মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যিনি
২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৫৬
অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা আবুল কাশেম ফজলুল হক যিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক নামেই পরিচিত। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতার জন্য তিনি ছিলেন সুপরিচিতি। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। সর্বভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। তিনি আপোষহীন ন্যায়নীতি, অসামান্য বাকপটুতা আর সাহসিকতার কারণে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ) নামে। সর্বভারতীয় রাজনীতির পাশাপাশি গ্রাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বাংলার পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এই মানুষটি। তার আদি পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায়। তিনি কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ এবং সাইদুন্নেসা খাতুনের একমাত্র পুত্র ছিলেন।
এ কে ফজলুক হকের প্রাথমিক শিক্ষা তার বাড়িতেই শুরু হয়। পরে তিনি গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিলেন। গৃহ শিক্ষকদের কাছে তিনি আরবি, ফার্সি এবং বাংলা ভাষা শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৮১ সালে তিনি বরিশাল জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৮৮৬ সালে অষ্টম শ্রেণিতে তিনি বৃত্তি লাভ করেন এবং ১৮৮৯ সালে ফজলুল হক প্রবেশিকা পরীক্ষায় তৎকালীন ঢাকা বিভাগে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেন। ১৮৯১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক পাস করেন।
১৯০০ সালে আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। ১৯০১ সালে যোগ দেন বরিশাল আদালতে। ১৯০৬ সালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯১১ সালে চাকরি ছেড়ে কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। ১৯১২ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯১৩ সালে ঢাকা থেকে প্রথম বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১৫ সালে তিনি পুনঃনির্বাচিত হন। এই দুই মেয়াদে তিনি পরিষদে মোট ১৪৮ বার বক্তব্য দেন, যার মধ্যে ১২৮ বারই মুসলমানদের শিক্ষা নিয়ে কথা বলেছেন। ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত ২১ বছর তিনি আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন।
১৯১৯ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৩৫ সালে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে তিনি বেঙ্গল প্রদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৪১ সালে তিনি পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সম্মেলনে এ কে ফজলুল হক ঐতিহাসিক ‘লাহোর প্রস্তাব’ উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবের প্রধান দাবি ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পৃথক পৃথক স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক সভায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়। এ সভায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলার ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক বক্তৃতায় তিনি বাংলা ভাষার জন্য পৃথক ‘ল্যাঙ্গুয়েজ একাডেমী’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংগঠিত আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। এসময় পুলিশের হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। তিনি কৃষক-শ্রমিক পার্টি নামে স্বতন্ত্র দল গঠন করেন। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ভাসানীর আওয়ামী মুসলিম লীগ এবং শেরে বাংলার কৃষক-শ্রমিক পার্টিসহ চারটি রাজনৈতিক দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে। ৩ এপ্রিল সরকার গঠন করে যুক্তফ্রন্ট। এ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন শেরে বাংলা।
এ সরকার মাত্র দুই মাস ক্ষমতায় ছিল। এর মধ্যেই তিনি বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্যমতে, এ সময় পাকিস্তান সরকার আশঙ্কা করে যে শেরে বাংলা পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন। তাই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫৪ সালের ৩০ মে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বাতিল করে দেয়।
১৯৫৫ সালে শেরে কৃষক-শ্রমিক পার্টি ও মুসলিম লীগ কোয়ালিশন সরকার গঠন করলে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন শেরে বাংলা।
বাংলার ইতিহাসে শেরে বাংলার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বাংলার মুসলমানদের জন্য অসংখ্য শিক্ষা ও কারগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তিনি কলকাতার ঐতিহাসিক ইসলামিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনেও তার ভূমিকা রয়েছে। তিনিই প্রথম বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। জমিদারদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ ও বাংলার কৃষকদের দুর্দশা লাঘবের লক্ষ্যে তিনি মানি ল্যান্ডার্স অ্যাক্ট (১৯৩৮), বেঙ্গল টিন্যান্সি (সংশোধন) অ্যাক্ট (১৯৩৮) এবং ভূমি সংস্কার আইনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন।
১৯২৪ সালে শিক্ষামন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে আবুল কাশেম ফজলুল হক সম্পূর্ণরূপে জড়িয়ে পড়েছিলেন কৃষকদের রাজনীতি নিয়ে। ১৯২৯ সালের ৪ জুলাই বঙ্গীয় আইন পরিষদের ২৫ জন মুসলিম সদস্য কলকাতায় একটি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। এই সম্মেলনে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি নামে একটি দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলার কৃষকদের উন্নতি সাধনই ছিল এই সমিতির অন্যতম লক্ষ্য। ১৯২৯ সালেই নিখিল বঙ্গ প্রজা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কলকাতায়। ঢাকায় প্রজা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৪ সালে। এই সম্মেলনে এ কে ফজলুক হক সর্বসম্মতিক্রমে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ময়মনসিংহে বঙ্গীয় প্রজা সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৫ সালে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সঙ্গীত এবং মরমী শিল্পী আব্বাসউদ্দিনের গানের মধ্যে দিয়ে এ সম্মেলন শুরু হয়েছিল। এই প্রজা সমিতির মধ্য দিয়েই পরবর্তীতে কৃষক-প্রজা পার্টির প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত হয় নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশন। ২২ থেকে ২৪শে মার্চ তিন দিনের ওই অধিবেশনে এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় প্রথম ‘পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব’ পেশ করেন বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক। ২৩ মার্চ ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব এবং উত্তরপশ্চিমের মুসলমান প্রধান অংশে ‘স্বায়ত্তশাসিত পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার দাবি সম্বলিত সেই প্রস্তাব গৃহীত ও পাশ হয় ওই অধিবেশনে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ‘লাহোর প্রস্তাব’ ছিল একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা পরে পাকিস্তান প্রস্তাব নামে পরিচিত হয়। তার ওই বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসীরা তাকে উপাধি দিয়েছিল শের-ই-বঙ্গাল অর্থাৎ বাংলার বাঘ। তখন থেকে তিনি শেরে-বাংলা নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ১৯৫৪ সালের শেরে বাংলা এ কে ফজলুক হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে গঠিত হলো যুক্তফ্রন্ট। এই ফ্রন্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
কৃষকপ্রজা আন্দোলন, বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ও ঋণ সালিশি বোর্ড প্রবর্তনের জন্যে তিনি বাংলার দারিদ্র্য-নিপীড়িত কৃষক সমাজের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন। ব্যক্তিগত দানের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন হাতেম তাই। তার গোপন দানে কত দুঃস্থ কন্যাদায় গ্রস্ত পিতা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, কত শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফি দিয়ে নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিয়েছে, তার দানে যে কত সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কত পীড়িতের দুঃখমোচন হয়েছে তার হিসেব নেই। তার জীবনে আরও যে কত সদগুণের সমাবেশ ঘটেছিল, ইতিহাসও তার সব খবর রাখেনি।
১৯৫৮ এর ২৭ অক্টোবর আবুল কাশেম ফজলুল হককে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক “হেলাল-ই-পাকিস্তান” খেতাব দেওয়া হয়। ১৯৬১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ তাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে এবং তাকে হলের আজীবন সদস্য পদ প্রদান করা হয়। এই সংবর্ধনা সভার পর তিনি আর কোনো জনসভায় যোগদান করেননি। ১৯৬২ এর ২৭ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। তিনি প্রায় একমাস চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বাংলার নয়নমণি শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল প্রায় ৮৯ বছর বয়সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এ প্রবীণ জনদরদী নেতার মৃত্যু সংবাদ প্রচারের সাথে সাথে সারা বাংলায় নেমে আসে শোকের ছায়া, শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে সমগ্র দেশবাসী। ঢাকার পুরানো হাইকোর্টের পাশে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়।
শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক আমাদের মাঝে বেঁচে নেই, কিন্তু বাঙালি সমাজ যত দিন বেঁচে থাকবে, ততদিন তাদের হৃদয়ে ফজলুল হক চিরজীবী। তার সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘আমি রাজনীতি বুঝিনে। ওসব দিয়ে আমি ফজলুল হককে বিচার করিনে। আমি তাকে বিচার করি গোঁটা দেশ ও জাতির স্বার্থ দিয়ে। একমাত্র ফজলুল হকই বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে বাঁচাতে পারে। সে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সাচ্চা মুসলমান। খাঁটি বাঙালিত্ব ও সাচ্চা মুসলমানিত্বের এমন সমন্বয় আমি আর দেখিনি।’
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের উল্লেখযোগ্য বক্তব্যগুলো যা আজো মানুষের মনে দাগ কাটে ‘লাঙ্গল যার জমি তার’, ‘নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে জাতির সহায়তায়। মহত্ত্ব নিয়ে অনাসক্ত হয়ে ব্যক্তিসত্তার স্বকীয়তা ভূলতে হবে; লুপ্ত করতে হবে’। ‘জাতির স্বার্থই হবে ব্যক্তির স্বার্থ। জাতির কল্যাণেই হবে ব্যক্তির কল্যাণ’। ‘যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে?’। ‘আপনি যদি কোনো ভালো কাজ করেন তাহলে লোকে আপনার সমালোচনা করবে’। ‘আম গাছে আম ধরে বলেই লোকে ঢিল মারে— ফজলি আম গাছে আরও বেশি করে মারে; শেওড়া গাছে কেউ ঢিল মারে না’।
শেরে বাংলা সাহিত্য, কূটনীতি বা রাজনীতিতে রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় অবদান। বড় বড় পদে উচ্চাসীন হয়েও ভুলে যাননি তার মূল। জনগণের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে থেকেছেন সর্বদা। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমলে সমানতালে করেছেন রাজনীতি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় অর্থায়ন করেছেন, প্রকাশ করেছেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অকুণ্ঠ এবং সংগ্রামী জীবন যে কোনো মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকীতে তার অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও আহ্বায়ক, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মত-দ্বিমত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যিনি