ্ছে আস্থার সংকট। মনে রাখতে হবে- ক্ষমতাসীন সরকারের কর্তব্য আগে সব রাজনৈতিক দল ও ভোটারের আস্থা অর্জনে যাবতীয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা।

লেখক: উন্নয়নকর্মী

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

জুয়েল সরকার ফের ইভিএম বিতর্ক- সন্দেহ দূর করে আস্থা অর্জন জরুরি মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর