Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোগ-বিলাসের মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

মো. আসাদ উল্লাহ তুষার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৩

বিশ্বব্যাপী আজ এক ভোগ বিলাসের প্রতিযোগিতা চলছে। ভোগে নয় ত্যাগেই সুখ প্রবাদ বাক্য অনেকটা অসারতা প্রমাণ হচ্ছে দিনে দিনে। এখন মানুষের মধ্যে একটা দেখানোর প্রবণতা প্রবলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল মানুষের এই দেখানোর প্রবণতা তেমন ছিল না। যার যত বড় অবস্থান ছিল তার তত দেখানোর প্রবণতা কম ছিল। পূঁজিবাজার অর্থনীতির কারণে কিনা এই দেখানোর মনোভাব এখন প্রবল আকার ধারণ করেছে। দেখাতে পারলে মনে হয় সে অনেক যোগ্য লোক, অনেক বড় মাপের লোক, অনেক শক্তিশালী লোক। এক সময় রাজনীতিতে ‘দেখানোর মনোভাব’ এই অবস্থা ছিল না। অনেক নামিদামি লোক রাজনীতিতে এসে, অনেক অর্থবিত্তের মানুষ রাজনীতিতে এসে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিল। তাদের দেখানোর মনোভাব ছিল না। কিন্তু এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাজনীতিতে নাম লেখা মানেই তিনি যে খুবই একটা দামি লোক,তার অনেক কিছু আছে, অনেক টাকা পয়সার মানুষ তিনি এমনটা জাহির করতে হবে। অনেকেই রাজনীতিতে আসে নীতি আদর্শের বালাই নাই, রাজনীতির নূন্যতম জ্ঞান গরিমা নাই। কিন্তু ‘নেতা’ হতে আসে। শুধু এই প্রবণতা যে রাজনীতিতে তা নয়। সমাজের প্রায় সব ক্ষেত্রে এই দেখানোর প্রবণতা প্রবল। ভাবটা এমন যে না দেখতে পারলে তার কোন দাম নাই। চাকুরীর ক্ষেত্রে দেখানোর প্রবণতা, ব্যবসার ক্ষেত্রে দেখানোর প্রবণতা। এ সব ক্ষেত্রেই এক ধরণের অর্থের ও ক্ষমতা দেখানোর প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। দেখতে না পারলে যেন কোন কিছুরই দাম নাই। সব বৃথা!

সমাজে মানুষ ক্ষমতাধর বলতে রাজনীতিবিদ, এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, মেয়র বা সামরিক-বেসামরিক আমলা কে বুঝিয়ে থাকে। আবার সমাজের অর্থবিত্ত শালীরাও ক্ষমতাধর মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে চিত্রিত করছেন। কারণ তারা অর্থের জোড়ে ক্ষমতার বাহাদুরি দেখায়। একটা সময় ছিল, যে যত বড় ছিলেন তিনি তত বিনয়ী হয়ে নরম হয়ে চলতেন। তাদের ব্যক্তিত্ব বা নেতৃত্ব তাদের বড় করতো। সব ধরণের মানুষ তাদের সম্মান করতো। রাজনীতিবিদরা নিজ পারিবারিক পয়সা খরচ করে রাজনীতি করতেন। সেটা করতেন দেশের জন্য, মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, সম্মানের জন্য। ধাপে ধাপে তিনি সেই জায়গাটা অর্জন করতেন। তাদের তখন পরিচয় ছিল একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে, একজন নীতিবান মানুষ হিসেবে। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই তিনি এমপি, মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতেন। এসব পদ তারা একটি সাময়িক দায়িত্ব মনে করতেন। সততার সাথে দেশের কল্যাণে সেই দায়িত্ব পালন করতেন। পদ পদবি ব্যবহার করে নিজের বা পরিবারের আখের গোছানোর কথা চিন্তাও করতেন না। তাদের পরিবারের মানুষেরাও প্রায় একই ধরণের ছিলেন। একইভাবে বড় বড় পদে থাকা সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষদের মাঝেও অনেক পরিমিত বোধ ছিল। মানুষকে তারা দেখাতেন না কিন্তু মানুষ তাদের মান্য করতেন। সমীহ করতেন, সম্মান দিতেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বাংলাদেশ তো বটেই উপমহাদেশের মধ্যে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তারা রাজনীতির জন্য নিজের জীবনের সমস্ত সুখ স্বাচ্ছন্দকে বিসর্জন দিয়েছিলেন। কী সাদামাটা জীবন যাপনই না করতেন। সিম্পল সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে তারা বাঙালির মনকে জয় করে নিয়েছিলেন। তাদের বেশ ভূষণে কোন বিলাসিতা ছিলনা। তাদের চলনে বলনে তো ছিলই না। কিন্তু তারা মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই পাকিস্তান আমলে অত্যন্ত অল্প বয়সেই মন্ত্রী হয়েছিলেন। মন্ত্রীর শপথ নিয়েই সেদিন তিনি নারায়ণগঞ্জের আদমজী জুট মিলে শ্রমিক অসন্তোষ মোকাবেলা করতে সেখানে নিজে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। আবার মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করতে দলের জন্য দেশের বৃহৎ অর্জনের জন্য একটুও পিছপা হতেন না। মন্ত্রিত্বের বড়াই তাদের মধ্যে ছিল না। বিলাসিতার লেশমাত্র তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের সমস্ত চিন্তা চেতনায় ছিল দেশ ও দেশের মানুষ। তাদের নিজেদের বলে কিছু ছিল না, এমনকি তাদের পরিবার বলেও কিছু ছিল না। দলের নেতা কর্মী দেশের মানুষই ছিল তাদের পরিবার।

বাংলাদেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা বা রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী রুপে একই অবস্থায় ছিলেন। সেই সাদামাটা জীবন যাপন, সেই ধানমন্ডির বত্রিশের ভাঙ্গাচুড়া সেই ঐতিহাসিক বাড়িতেই বসবাস। একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজে একটুও বদলায়নি। এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও ছিল অন্য আরো দশটি একান্নবর্তী পরিবারের মতোই। বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তো ছিলেন আটপৌরে সহজ সরল বাঙালি নারীর প্রতিচ্ছবি। তাদের সন্তানেরাও ছিলেন আর আট দশটা সাধারণ পরিবারের মানুষদের মতোই। তাদের মধ্যে ভোগ বিলাসের বালাই ছিলো না। আর নিজেদের দেখানোর, ক্ষমতা প্রদর্শনের চিন্তা ছিল দুরপরাহত। কিন্তু তাতে তাদের মর্যাদা কমেনি বরং বেড়েছে। বঙ্গবন্ধুর সন্তানদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাষ্ট্রপতি বা বঙ্গবন্ধুর সন্তান হিসেবে চিনতেনই না। একই কথা বলা যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণেই কিনা সাদামাটা জীবন যাপন, ক্ষমতার দম্ভ না দেখানো, ভদ্রতা সভ্যতা এখনো দেশবাসীর কাছে অনুকরণীয়। তাদের দু’বোন এবং তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই কথা প্রযোজ্য। তারা প্রত্যেকেই যার যার স্ব স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল প্রতিভা বিচ্ছুরিত করে চলছে, কিন্তু তাদের মধ্যে কোন অহমিকা প্রদর্শনের কোন মনোভাব দেখা যায় না।

ওই যে ক্ষমতা অর্থবিত্তের প্রদর্শন এটা শুরু হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর থেকে। অবৈধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলদাররা রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসে রাজনীতিবিদদেরকে এবং সামরিক-বেসামরিক আমলাদের ক্ষমতাবান করেছে। মানুষের কাছে তাদের কোনো দায়দায়িত্ব ছিল না। ক্ষমতায় থেকে ভোট করে মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল। রাজনীতিবিদদের পণ্যে পরিণত করেছিল। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত করেছিল। আজকের সমাজে যে ক্ষমতা প্রদর্শনের মহড়া সবক্ষেত্রে ভোগ-বিলাসের যে উন্মত্ততা তা সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছিল । বলা যায় ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ যুগ থেকে এসব শুরু। সেসময় থেকেই রাজনীতিবিদদের দাম কমতে শুরু করেছিল। পক্ষান্তরে বৈধ-অবৈধ পথে উপার্জিত টাকায় জন্ম নেয়া নেতা, মাস্তান গুন্ডারা নিজেদেরকে জাহির করার জন্য ক্ষমতা প্রদর্শনের যে মহড়া সেই সময় থেকে শুরু করেছিল তা দিনে দিনে বেড়ে প্রায় সব মানুষের মনে মগজে ঢুকে গেছে।

রাজনীতি করতে হলে আপনার অর্থবিত্ত থাকতে হবে। ভালো চাকরি করলেও আপনাকে অর্থবিত্ত কামাই করতে হবে। আপনার অর্থনৈতিক শক্তি নাই, কোন দাম নাই। আপনার শিক্ষা আছে অর্থ নাই, কোন দাম নাই । আপনার বুদ্ধি জ্ঞান-গরিমায় আপনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, আপনার কোন দাম নাই। কারণ আপনার অর্থ নাই। সবকিছুর বিচার করা হয় অর্থ দিয়ে। জীবনে আপনি অনেক ভাল কাজ করেছেন, অনেক বড় বড় অর্জন আপনার আছে। আপনি শিক্ষিত সজ্জন, আপনি লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব কিন্তু আপনার অর্থকরী নাই, আপনার ক্ষমতা প্রদর্শনের মনোভাব নাই আপনি এই সমাজে এখন অপাংক্তেয়। যে কোনো প্রকারে আপনি অর্থ-বিত্তের মালিক হযে পড়লে পিছনে আপনাকে খারাপ বললেও আপনিই সমাজের এখন প্রভাবশালী মাথা মুরুব্বী, তারপর জনপ্রতিনিধি। সে হোন আপনি কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী কিংবা দুর্নীতিগ্রস্থ কোন টাকাওয়ালা।

জনপ্রতিনিধি হওয়ার মানদণ্ড এখন অর্থ, কোন যোগ্যতা লাগে না। আপনি রাজনীতি করেছেন আপনি একজন ভাল রাজনৈতিক নেতা, সৎ, আপনার জ্ঞান-গরিমা প্রচুর, ভালো পড়াশোনা, ভাল বক্তৃতা দিতে পারেন এগুলি আপনার ধর্তব্যে মধ্যে পড়ে না। আপনি অর্থশালী কিনা সেটাই এখন সমাজের কাছে সবচেয়ে অগ্রগণ্য। একই কথা অন্যান্য পেশার মানুষের ক্ষেত্রেও। অর্থ নাই দাম নাই। পরিষ্কার করে বলতে গেলে বলতে হয় অবৈধ অর্থ আপনার নাই আপনার কোন দাম নাই। না সমাজে না দেশে না পরিবারে। এটা একটা ভয়ানক রোগ। এ রোগ দিনদিন সংক্রামিত হচ্ছে সর্বত্র। আর সে কারণেই সব ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদর্শনের, নিজেকে জাহির করার প্রবণতা। এটা যে শুধু ক্ষমতায় থাকায় তা নয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও এরূপ ক্ষমতা বা প্রভাবপতিপত্তি বা নিজেকে প্রদর্শনের লোক সমাজে প্রচুর। এরা নিজেকে জাহির করতে পারলেই হিরো মনে করে,কে কি ভাবলো তাতে থোড়াই কেয়ার।

এমপি হবেন, সংসদে কথা বলবেন না বা কথা বলাই জানেন না। মন্ত্রী হবেন, চিন্তা পরিবার বা আত্মীয় স্বজনকে প্রতিষ্ঠা করার। চেয়ারম্যান বা মেয়র হবেন কিভাবে গরীবের হক মেরে বড় লোক হওয়া যায় সেই চিন্তা। এই চিন্তা সরকারি দলের যে তা না,এই চিন্তা বিরোধীদলেরও তথাকথিত নেতাদের বা বেশিরভাগ টাকাওয়ালাদের। অনেক ব্যতিক্রমও আছে। এখনো সৎ চিন্তা ভাবনার নেতা, এমপি, মন্ত্রী বা মেয়র চেয়ারম্যান আছেন। যারা দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করেন, ভাবেন। নিজেদের জাহির করেন না, ক্ষমতা প্রদর্শন করেন না। তারা আদর্শবান, দেশপ্রেমিক, সজ্জন। ক্ষমতাকে তারা দায়িত্ব মনে করেন। অনেক আমলা, ব্যবসায়ী আছেন ক্ষমতা বা অর্থবিত্তের বাহাদুরি দেখাতে তাদের রুচিতে বাধে। তারা সব কিছু করে যায় নীরবে, নিভৃতে। এই সমাজে তাদের নিয়ে হৈচৈ না করলেও তাদের কোন আসে যায় না। তারা আছেন বলেই হয়তো সমাজ, দেশ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আশার আলো দেখা যায়।

আজকে স্ব স্ব দলে আদর্শবান, ত্যাগী ,সৎ, শিক্ষিত, সজ্জনদের কদর নাই। কদর টাকাওয়ালাদের, ক্ষমতাবানদের, ভোগ বিলাসিতাকারীদের। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, বাগ্মী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, প্রকৃত অর্থেই নেতৃত্ব দেয়ার সব গুণাবলী বিদ্যমান, কিন্তু টাকা বা তথাকথিত প্রভাব নাই, তার কোন মর্যাদা নাই, নমিনেশন নাই এমনকি সম্মানটুকুও নাই। দেশ বিদেশে বড় সংস্থায় নামিদামি চাকুরী করেন, দেশগ্রামে কোন প্ৰভাৱ প্রতিপত্তি দেখান না? আপনার কোন দাম নাই। সব দাম প্রদর্শনে,ক্ষমতা জাহিরে। মুই কি হনুরে ভাবে! যার যোগ্যতা যত কম তার তত বাগড়ম্বতা। যার যত ত্যাগ কম,তার ততো আনুষ্ঠানিকতা, সামনে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এদের জন্যই প্রকৃত অর্থে সমাজের ভালো লোকজন আড়ালে চলে যাচ্ছে। আর স্কুল কলেজের নীতিবান কোন শিক্ষককে রাজনীতিতে সেভাবে দেখা যায় না, জনদরদী ডাক্তার, অধ্যাপক, এডভোকেট বা পারিবারিক ভুসম্পত্তির মালিককে কোন দলের স্থানীয় পর্যায়ের বা কেন্দ্রের সম্মানজনক পদে দেখা যায় না। সবখানেই নীতিহীন, ভোগবাদী ও অবৈধ অর্থবিত্তের মালিকদের জয় জয়জয়াকার। দলগুলোও ক্ষমতায় যেতে বা ক্ষমতার বাইরে টিকে থাকতে ইচ্ছা অনিচ্ছায় এসব মানতে বাধ্য হচ্ছে।

সরকারি চাকুরীজিবী ভালো চাকরি করে কিন্তু অবৈধ অর্থ নাই। তার চেয়ে নিচু পদে চাকরি করে অবৈধ অর্থের গরম, সমাজে তার নাম, পরিবারে তার কদর। মাদকের ব্যবসা করে বা অন্যপথে রাতারাতি টাকা ওয়ালা সমাজে তার দাপট, ধর্ম সভায় বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, অথচ সৎ মানুষেরা কোণঠাসা। ওসি সাহেবও দাম দেয় না ডিসি সাহেবও না! তথাকথিত নেতারা ওই অবৈধ টাকা ওয়ালাদের কাছে ‘ধরা’। এক্ষেত্রে এরা সবাই একই মনোভাবের, সব দলের সব মতের, সব পথের। এরা ভোগ বিলাসিতায় বিশ্বাসী। এরা কোনো কিছুর পরোয়া করে না। এরা শতভাগ সুবিধাবাদী, এদের ত্যাগের নজির নাই, সবই ভোগের। এখান থেকে বেড়িয়ে আসতেই হবে। নানা জায়গায় কিছুটা আলোর ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। মৃদু স্বরে হলেও আওয়াজ উঠছে। উম্মুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সহজে মত প্রকাশের নানা মাধ্যমের কারণে মানুষ কিছুটা জেগে উঠছে। এখন সময় একযোগে সমস্বরে আওয়াজ তোলার,তাদের ঘৃণা করার, যারা বিত্ত বৈভবের গরম দেখায়, ত্যাগীদের উপহাস করে। গুনীদের কদর করে না, দাম দেয় না। ভোগ বিলাসিতাই যাদের ধ্যানজ্ঞান। তাদের বয়কট করতে হবে। দলমত, পদপদবি, ধর্মবর্ন নির্বিশেষে।

লেখক: কলামিস্ট, রাজনীতিক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

সারাবাংলা/এজেডএস

ভোগ-বিলাসের মনোভাব মো. আসাদ উল্লাহ তুষার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর