সারাবিশ্বের কাছে অনুকরণীয় আমাদের বিশ্বনেতা
১৫ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪০
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তিনি এবং সর্বকালের সফল রাজনৈতিক নেতা। জীবনের এক যুগের অধিক সময় কেটেছে জেলখানায়। তার উপর আস্থা রেখে, তাকে ভালোবেসে জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলো দেশের তামাম মানুষ! ভাবলে অবাক হতে হয়। তার জীবনকাল মাত্র পঞ্চান্ন বছরের। এতোটুকু সময়ের জীবনে এদেশের আপামর বাঙালিকে ভালোবেসে তাদের দাবি আদায়ের সংগ্রামে কেমন করে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি? কল্পনা করা যায়!
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি নাম, একটি ইতিহাস। তার সমগ্র জীবনে একটিই ব্রত ছিলো- বাংলা ও বাঙালির মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা। যার শুরু ১৯৪৮ সাল থেকে। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে আমরা বাঙালিরা নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হবো। তাই এ থেকে জনগণের মুক্তির জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামের পথ। ১৯৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারির মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫৬-এর শাসনতন্ত্রের জন্য আন্দোলন, ’৬২-এর ১৭ সেপ্টেম্বরের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়- প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর ছিলো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন আর স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু ছিলো বঙ্গবন্ধুর নিত্যসঙ্গী। তিনি নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বহুবার। একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হয়েছিলো তার জন্য। বাঙালির প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থা ছিলো আকাশচুম্বী। সেজন্যই হাসিমুখে, নির্ভীকচিত্তে মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সব ধরনের জুলুম-নির্যাতন বরণ করেছেন তিনি।
১৯৭১ সালে সামরিক আইন জারি করে পাকিস্তানি শাসক ইয়াহিয়া খান। নেতাদের ধরপাকড় শুরু হয়ে যায়। ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শেখ মুজিব ঘোষণা করেন, ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের যার যা আছে, তাই দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান।’ এরপর গ্রেপ্তার হন শেখ মুজিব। গ্রেফতারের আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে যেসব দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, জনগণও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দেখিয়ে দিয়েছে। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরল ও অনন্য এক ঘটনা হয়ে ঠাঁই নিয়েছে বিশ্বের ইতিহাসের পাতায়। পাকিস্তানী অপশাসনের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে রক্তক্ষয়ী সেই মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশে নিয়ে আসে নতুন প্রভাত। জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি স্বাধীন এই বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রধান রূপকার, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাবলে বিস্ময় জাগে মনে! কি ছিলো তার নিখাদ দেশপ্রেম? বজ্র কঠিনসম দৃঢ়তা। সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অনমনীয় যোদ্ধা হিসেবে যারাই শেখ মুজিবের সংস্পর্শে এসেছেন তারাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন তার ছিলো দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব। লক্ষ্য অর্জনে ছিলেন অবিচল। মানুষ মুগ্ধ হয়, সাহস পায়, প্রেরণা পায় এই নেতার সহজ সরল দৃষ্টিভঙ্গী এবং বিরল নেতৃত্বগুণে। গবেষকরা বলেন, ‘তার মধ্যে অসাধারণ এক আকর্ষণী শক্তি ছিলো। যাকে বলে ক্যারিশমা। তিনি তার ক্যারিশম্যাটিক ক্ষমতায় জনগণকে বুঝতেন এবং বুঝাতেন। জনগণের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারতেন। জনগণের মুখের ভাষা, অন্তরের ভাষা জানতেন, বুঝতেন। তাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন।’ তারই মন্ত্রে, তারই উদ্দীপনায় পুরো বাঙালি জাতি সময়ের সঙ্গে নিজেদের অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে জেগে ওঠে। তারই বজ্রকন্ঠে ধ্বনিত হয় স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার সেই উদাত্ত আহবান। তার ৭ই মার্চের ভাষণ মন্ত্রের মতো সমগ্র বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর একটি সুপ্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে খালি হাতে লড়াইয়ে নামতে এবং সেই লড়াইয়ে জিততে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। বাঙালি জাতির চেতনাকে, ভিতরের সুপ্ত শক্তিকে এক অভূতপূর্ব যাদুতে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছিলেন-এই নেতা। বাঙালি জাতিকে বীরের জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
আমৃত্যু একটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিবাদী ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি একটি দেশের স্রষ্টা। যিনি সমগ্র দেশের মানুষকে একসূত্রে গেঁথেছিলেন। আমরা যে স্বাধীন মানুষ, এই উপলব্ধিটা এসেছে শেখ মুজিবের কাছ থেকেই। বাঙালির স্বাধীনভাবে বাঁচার স্পৃহা জোরদার হয়েছে একমাত্র তার কারণেই। শেখ মুজিবের খ্যাতি কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিলো, কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান ফিদেল ক্যাস্ত্রোর এক বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর সম্মেলন চলাকালীন ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। পরে ক্যাস্ত্রো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি। কিন্তু আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্বের দিক দিয়ে বলুন কিংবা সাহসিকতার দিক দিয়ে আমার কাছে এই মানুষটাই হিমালয়।’
এই হিমালয়সদৃশ মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজ বাসভবনে নিজ দেশের কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কময়, বেদনার দিন। এ দিনে কাকডাকা ভোরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে কাপুরুষোচিত হামলা চালায় ঘাতকরা। এ নারকীয় হামলায় ভবনের প্রতিটি তলার দেয়াল, জানালার কাঁচ, মেঝে ও ছাদে রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে যায়। চারপাশে রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায় ঘরের জিনিসপত্র। দেখা যায়, প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে রয়েছেন চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ। তার তলপেট ও বুক ছিলো বুলেটে ঝাঁজরা। পাশেই পড়ে ছিলো তার ভাঙা চশমা ও অতি প্রিয় তামাকের পাইপ।
এভাবেই নারকীয় পৈশাচিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এমন ভয়াবহভাবে হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নব-পরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকের ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন। শুধুমাত্র তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সে সময় জার্মানীতে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের মাতম। ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, ‘শেখ মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে।’ ভারত বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।’ দ্য টাইমস অব লন্ডন এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়- ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।’ একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা জাতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বেদনাবিধুর, কলঙ্কিত ও বিভীষিকাময় একটি ঘটনা। বাংলাদেশ ও বাঙালির সবচেয়ে হদয়বিদারক ও শোকের দিন। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী, বাংলাদেশ বিরোধী দেশীয় বেঈমান ও তাদের আন্তর্জাতিক মুরব্বিদের পরাজয়ের সুপরিকল্পিত জঘন্য ও কাপুরুষোচিত নির্মম প্রতিশোধ ছিলো এই রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। হত্যাকারীরা শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। বঙ্গবন্ধুর গড়া ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশটাও হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে পরবর্তীকালে দেশ ও জাতিকে বিপথগামী করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। পনেরই আগস্টের পর অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে যায় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সাধের বাংলাদেশ চলে যায়, পাকিস্তানি ভাব ঘরানার তথাকথিত বিএনপি, জামাত-স্বৈরাচার শক্তির হাতে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা পাঁয়তারা করে। অপশাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও যেনো নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। হত্যাকারীদের বিচার থেকে রেহাই দিতে তারা জারি করে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত সেসব খুনি দীর্ঘদিন ছিলো বিচারের আওতাবহির্ভূত। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা সচল হয়। দেরিতে হলেও বিচার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়; বঙ্গবন্ধু আজ সারাবিশ্বের মানুষের কাছে অনুকরণীয়। বঙ্গবন্ধু সারাবিশ্বের মানবতার পক্ষের কণ্ঠস্বর। বিশ্বের নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর অনুপ্রেরণা, সাহস ও শক্তি। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কোনো দলীয় বৃত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় অবদানই তাকে জয়ী করে রেখেছে। বাংলাদেশের এই স্থপতি দেশের ১৮ কোটি মানুষের নয়নের মনি হয়ে হৃদয়ে সমুজ্জল রয়েছেন এবং থাকবেন। তিনি মহামানব। মহামানবের মৃত্যু নেই। তারা বেঁচে থাকেন কর্মের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু ও তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, জনগণের প্রতি ভালোবাসা আর স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় অবদানই তাকে জয়ী করে রেখেছে। যতদিন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পৃথিবীর বুকে পরিচিত থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা, প্রধান রূপকার, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
লেখক: এম.ফিল স্কলার। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সারাবাংলা/এসবিডিই
মত-দ্বিমত শেখ আনোয়ার সারাবিশ্বের কাছে অনুকরণীয় আমাদের বিশ্বনেতা