ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে বাংলাদেশ
১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:০৮
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার রাত সোয়া এগারোটায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ক্ষনস্থায়ী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে অনন্তের পথে পাড়ি দিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন আপাদমস্তক কর্মবীর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান, প্রান্তিক সাধারণ ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য আজীবন কাজ করে যাওয়া এবং সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত মহান এ মানুষটির মৃত্যুতে দল মতের উর্ধ্বে উঠে গোটা দেশের মানুষ শোকাহত। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর কাছে অনেক সুবিধা নিলেও স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিলেন। শেষ জীবনে বিএনপি, জামায়ত, হেফাজত তোষণকারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ক্ষমা করে দিতে বলেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এমনকি যু্দ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও তিনি সমালোচনা করেছেন। বলা যায় সরাকারের তীব্র সমালোচক ছিলেন। যার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে তাঁর যথেষ্ট দূরত্ব ছিল। দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে। এইতো সেদিন গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবেসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বঙ্গভবনে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সাথে নিয়ে তাঁর সাথে কুশল বিনিময় করেন। সেই ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে শোভা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিরোধীতাকে আমলে না নিয়ে বরং জীবনভর তাঁর যে অবদান সেটিকেই সম্মান জানিয়েছেন সবসময়। শেখ হাসিনা যে একজন উদারপন্থী দলনেতা এই ঘটনায় তিনি আর একবার সেটিই প্রমাণ করেছেন। তাঁকেইতো অনুসরণ করবেন তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা। এজন্যই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনভর অবদানকে স্মরণ করে শোকের মাতম চলছে আওয়ামী লীগ বলয়ে। দেশে হাজারও সংকীর্ণতার ভিড়ে উদারপন্থী দলের উদহারণ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। এজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধুবাদ পাচ্ছেন; সাধুবাদ পাচ্ছেন তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা। একজন মৃত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এটাই সৌন্দর্য, উদারতা এবং শিষ্টাচার।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন ছিলেন তার বাবার শিক্ষক। বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী গৃহিনী। পিতামাতার ১০ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। কলকাতায় শৈশবের কিছু সময় কাটে, পরে তাঁর পরিবার ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সংগ্রাম শুরু হয় মূলত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭১ সালের মার্চে ব্রিটেনে বসবাসরত ১ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে। সেই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন ডা. এএইচ সায়েদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে আসেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বন্ধু ও সহযোদ্ধারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইংল্যান্ডে থাকার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রকাশ্যে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। এরপর বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ভারতে আসেন। আগরতলার মেলাঘর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। পরে ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। সে সময় তাঁরা স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তাঁরা রোগীদের সেবা করতেন। তাঁদের এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল স্থানান্তরিত হয় ঢাকার ইস্কাটন রোডে। ১৯৭২ সালের এপ্রিলে গ্রাম উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু রূপে গড়ে তোলার জন্য ‘চল গ্রামে যাই’ স্লোগান নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় হাসপাতালটি সাভারে স্থানান্তরিত হয়। তখন নামকরণ করা হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নিজ হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠান এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ট্রাস্টি হিসেবে।
মানুষের রোগ হবে এটিই স্বাভাবিক- এমনটাই বলতেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু সব মানুষের স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লড়াই করেছেন আজীবন। স্বাস্থ্য সেবার জন্য সব ক্ষেত্রে উচ্চতর ডিগ্রিধারী বা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসক অপরিহার্য বলে মনে করতেন না তিনি। স্বল্প শিক্ষিত মানুষকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস করতেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি সেটি প্রমাণ করে দেখিয়েছেনও। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাঁর কোনো উদ্যোগকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করতে চাননি। তাঁর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কর্ম কৌশল ও উদ্যোগ সরকারই যেন সারা দেশে প্রয়োগ করে- এটিই তিনি চাইতেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রথম স্বাস্থ্য বিমা চালু হয়। যার সুফল এখন বহু মানুষ পাচ্ছেন। স্বাধীনতার পর দেশের ওষুধের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানির। তখন বাজারে ৪ হাজার ধরনের ওষুধ ছিল। এর প্রায় সবই আমদানি করা হতো। ওষুধের দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি সেই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন এনে দেয়। এই ওষুধ নীতি দেশি কোম্পানিগুলোকে ওষুধ উৎপাদনের সুযোগ তৈরি করে দেয়। দেশে তৈরি হওয়া ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ হয়। এই ওষুধ নীতিই দেশকে ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। এই নীতির ফলস্বরূপই বাংলাদেশ এখন ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ। এই নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এই ওষুধ নীতি নিয়ে বিরোধের জেরেই বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে জানা যায়। দেশের মানুষকে স্বল্প মূল্যে ওষুধ দেওয়ার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ওষুধ কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মূলত একজন ভাস্কুলার সার্জন। সারা জীবন ভেবেছেন জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে। ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টদের অন্যায় আধিপত্য এবং চিকিৎসাকে বাণিজ্যে পর্যবসিত করার প্রবণতার বিরুদ্ধে তিনি লড়েছেন। বহির্বিশ্ব তাঁকে চেনে একজন বিকল্প ধারার স্বাস্থ্য আন্দোলনের সমর্থক ও সংগঠক হিসেবে। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি হাসপাতালের দুর্নীতি উন্মোচন করার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর নির্দিষ্ট কোনো মতের রাজনীতির সঙ্গে থাকেননি। তবে বলা যায় তাঁর রাজনৈতিক মত প্রভাব ফেলেছে সব সরকারের সময়েই।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বহনকারী হেলিকপ্টারে হামলা হয়েছিল। সেই হেলিকপ্টারে জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর অম্ল-মধুর সম্পর্কের কথা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন। প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণে বঙ্গবন্ধুকে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তবে ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর কল্যাণ রাষ্ট্রের কর্ম পরিকল্পনা বাকশালকে না বুঝে, না অনুধাবন করে বিরোধিতা করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরবর্তীতে জেনারেল ওসমানী রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়ালে তাঁর হয়ে কাজ করেছেন। সখ্য ছিল দুই সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচএম এরশাদের সঙ্গেও। এক সময় ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিএনপি এবং দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। তবে সামরিক শাসকদের সময়েই স্বাস্থ্য নীতি, ঔষধ নীতি ও নারী শিক্ষা, এমনকি সহজে দেশের মানুষের জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করতে সরকারকে রাজি করানো এবং প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণে সরকারকে প্রভাবিত করতে জাফরুল্লাহ ভূমিকা অনস্বীকার্য।
রাজনীতিতে সর্বশেষ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। এ নিয়ে অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। দেশে কোভিড মহামারির সময় সরকারের মহামারি মোকাবিলা কৌশল ও পদক্ষেপ এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত টেস্ট কিট নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনের শেষ বছরগুলোতে রোগ–ব্যধির সঙ্গে লড়েছেন। নিজেই দীর্ঘদিন জটিল কিডনি রোগে ভুগেছেন। সাশ্রয়ী ডায়ালাইসিসের জন্য গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ১০০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট তৈরি করেছেন। মানুষ যাতে প্রতিস্থাপনের জন্য সহজে কিডনি পেতে পারে সেজন্য দেশের আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে এসেছেন ডা. জাফরুল্লাহ। একটি ক্যানসার হাসপাতাল করারও ইচ্ছা ছিল।চিকিৎসার জন্য কখনো বিদেশে যেতে রাজি হননি। এমনকি বিনা খরচে কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব পেয়েও শুধু বিদেশে যেতে হবে বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় সাধারণ মানুষের জন্য দেশেই কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে যেতে চেয়েছিলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী চিকিৎসা নিয়েছেন সব সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাসপাতালেই এবং সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন সহধর্মিণী নারীনেত্রী শিরীন হক এবং দুই সন্তান।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫), সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।
এ পৃথিবী যেমন আছে তেমনই রবে কিন্তু বাংলাদেশ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আজীবন পরম শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে। অনন্ত যাত্রায় এই কর্মবীরের আত্মার শান্তি হোক।
লেখক: কলামিস্ট, তথ্যচিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতা
সারাবাংলা/এসবিডিই
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে বাংলাদেশ মত-দ্বিমত সাজ্জাদ কাদির