শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস
২ আগস্ট ২০২২ ১৪:৫৯
শোকের মাস আগস্ট। জনক হারানোর শোক, মা হারানোর শোক, ভাই হারানোর শোক, বোন হারানোর শোক, সন্তান হারানোর শোক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের পরিণতিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকি রাজনৈতিক বীর্যে জন্ম নেওয়া ঘাতকের গুলিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) সপরিবারে নিহত হন। বিদেশে থাকার কারণে সৌভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। সেই থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের উল্টো পথচলা।
আগস্ট যেমন শোকের মাস তেমনি ষড়যন্ত্রেরও। সেই ষড়যন্ত্রের রেশ এখনও আমরা দেখতে পাই। স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র যেন হয় এই আগস্টেই। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসিত হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি। অনেকেই বলেন, জিয়াউর রহমান হলেন আমাদের রাজনীতির ইতিহাসের অন্যতম শীর্ষ ভিলেন।
বাঙালির জীবনের শোকের মাসটি অতীতকে সামনে নিয়ে আসে। প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হয়। কেন এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ? কেন, কার স্বার্থে, কারা এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে সংশ্লিষ্ট, তারও হদিস মেলে। কিন্তু পূর্ণচিত্র মেলে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। খুনিরা শাস্তি পেয়েছে। তবে হত্যার নেপথ্যে যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র ছিল, সে বিষয়গুলো চাপা পড়ে আছে। সেসব সত্য উদ্ঘাটিত হবেই। কারণ, এই নির্মম পাপ চাপা থাকে না। খুনীদের মুখোশ উন্মোচিত হবেই।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল জাতি। শোকে পাথরপ্রায়। সেদিন দেশব্যাপী মানুষকে অজানা আশঙ্কায় গ্রাস করেছিল। পুরো জাতি যখন নতুন সমাজ ব্যবস্থা ও নতুন সরকার পদ্ধতি প্রচলনের পথে ব্যস্ত, ঠিক তখনই আঘাত হানা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে বাংলাদেশে এক গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল। যার রেশ এখনো বহমান। ঘাতকরা এখনো উদ্যত। তারা মুছে দিতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু এবং তার সৃষ্ট বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে। স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় নানা চক্রান্ত, সন্ত্রাস ও পারস্পরিক হানাহানির মধ্যে জাতির স্থপতির হত্যাকান্ডে সমগ্র রাষ্ট্রীয় কাঠামো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটিকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যে ধারার করাল গ্রাস থেকে জাতি এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি।
দেশি বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ হয়েছেন তার চারপাশের কিছু মানুষও। বৈরি শক্তির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে অবিরাম ষড়যন্ত্র করে গেছেন স্বাধীনতার শত্রুরাও। প্রথমেই ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় ক্ষমতা দখলের পায়তারা শুরু করে হত্যাকারীরা। উঠে পড়ে লেগে যায় দেশ বিদেশে বঙ্গবন্ধু সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে। কিন্তু কোনভাবেই বঙ্গবন্ধুর হিমালয় সমান জনপ্রিয়তায় ফাটল ধরাতে পারেননি। ফলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মিশনে নামে তারা।
পঁচাত্তরের আগস্টেই সব ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। জামায়াত-বিএনপির শাসনামলে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সে হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেলেও কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ চব্বিশজন নিহত হন, আহত হয়েছিলেন শতশত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। ঢাকার হাওয়া ভবনে জিয়াপুত্র তারেক রহমানের উপস্থিতিতে এই গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।
পরের বছর অর্থাৎ ২০০৫ সালের সতেরোই আগস্ট জামায়াতের মদদপুষ্ট জঙ্গী গোষ্ঠী জেএমবির উদ্যোগে সারা দেশের তেষট্টিটি জেলার পাঁচশো স্থানে একযোগে বোমা ফাটিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসের উপস্থিতি ঘোষণা করে। ভাদ্র মাস এলে যেমন রাস্তার কুকুরেরা পাগল হয়ে যায় তেমনি আগস্ট মাস এলে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর অপরাজনীতিবিদরা অস্থির হয়ে ওঠেন। আগস্ট মাসের পনেরো তারিখে তারা তাদের রাজনৈতিক নেত্রী খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন উদযাপন করতেও লজ্জাবোধ করে না।
২০১৮ সালে ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার মিরপুরে পুলিশের ওপর হামলা এবং পরদিন ঝিগাতলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় আক্রমণের চেষ্টা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জামায়াত একের পর এক গুজব ছড়িয়ে সারা দেশ থেকে শিবির ক্যাডারদের ঢাকায় এনেছিল এই শোকের মাসেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করে শিশু-কিশোরদের আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেছিল জামায়াত-বিএনপি। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।
সবশেষ গত বছরের আগস্টেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এবারের ঘটনার স্থান বরিশাল। আগস্টের ১৮ তারিখ। আর পাত্র বঙ্গবন্ধু পরিবারের এক সদস্য বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। যার দাদী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বোন, আর দাদা প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতা ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের সাথে হত্যা করেছিল ঘাতকরা। সেদিন সাদিক আবদুল্লাহ হারিয়েছিলেন তার দাদী, চাচা এবং জ্যেষ্ঠ সহোদরকেও। টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে যাওয়া বরিশালের আলোচিত ঘটনাটিও ষড়যন্ত্রের আগের গল্পগুলোর মতোই। ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকার নানান ধরনের ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারণের অংশ হিসেবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে তারা বাধাগ্রস্ত হয়। ইউএনও কর্তব্যরত আনসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদিষ্ট হয়ে আনসার সদস্যরা মারমুখী হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের রক্ষায় সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এগিয়ে আসেন। এ অবস্থায় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। ইউএনওর নির্দেশে গুলি চালানো হয়। ফলে পরিস্থিতি অধিকতর ঘোলাটে হয়ে যায়। অঘটনের খবর পেয়ে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছেন। তিনি নিজের পরিচয় দেন, সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এক সূত্র বলছেন, সেদিন আসলে গোলাগুলি ঘটানোর জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিল। কিন্তু মেয়র সাদিক কিনারে গেলেও সে ফাঁদে পা দেননি।
বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ১৮ আগস্টের নাটকীয় ঘটনা খুবই পরিকল্পিভাবে ঘটানো হয়েছে। কাগজে-কলমে যা-ই বলা হোক, জনগণের প্রতি আমলাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেছে। অতীতে অনেক উদাহরণ আছে, আমলারা জনগণ তো দূরের কথা, সরকারের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা, বিশ্বস্ততা ভঙ্গ করার একাধিক উদাহরণ আছে। অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতেই হয়। পানি ছাড়া মাছ যেমন তেমনই জনগণ ছাড়া জনপ্রতিনিধি অকল্পনীয়। মেয়র সাদিকের বিষয়টি সেভাবেই দেখতে হবে। বলা বাহুল্য, চূড়ান্ত বিচারে রাজনীতিবিদরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, আমলারা নন। আর ঘটনাস্থলে আনসার বাহিনীর উসকানির মুখে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যে ধৈর্য ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন তা রাজনীতিতে এক দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। তা না হলে সেদিন গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারত। সৌভাগ্যক্রমে তা হয়নি। এর পরও প্রশ্ন হচ্ছে- সব ষড়যন্ত্র আগস্টেই ঘটে কেন?
সাধারণভাবেই জানা কথা, প্রতিটি ঘটনার পেছনেই পরিকল্পনা থাকে, থাকে বিনিয়োগও। বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে বাসন্তীর জাল পরা ছবি পত্রিকায় ছাপা এবং শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কোরবানির পশুর চামড়া কবরের মতো করে মাটি চাপা দেওয়া- এ ধরনের সব ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য ও বিনিয়োগ থাকে। বোধগম্য কারণেই এ ধারার বাইরে নয় ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনওর বাসভবনের ঘটনাবলি।
কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন—‘শেখ মুজিব, পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন প্রশাসন দিয়ে তুমি বাংলাদেশ তৈরি করতে পারবে না, চালাতেও পারবে না। কাপুরুষেরা বীরদের সাফল্যে সবসময় হীনমন্যতা, ঈর্ষাপরায়ণতা ও পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। ফলে বীরোচিত অর্জনের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না, বরং সেই অর্জনকে শেষ করতে পারলেই তারা পুলকিত হয়, যুগে যুগে দেশকাল পাত্রভেদে এটাই দেখা গেছে।’
জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের জড়িত থাকার কথা এখন প্রকাশ্য হয়েছে। এরপর ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের হাত ধরে যে রাজনৈতিক শক্তির পুনরুত্থান ঘটেছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাই ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও দর্শনবিরোধী ভাবধারায়।
আর এ সময়েই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফলকাম হয়েছে। সমসাময়িক প্রজন্মের বৃহৎ একটি অংশের মগজ ধোলাই করে ‘আমার সোনার বাংলা’র পরিবর্তে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে- ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’। পুরো সময়জুড়ে ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তন, উগ্রমৌলবাদী ও জঙ্গিবাদের উত্থান এবং বিস্তারের ইতিহাস। তারা দেশ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। ফলে ক্ষমতার বাইরে থেকেও লক্ষ্য অর্জনে লড়াইটা অব্যাহত রাখতে পারছে।
রাজনীতিতে ব্রেইন-ওয়াশ করে, গুজব রটিয়ে ফায়দা লোটার এই কৌশলটি জামায়াত-বিএনপির জন্য নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের জন্মের সূচনালগ্ন থেকেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বারবার গুজবের আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি সাম্প্রতিককালে যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পাওয়া, মতিঝিলে রাতের অন্ধকারে হেফাজতের হাজার হাজার কর্মী হত্যা করা থেকে এ মাসেই খুন ও ধর্ষণের গুজব রটিয়ে দেশের মানুষের ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। অঘটন ঘটানোর পাশাপাশি এসব গুজব রটনাকারীদের অন্যতম টার্গেট হল বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষগুলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জননেত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও মৌলবাদী-সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দলের গুজবের হাত থেকে রেহাই পায়নি।
এসব চরিত্রহনন এবং গুজবের একটাই লক্ষ্য, দেশে একটা অস্থির হযবরল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে স্বাধীনতার পক্ষের সরকারকে যদি কোনভাবে হটানো যায়। এতকিছুর পরেও গুজব রটনাকারী মৌলবাদী-সন্ত্রাসীদের সাফল্য অত্যন্ত সীমিত। গুজব রটানোর ফলে রাজনীতিতে সাময়িক লাভ হয়, ক্ষতি হয় দীর্ঘমেয়াদী।
আগস্ট শোকের মাস। জনক হারানোর শোক, মা হারানোর শোক, ভাই হারানোর শোক, বোন হারানোর শোক, সন্তান হারানোর শোক। শোক থেকে শক্তি। এই শক্তি বুদ্ধির শক্তি এবং এর রূপ বহুমাত্রিক। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছে বর্তমান সরকার। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র-বিরোধীদের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্যথায় ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ‘রূপকল্প-২০৪১’ ও ‘ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০’ ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি