পঞ্চান্ন বছরের এক অসামান্য জীবন
১৫ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৫
মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন তিনি। পঞ্চাশ বছর পেরুতে না পেরুতে একটি জাতি রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা, স্থপতি বা জাতির পিতা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। যা ছিল তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এমন অর্জন সবার ভাগ্যে জোটে না। কিন্তু ঘাতকরা তাকে নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করে বাংলাদেশকেই হত্যা করেছিল।
মানুষ সৃষ্টিকর্তার নির্ধারণ করা সময় নিয়ে পৃথিবীতে আসে। বঙ্গবন্ধু এই যে তার তুলনামূলক অল্প সময় এই পৃথিবীতে ছিলেন তা এই সময়ে এসে চিন্তা করলে খুবই আশ্চর্য লাগে। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় বাংলাদেশের জন্য প্রায় সবকিছুই করে গেছেন। সবচেয়ে বড় যে কাজটি করেছেন তা হলো বাঙালির হাজার বছরের আরাধনা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। এই যে দেশ স্বাধীন করা; তা যত সহজে বলা গেল কিন্তু বিষয়টি তত সহজ ছিল না।
পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চব্বিশ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলোতে চৌদ্দ বছরই জেলের প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু মুজিবের এই ত্যাগ বৃথা যায়নি। দেশ স্বাধীনের নেতৃত্ব দেয়ার এই অসামান্য অবদান পৃথিবীর বহু দেশের বড় বড় নেতাদের ভাগ্যে জোটেনি। দেশ স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের একটু বেশি সময় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। যা নিতান্তই অতি অল্প সময়। কিন্তু কি অভূতপূর্ব সব অর্জন। স্বাধীনতার সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সহযোগিতাকারী দেশ মিত্রবাহিনী ভারতের সৈন্যদের তাদের দেশে পুরোপুরিভাবে ফেরৎ পাঠানোর ঐতিহাসিক কাজ অত্যন্ত সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করেছিলেন। যা বঙ্গবন্ধুর প্রবল ব্যক্তিত্ব ও সুনিপুণ কূটনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই সহজেই সম্ভব হয়েছিল। কারণ বর্তমান পরিস্থিতি বা তার আগের বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় এত অল্প সময়ে মিত্রবাহিনীকে তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানোর কথা কল্পনাই করা যায় না। যা ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান। স্বাধীনতার পরেই সংসদীয় সরকার চালু ও তুলনামুলক খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সময়োপযোগী একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। এত অল্প সময়ে দেশের জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান প্রণয়নের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। যা বঙ্গবন্ধুর দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ছিল আরেকটি অসামান্য অর্জন। একটি নতুন দেশের জন্য একটি জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত নির্ধারণ করাও ছিলো বঙ্গবন্ধুর হিমালয়সম ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের অসামান্য অর্জন।
মিত্রবাহিনীকে তাদের দেশে ফেরৎ পাঠানো, সংবিধান প্রণয়ন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুর্নগঠনে মনোযোগী হওয়ার সাথে সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিলো বঙ্গবন্ধুর আরো একটি ঐতিহাসিক অর্জন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের কিছু দেশ এবং প্রভাবশালী দুয়েকটি দেশও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিল। স্বাধীনতার পরও তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত ছিলো। আর সদ্য পরাজিত পাকিস্তান তো তখনও পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারে নাই। এর মধ্যেও জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন, জোট নিরপেক্ষ দেশের সদস্যপদ, কমনওয়েলথ সদস্যপদ ওআইসির সদস্যপদ অর্জন ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও এই অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় অধিকাংশ দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল। সৌদি আরব, চীনসহ কিছু দেশ তখনও পাকিস্তান প্রীতিতে বিভোর থাকায় এবং দেশবিরোধী কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পালিয়ে বিদেশে অবস্থান করে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বদনাম করে বাংলাদেশের কাছ থেকে দূরে রেখেছিল। কিন্তু রাশিয়া, ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্যসহ অনেক প্রভাবশালী দেশ এবং বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্বের বুকে সদ্য স্বাধীন ছোট একটি দেশের নেতা হিসেবে নয়, তৎকালীন সময়ের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মহান নেতা ও প্রতীক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে পৃথিবীর মানুষ অতি উচ্চ মর্যাদায় গণ্য করতেন ও সম্মান করতেন। জাতিসংঘের সদস্যপদ পেয়ে তার প্রথম অধিবেশনে নতুন একটি সদস্য রাষ্ট্রের নেতা হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় বক্তব্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেমন বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছিলেন তেমনই সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এতো গেল সব আন্তর্জাতিক অর্জন।
সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ, যে দেশকে দখলদার পাকিস্তান হানাদার বাহিনী প্রায় ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিল। অতি অল্পসময়ে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা, কলকারখানায় উৎপাদন শুরু করা, নৌ ও আকাশপথ চালু করে বিদেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা ছিল দুরুহ কাজ। যা বঙ্গবন্ধু অতি অল্পসময়ে করেছিলেন। পাকিস্তানিরা তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে এই দেশকে ধ্বংসলীলায় পরিণত করেছিলেন। শুধু পোড়ামাটি রেখে গিয়েছিলো, যে পোড়ামাটির গন্ধে ছিলো ত্রিশ লক্ষ আদম সন্তানের লাশের গন্ধ। যারা ছিলেন আমাদের কাছে বীর শহীদ, যাদের পবিত্র শরীরের রক্তে কেনা আমাদের এই স্বাধীনতা। সেই ধ্বংসলীলায় বঙ্গবন্ধু ফুল ফোটানো শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় গর্ব করে বলতেন আমার দেশের সোনার মাটি আছে আর আছে সোনার মানুষ। তাই সম্বল করে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দেশি বিদেশি চক্রান্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করতে শুরু করেছিলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন, প্রাথমিক শিক্ষাকে সরকারিকরণ, জ্ঞানভিত্তিক কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে মানবশক্তিকে মানব সম্পদে পরিণত করার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই রচনা করেছিলেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে এক সুতোয় গাঁথতে দেশ স্বাধীনের পরপরই দেশের দুই প্রধান নদী পদ্মা ও যমুনার উপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে জাপানের সাথে সম্ভব্যতা যাচাই শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি সময়ের অভাবে করতে পারেন নাই। দেরিতে হলেও পিতা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন তার কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। যা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তা অনেক আগেই সম্ভব হতো। কিন্তু ঘাতকরা তাকে সেই সুযোগ দেয় নাই।
মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে শিক্ষা। সেই শিক্ষাকে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে উপমহাদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ড. কুদরত-ই-খুদাকে চেয়ারম্যান করে একটি শক্তিশালী বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। যা সেই সময় বাস্তবায়ন করলে শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী ফলাফল পাওয়া যেতো। প্রাথমিক শিক্ষার কথা আগেই উল্লেখ করেছি। আজকে যে শিক্ষাক্ষেত্রে যেসব অর্জন তার ভিত রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। তারপর স্বাস্থ্যখাতেও বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য। বঙ্গবন্ধু চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন এবং কাজও শুরু করেছিলেন। এককথায় একটা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটা বঙ্গবন্ধুই দেখিয়েছিলেন।
সদ্যস্বাধীন দেশের অবকাঠামো বলতে কিছুই ছিল না। অবকাঠামোসমূহের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। এছাড়া পাকিস্তানি হায়েনাদের কারণে দেশটির কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও পরিবহনখাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নতুন দেশ হিসেবে এর জনঘনত্ব ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উচ্চ ছিল। অধিকাংশ মানুষ ছিল নিরক্ষর, অপ্রশিক্ষিত ও বেকারত্বের শিকার। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণে দেশের আবশ্যকীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছিল। নবপ্রতিষ্ঠিত দেশে কাজে লাগানোর মতো প্রাকৃতিক সম্পদও ছিল না। ভারত থেকে প্রত্যাবর্তনকারী প্রায় ১ কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসনও ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ রকম একটি দেশটির পুনর্গঠন ছিল একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে অল্প সময়ের মধ্যেই মোকাবিলা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক জীবনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো না। সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের ওপর সদ্যগঠিত সরকারের নিয়ন্ত্রণ করা ছিল দুরুহ। যারা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদের কাছে যেমন ছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তেমনি যারা সরাসরি যুদ্ধ করেননি তাদের কাছেও ছিল অস্ত্র। এই অস্ত্র উদ্ধার ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণের প্রথম শর্ত। যা বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এক কথায় সেদিন সবাই অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন। সেটাও ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য এক বিরাট অর্জন। এছাড়াও পরিকল্পনা কমিশন গঠন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চালু করা, ডাকটিকিট ও নতুন মুদ্রা চালুকরণ সম্ভব হয়েছিল। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কৃষি ও শিল্প নীতি, অর্থনৈতিক নীতি ও পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু করা ছিল বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা।
আমাদের গৌরবের সশস্ত্র বাহিনীকে সদ্য স্বাধীন দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে শক্ত ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। জনপ্রশাসনকে এককেন্দ্রিক করে সদ্যস্বাধীন দেশের উপযোগী করে গড়ে তোলা ও বিদেশের মিশনগুলোতে সঠিক লোক দিয়ে শুরু করার কাজটি অল্প সময়েই দৃঢ়ভাবে করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। একটি সুন্দর পররাষ্ট্র নীতি যার মূল কথা ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এই নীতি নিয়ে চালু হওয়া সেই পররাষ্ট্রনীতিই আজও বলবৎ আছে।
এক কথায় একটি সদ্য স্বাধীন দেশের ভিত্তিমূল রচনা করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই অল্প সময়ে করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে যখন বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন তখনই দেশি বিদেশি চক্রান্তকারীরা ও এ দেশীয় কিছু কুলাঙ্গার মিলে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করে বাংলাদেশকে স্তব্দ করে দেয়। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ আরো আগেই উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতো। কিন্তু ঘাতকরা তা নৃশংসভাবে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এতকিছুর পরেও সুখের কথা এই বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন উন্নত বাংলাদেশ বা সোনার বাংলাদেশ তার সুযোগ্য সন্তানের হাত ধরেই গড়ে উঠছে। যা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরো আগেই হতো। এটাই একটা স্বার্থকতা।
১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্ট সুবেহ সাদেকের সময় স্বপরিবারে চিরতরে শেষ করে দেয়া হয়েছিল তারই নির্মিত স্বদেশে। সেদিন যে অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শাহাদত বরণ করেছিলেন, সেই অতৃপ্ত আত্মার দোয়ায় ও ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও আড়াই লাখ মা বোনের চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশ তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর সেই গড়ে দেওয়া ফাউন্ডেশনের উপর নির্মিত আজকের এই বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ মাঝে মাঝে গতি হারালেও তারই আদরের বড় সন্তানের হাত ধরে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে চলছে। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টে বিদেশে থাকায় ভাগ্যগুনে বেঁচে যাওয়া মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আজ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একদিন দেখেছিলেন এই জনপদের কাদামাটিতে বেড়ে উঠা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার অসামান্য অবদানের ফসল এই আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই অর্জন অজেয়, চিরঞ্জীব, গর্বের, অহংকারের।
লেখক: কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
সারাবাংলা/এসবিডিই
পঞ্চান্ন বছরের এক অসামান্য জীবন মত-দ্বিমত মো. আসাদ উল্লাহ তুষার