৭ নভেম্বর: রাজনীতি এখনো ষড়যন্ত্রমুক্ত হয়নি
৬ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:০১
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবরে হত্যার মধ্য দিয়ে যে বিয়োগান্ত রাজনৈতিক ধারার সূচনা তার ধারাবাহিকতায় সে বছরের নভেম্বর মাসে ঘটেছিল আরও কিছু হত্যাকাণ্ড। ৩ নভেম্বর জেলখানায় বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল চার জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে। এই চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই চার জনই মূলত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির পদে বসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য মোশতাকের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে তার মন্ত্রিসভায় যোগ দিলেও ব্যতিক্রম ছিলেন চারজন। সেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। সেই কারাগারেই ৩ নভেম্বর তাদের হত্যা করা হয় খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে। ১৫ আগস্ট যে ঘাতক দল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় অংশ নিয়েছিল তাদেরই কয়েকজন জেলহত্যায়ও একই নৃশংসতায় অংশ নিয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাৎক্ষণিকভাবে সংগঠিত কোনো প্রতিবাদ না হলেও ধীরে ধীরে প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু ভক্তদের একাংশ সক্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগ নেতৃত্বের একাংশ, ছাত্র ইউনিয়ন এবং আওয়ামী লীগের প্রগতিশীল অংশ এবং সিপিবি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের বিচার দাবিতে জনমত সংগঠিত করতেউদ্যোগ কিছু কিছু সাহসী উদ্যোগ নিতে থাকে। আবার সেনাবাহিনীর ভেতরেও খুনিচক্রের বিরুদ্ধে, তাদের ঔদ্ধত্য, বাড়াবাড়ি ও আস্ফালনে বিরক্তি বাড়তে থাকে। খুনিদের দয়ায় সেনাবাহিনী প্রধানের পদ পেয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান বস্তুত তাদেরই একজন হয়ে পড়েন। তাকে দিয়ে সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না – এটা বুঝতে পেরে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা সেনা কর্মকর্তাদের কারো কারো মধ্যে সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তার সমর্থকদের নিয়ে ৩ নভম্বর ভোরে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মোশতাককে ক্ষমতাচ্যুত করতে যান এবং একই সঙ্গে সেনাপ্রধান জিয়াকে বন্দী করেন। খালেদ মোশাররফের এই উদ্যোগের খবর জেনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে কিছুটা ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। খালেদ সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে কারাগারে আটক চার নেতার কাছেই ক্ষমতা চলে যাবে ভেবে তারা তাৎক্ষণিকভাবে জেলহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় এবং দ্রুত তা কার্যকর করে। তবে জেলের ভেতর এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের খবর গোপন রাখা হয়।
অন্যদিকে খালেদ মোশাররফের উদ্যোগ নিয়ে কারো মধ্যে কোনো স্পষ্ট ধারণা ছিল না। তিনি প্রকৃতপক্ষে কী করতে চান তা খোলাসা করে বলেননি। রেডিও-টেলিভিশন ছিল নীরব। ভেতরে ভেতরে তিনি বঙ্গভবনে গিয়ে খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে দেনদরবার করতে থাকেন। মোশতাককে গ্রেপ্তার না করে তার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা ছিল খালেদ মোশাররফের বড় ভুল। অভ্যুত্থান করলে যে সব বিষয়ে সতর্কতা দরকার তা খালেদের ছিল না। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরুদ্ধ পক্ষ সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার অদূরদর্শিতা ও নমনীয়তার সুযোগ গ্রহণে তৎপর হয়ে ওঠে জিয়ার অনুগত, ফারুক-রশীদের অনুগত এবং জাসদের কর্নেল তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। তারা নানাভাবে খালেদ মেশাররফকে খলনায়ক বানাতে মাঠে নামে। তাকে ভারতের দালাল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রচার-প্রচার শুরু হয়। তিনি নিজে মেজর জেনারেলের ব্যাজ পরিধান করে সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নেন। বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন। অথচ সেনানিবাসের ভেতরে তার বিরুদ্ধে যে কর্নেল তাহেরের সমর্থক বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার কোনো খোঁজখবর তিনি রাখেননি।
৭ নভেম্বর ভোরে ঘটে তথাকথিত ‘সিপাহী জনতার অভুত্থান’। বন্দীদশা থেকে জিয়াউর রহমান টেলিফোনে কর্নেল তাহেরের কাছে তার জীবন রক্ষার অনুরোধ করায় তৎপর হয়েছিলেন তাহের। তিনি জিয়াকে দিয়ে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করার অলীক খোয়াব দেখেছিলেন। ৭ নভেম্বরের ঘটনার পরিকল্পনাকারী ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া কর্নেল আবু তাহের এবং তার রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। তাহের বাহিনীর চেষ্টায় মুক্ত হয়ে এসে তথাকথিত সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান পুরো সুফল নিজের ঝুলিতে ভরতে সক্ষম হয়েছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। ওইদিন হত্যা করা হয়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হদা এবং এটিএম হায়দারসহ আরও কয়েকজন সেনাসদস্য ও কর্মকর্তাকে। যেহেতু এক চরম বিভেদ এবং বিভ্রান্তির মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলী সংগঠিত হয়েছিল, সেজন্য ওইদিনটি পরে একেক পক্ষ একেক নামে ডেকে থাকে বা অভিহিত করে থাকে। কারো কাছে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস, কারো কাছে সৈনিক জনতার অভ্যুত্থান দিবস, আবার কারো কাছে বা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। তবে আর যাই হোক ৭ নভেম্বর দেশে কোনো বিপ্লব হয়নি। ওই দিনের ঘটনাকে বিপ্লব বলে অভিহিত করা হলে বিপ্লব শব্দটিরই অপব্যাখ্যা হয়। অন্যদিকে সেদিন যা ঘটেছিল তা কোনো ভাবেই জাতীয় ঐক্যকে সংহত করেনি। তবে এটা ঠিক যে, ওইদিনের ঘটনায় জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে তার অবস্থান সংহত করে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পথটি সুগম করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের রাজনীতির গতিমুখ পরিবর্তনের সূচনা হয়। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, দেশের রাজনীতিকে প্রগতিবিমুখ ও পাকিস্তানমুখী করে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড কয়েকজন সেনা সদস্য প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দিলেও এর পেছনে ছিল দেশি-বিদেশি নানা শক্তি। আওয়ামী লীগের ভেতরেই ছিল ঘাতকদের সহযোগীরা। কয়েকজন মাথা গরম জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা আকস্মিক হঠকারিতাবশত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছিল, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এটা পূর্ব পরিকল্পিত এবং সে কারণেই ছিল যেন অনিবার্য। ১৫ আগস্ট না হয়ে অন্য যেকোনো দিন অমন নৃশংস ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা ও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সে অশুভ শক্তির অপতৎপরতা বন্ধ বা দূর করার মতো বিচক্ষণতা দেখানোর অবস্থা ছিল না। নানা কারণে বঙ্গবন্ধু হয়ে পড়েছিলেন রাজনৈতিকভাবে নিঃসঙ্গ। ধীমান পরামর্শদাতাদের সঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল দূরত্ব। বাকশাল তিনি করেছিলেন জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে কিন্তু সেটা হয়নি। আসলে হওয়ার মতো অবস্থাও রাখা হয়নি। ফাঁকফোকড় ছিল বেশি। উপযুক্ততা বিচার করে পদপদবি দেওয়া হয়নি।
খন্দকার মোশতাক প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার প্রায় সবাই মোশতাককে সমর্থন করায় সাধারণ মানুষ ছিল দিশাহীন। খুনিরা অতি সহজে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। তবে খুনি মেজরদের দৌরাত্ম্যে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সেনাবাহিনীর মধ্যে তৈরি হচ্ছিল বিরূপতা। এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে খালেদ মোশাররফও কিছু ভুল করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ সরাসরি নিজের হাতে না নিয়ে তিনি খন্দকার মোশতাককে চাপ দিয়ে খুনি মেজরদের বাগে আনার পথ গ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গভবনে মোশতাককে যখন ক্ষমতাহীন করতে ব্যস্ত, তখন খুনিরা জেলহত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ফেলেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে যাতে আবার চলে না যায়, সাংবিধানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যাদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার কথা তাদের পৃথিবী থেকে বিদায় করার নিষ্ঠুর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন খন্দকার মোশতাক এবং তার খুনি সহযোগীরা। জেলে চার নেতাকে হত্যা করে খুনি মেজররা নিরাপদে দেশ ত্যাগ করতে পারে খালেদ মেশাররফের দুর্বলতা ও দোদুল্যমানতার জন্যই।
প্রতিক্রিয়াশীল, ধর্মান্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়ে খালেদ মোশাররফের অবস্থানের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এবং তার মিত্ররা তখন ছিল অসংগঠিত, বিচ্ছিন্ন এবং কিছুটা দিশাহারা। পরিস্থিতির সুযোগ নেয় জাসদ, গণবাহিনী, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। সামরিক বাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আগেই খালেদ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। ব্রিগেডিয়ার থেকে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হওয়া ছাড়া আর কিছু তিনি দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট করতে পারেননি। অথচ ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর রাত পর্যন্ত কর্নেল তাহেরের উদ্যোগে সেনানিবাসসহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য সভা হয়েছে। কর্নেল তাহের একটি পাল্টা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি সৈনিকদের অস্ত্র হাতে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বাইরে অপেক্ষা করবে জাসদ সমর্থক শ্রমিক-ছাত্ররা আর সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে আসবে সশস্ত্র সৈনিকরা। এভাবেই সৈনিক-জনতার অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করেছিলেন কর্নেল তাহের। কিন্তু খালেদ মোশাররফ আসলে কী করতে চেয়েছিলেন, তিনি কী বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচারের আওতায় আনতে চেয়েছিলেন, নাকি সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, তা কারও পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও খা্টি দেশপ্রেমিক হয়েও তাকে ভারতীয় স্বার্থের ধারকবাহকের মিথ্যা অপবাদ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
কর্নেল তাহের জিয়াকে মুক্ত করেন এবং জিয়া হয়ে পড়েন কার্যত হিরো। তাহের বুঝতে পারেননি যে তার মতের অনুসারী হয়ে নয়, বরং তাকে ব্যবহার করছেন নিজের অবস্থান পোক্ত করার জন্য। তাহের ছিলেন সরল এবং বিপ্লববিশ্বাসী। কিন্তু প্রকৃত বিপ্লবের জন্য যে সংগঠন শক্তি লাগে সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। জাসদের তেমন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতিও ছিল না। জাসদের প্রতি অন্য কোনো বাম-প্রগতিশীল শক্তির রাজনৈতিক সমর্থনও ছিল না তাদের হঠকারী নীতির কারণে। অন্যদিকে জিয়া ছিলেন চতুর, সময় ও সুযোগের সদ্ব্যনারে পারঙ্গম। তাছাড়া খালেদ মোশাররফ ভারতের সাহায্য নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে চায় – এই প্রচারণায় আওয়ামী লীগবিরোধী সব শক্তি জিয়ার পক্ষে দাঁড়ায়। জিয়া সফল হন এবং তাহেরের উপকারের প্রতিদান দেন তাকে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করে।
পঁচাত্তরের আগস্ট ও নভেম্বর ট্র্যাজেডি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছিল, সাড়ে চার দশকের বেশি সময়েও তা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা যাবে না। । আজ দেশে যে হিংসার রাজনীতি দানবের মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তার বীজ রোপিত হয়েছে পঁচাত্তর-হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিচার সম্পন্ন করে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।তবে রাজনীতি এখনো ষড়যন্ত্র মুক্ত হয়নি।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
সারাবাংলা/এসবিডিই
৭ নভেম্বর: রাজনীতি এখনো ষড়যন্ত্র মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বিভুরঞ্জন সরকার মত-দ্বিমত