ভাষা আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছেন
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:০০
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি কতজন শহীদ হয়েছেন এ নিয়ে বিতর্কটা এখনও রয়েই গেছে। এ নিয়ে গত ৭১ বছরেও পৌঁছানো যায়নি কোন অনুসিদ্ধান্তে। এমনকি পাঠ্যবইয়ে বলা হয় সালাম, জব্বার, রফিক, সফিউর, বরকতের নাম। কোন কোন বইয়ে একটু এগিয়ে বলা হয় ‘সালাম, জব্বার, রফিক, সফিউর, বরকতসহ নাম না জানা আরও অনেকে’। এই আরও অনেকে ‘আরও অনেকে’ হয়েই রয়ে গেছেন একাত্তর বছর ধরে। এই অমীমাংসিত বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেয়নি রাষ্ট্র। দায়টি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বাংলা একাডেমি; হালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট… কেউই নিচ্ছে না।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি আমাদের শিকড় খুঁজতে গিয়ে বায়ান্নকে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। বায়ান্নর ইতিহাস বলতে হলে শহীদদের প্রসঙ্গও আসবে। ফলে শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি দূর করা জরুরী। কারণ, তাদের জীবন উৎসর্গই গতি দিয়েছে ভাষা আন্দোলনকে। আমরা পেয়েছি মাতৃভাষার অধিকার। আর ১৯৭১ সালে সৃষ্টি হয়েছে জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি কতজন শহীদ হয়েছেন?
উত্তর খুঁজতে তাই ভাষা সৈনিকদের লেখা ডায়েরি, স্মৃতিচারণ এবং ভাষা আন্দোলন পরবর্তী পাঁচ দশকে দেওয়া সাক্ষাতকারের স্মরণাপন্ন হওয়ার বিকল্প উপায় নেই। ভাষা শহীদদের মধ্যে এখনও যারা জীবিত আছেন তাদের সবার বয়সই কম-বেশি ৯০ বছর। তাই এ বয়সের একজনের কাছ থেকে স্মৃতিকথা সংগ্রহ করা বিপজ্জনক। কারণ, বয়সের কারণেই তার পক্ষে অনেক কথা মনে রাখা সম্ভব নয়। তাছাড়া এক ঘটনার সাথে আরেক ঘটনার মিশ্রণ ঘটাটাও স্বাভাবিক। সে কারণেই বলছি, ২০০০ সালের মধ্যে ভাষা সৈনিকরা যা বলেছেন বা লিখেছেন তাই-ই গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তবে রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে ইতিহাস বিকৃতির শিকার হওয়া তথ্য সম্পর্কেও সচেতন থাকা জরুরী।
এবার ফেরা যাক ভাষা শহীদ সম্পর্কে ভাষা সৈনিকরা কি বলেছেন সে প্রসঙ্গে।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রকাশিত প্রথম স্মারকগ্রন্থ ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’। প্রকাশ পায় ১৯৫৩ সালে। এর প্রকাশক ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ সুলতান। এটি সম্পাদনা করেন হাসান হাফিজুর রহমান। এতে ‘একুশের ঘটনাপুঞ্জী’ নামে একটি প্রতিবেদন লিখেন কবির উদ্দিন আহমেদ। তাতে তিনি লিখেন:
শহীদদের লাশগুলো চক্রান্ত করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মেডিকেল হোস্টেলের ভেতর “গায়েবি জানাজা” পড়া হলো।… (পরদিন) সকাল নয়টায় জনসাধারণের এক বিরাট অংশ ‘মর্নিং নিউজ’ অফিস জ্বালিয়ে দেয় এবং ‘সংবাদ’ অফিসের দিকে যেতে থাকে। ‘সংবাদ’ অফিসের সম্মুখে মিছিলের ওপর মিলিটারি বেপরোয়া গুলি চালায়। অনেকেই হতাহত হয় এখানে।’
কবির উদ্দিন আহমেদ ‘একুশের ইতিহাস’ নিবন্ধে শহীদের সংখ্যা সম্পর্কে লিখেন:
অন্তত আটজেনের মৃত্যুর কথা সন্দেহাতীতভাবে জানা যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী, আন্দোলনের কর্মী যখন নিজের জবানিতে মিছিলে পুলিশ ও মিলিটারির গুলিবর্ষণের কথা লেখেন, হতাহতের কথা লিখেন (১৯৫৩ সালে) নিজের তরতাজা স্মৃতি থেকে স্বভাবতই তা বিশ্বাসযোগ্য। তাহলে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, ১৯৫২ সালের ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি কতজন শহীদ হয়েছেন।
আমরা কি কখনও সত্যানুসন্ধান করেছি? কখনও কি জানার চেষ্টা করেছি? করিনি। কেউ করার চেষ্টা করলেও তা বেশিদূর এগোয়নি।
কবির উদ্দিন আহমেদ তার ‘একুশের ঘটনাপুঞ্জী’তে আরও লিখেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি “সর্বদলীয় কর্মপরিষদ”এর পক্ষ থেকে “সর্বমোট ৩৯ জন শহীদ হয়েছেন বলে দাবি করা হয়” এবং একই সঙ্গে একটি “নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন নিয়োগের” আহ্বান জানানো হয়।’
ভাষা শহীদ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত নামগুলো হচ্ছে সালাম, বরকত, জব্বার, রফিক ও সফিউর। এদের মধ্যে বরকত ও জব্বার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রফিকের বাবা ছিলেন বাদামতলী এলাকায় অবস্থিত ‘কমার্শিয়াল প্রেস’এর মালিক। এই তিনজনই নিহত হন একুশে ফেব্রুয়ারি।
সফিউর মারা যান ২২শে ফেব্রুয়ারি। এদের মধ্যে সফিউর ছিলেন হাইকোর্টের কর্মচারী। সালাম ২১শে ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭ এপ্রিল। তিনি ছিলেন রিকশাচালক।
এই পাঁচজনের বাইরে বাকিদের কথা উচ্চারিত হয় না। তবে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অলি আহাদের লেখা থেকে জানা যায়:
২২শে ফেব্রুয়ারি ভিক্টোরিয়া পার্কের (বর্তমান বাহাদুর শাহ পার্ক) আশপাশে, নবাবপুর রোড ও বংশাল রোডে গুলিতে কতজন মারা গেছেন তার সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই।
তবে ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক তার একুশ থেকে একাত্তর বইয়ে নিহতের তালিকায় যুক্ত করেছেন আবদুল আউয়াল, সিরাজুদ্দিন ও কিশোর অহিউল্লাহ্-এর নাম।
নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করেছেন গণতান্ত্রিক যুবলীগের চট্টগ্রাম শাখার আহবায়ক ও সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী। তিনি ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ শিরোনামে একটি কবিতা লিখেন একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়। সেই কবিতার একটি অংশে তিনি লিখলেন:
“ওরা চল্লিশজন কিংবা আরও বেশি
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে রমনার রোদ্রদগ্ধ
কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায়…
চল্লিশটি তাজা প্রাণ আর অঙ্কুরিত বীজের খোসার মধ্যে
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের অসংখ্য বুকের রক্ত
রামেশ্বর, আবদুস সালামের কচি বুকের রক্ত…”
মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী তার লেখায় যে চল্লিশ জন শহীদের কথা উল্লেখ করেছেন তার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের লাশ গুমের ইতিহাস ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই রয়েছে। আছে সেই সময় থেকেই মিডিয়ার ওপর সেন্সরশীপের ইতিহাস। তাই ৪০ সংখ্যাটি প্রশ্নবোধক হিসেবেই রয়ে গেছে। এটি কবির কল্পনা হতে পারে। আবার দায়িত্বশীল একজন মানুষ শুধু কল্পনার আশ্রয় নিয়ে লিখবেন এটাও ভাবা যায় না।
পাকিস্তানের লেখক লাল খান। ২০০৮ সালে লাহোর থেকে প্রকাশিত হয় তার লেখা বই পাকিস্তান আদার স্টোরি: দ্য ১৯৬৮-৬৯ রেভ্যুলেশন। সেই বইয়ে তিনি লিখেছেন-
“পুলিশের গুলিতে ২৬ জন নিহত এবং ৪০০ জনের মত আহত হয়েছিলেন।”
অবশ্য তিনি তার লেখায় কোন তথ্যসূত্র উল্লেখ করেননি। ফলে এর সত্যতা সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু একজন পাকিস্তানি যখন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস লেখেন তখন শহীদদের কথা তার অস্বীকার করারই কথা। কিন্তু তিনি যেহেতু ২৬ জনের কথা লিখেছেন তখন এটা বিশ্বাস করাই স্বাভাবিক।
সেই সময়ে বহুল প্রচারিত দৈনিক আজাদ পত্রিকার সংবাদে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি গুলিতে ৯ জন নিহত হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়। পত্রিকাটির ভাষ্য মতে ‘বহু লাশ গুম করে ফেলা হয়েছিল’।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলিকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় সংবাদ শিরোনাম করা হয় ‘বৃহস্পতি ও শুক্রবার মোট ৯ জন নিহত’।
কবির উদ্দিন আহমেদের লেখার সূত্র ধরে এম আর আখতার মুকুল আটজন ভাষা শহীদের একটি তালিকা করেন। সেই তালিকা থেকে জানা যায়, ২১শে ফেব্রুয়ারি নিহত হন রফিক উদ্দিন আহমদ, আবুল বরকত, আবদুল জব্বার ও আবদুস সালাম। ২২শে ফেব্রুয়ারি নিহত হন শফিকুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, অহিউল্লাহ (কিশোর) ও অজ্ঞাত বালক।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘাতকের বুলেটে নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ২১ ফেব্রুয়ারি তার ডায়েরিতে লিখেছেন:
গুলিতে চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হলো। আহত হলো ৩০ জন। জানা যায়, ৬২ জনকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। আরো শোনা যায়, পুলিশ কয়েকটি মৃতদেহ সরিয়ে ফেলেছে। বেসরকারি সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা ১০ থেকে ১১ জন।
২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ডায়েরিতে লিখেছেন:
আজ স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকল। হাইকোর্ট, মানসী সিনেমা হল ও ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের আশপাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেল। বেসরকারি সূত্র অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১২, আহত বহু।
ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সংবাদপত্র ‘সৈনিক’-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘শহীদ ছাত্রদের তাজা রক্তে রাজধানী ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত’। সাব-হেড ছিল ‘মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে ছাত্র সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশের গুলিবর্ষণ’। সেকেন্ড সাব-হেডে ছিল ‘বৃহস্পতিবারেই ৭ জন নিহত, ৩ শতাধিক আহত’।
দৈনিক আজাদ পত্রিকার তথ্যানুযায়ী ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি গুলিতে ৯ জন নিহত হন। সংবাদে লাশ গুমের দায়ে সরকারকে অভিযুক্ত করা হয়।
পাকিস্তানের ‘পিয়ারি দোস্ত’ যুক্তরাষ্ট্রও ভাষা শহীদের যেই সংখ্যা জানিয়েছিল সেটাও কম নয়। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যাটি তারা তারবার্তায় সরাসরি পাঠায়নি। ঢাকায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল বোলিং ধারণা করেছিলেন তার পাঠানো তারবার্তাগুলো ওয়াশিংটনে নাও পৌঁছাতে পারে। তাই তিনি ইসলামাবাদে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত ওয়ারেনের সাহায্য নেন। ওয়ারেন তার পাঠানো বার্তায় উদ্ধৃত করেন বোলিংকে। সেই তারবার্তায় তিনি নিহত ১৪ জনের পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ‘অগণিত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ভাষা শহীদদের একটি অসম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করা যায়, যেখানে স্বীকৃত ৫ জনের বাইরে অন্তত আরও তিনটি নাম যোগ করা সম্ভব। এছাড়া অজ্ঞাতনামা বালককেও শহীদের স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব। বস্তুত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার একাধিক স্থানে গুলিবর্ষণ এবং লাশ গুমের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় সাত দশক পর শহীদের প্রকৃত সংখ্যা উদঘাটন করা অনেকটাই কঠিন। তবে এখনও সময় আছে বায়ান্নর অমর শহীদদের নিয়ে আরও তথ্য উদঘাটন করার। আর কয়েকবছর পর এ বিষয়ে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পরবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গবেষণা প্রকল্প হাতে নিতে পারে।
এবার দেখা যাক ভাষা আন্দোলনে কতজন শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে:
১) আবুল বরকত : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২১ ফেব্রুয়ারি নিহত হন।
২) আবদুল জব্বার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২১ ফেব্রুয়ারি নিহত হন।
৩) রফিকউদ্দিন আহমদ : ঢাকার বাদামতলী এলাকা কমার্শিয়াল প্রেসেরর মালিকের ছেলে। ২১ ফেব্রুয়ারি নিহত হন।
৪) শফিকুর রহমান (সফিউর) : ছিলেন হাইকোর্টের কর্মচারী। ২২ ফেব্রুয়ারি নিহত হন।
৫) সালাম (ছালাম) : রিকশাচালক। ২১শে ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হন। মারা যান ৭ এপ্রিল।
৬) সালাউদ্দীন : বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, রফিকউদ্দিনকেই ভুল করে সংবাদপত্রে সালাউদ্দিন বলে উল্লেখ করেছিল।
৭) অহিউল্লাহ : তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন; মতান্তরে শিশু শ্রমিক। তার বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন রাজমিস্ত্রি। বাসা ছিল নবাবপুর রোডে। ২২ ফেব্রুয়ারি এক টুকরো কাগজ চিবুতে চিবুতে অহিউল্লাহ মিছিলে যোগ দেন। খোশমহল রেস্টুরেন্টের সামনে গুলিবিদ্ধ হন।
৮) আবদুল আউয়াল : ২২ ফেব্রুয়ারি নিহত হন।
৯) অজ্ঞাত বালক : ২২ ফেব্রুয়ারি নিহত হন।
লেখক: প্রধান বার্তা সম্পাদক, সারাবাংলা ডট নেট; সাবেক সদস্য, ব্যবস্থাপনা কমিটি, জাতীয় প্রেস ক্লাব; সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)
সারাবাংলা/এসবিডিই