ইতিবাচক যুবশক্তি যুবলীগ
১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩১
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনে যুব সমাজ যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে হয়তো সেই চিন্তা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের বীর সংগঠক, মুজিব বাহিনীর প্রধান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বহুমাত্রিক প্রতিভাসম্পন্ন রাজনীতির এক সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে জতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুবলীগ প্ৰতিষ্ঠা করেন।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সব নেতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক ছাত্রনেতা ও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিশীল জাতীয় পর্যায়ের তরুণ ব্যক্তিবর্গ। যারা পরবর্তীতে সামনে থেকে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন, অনেকেই এমপি, মন্ত্রী হয়ে দেশ সেবায় বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন বা এখনো করছেন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রায় সবাই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস। চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, আমির হোসেন আমু, সৈয়দ আহমেদ, ফকির আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ নাসিম, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, মোস্তফা মোহসিন মন্টু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী ফিরোজ রশীদ, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, এম এ রেজা, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনসহ সেই সময়ের সব তারকা যুব নেতৃবৃন্দ। যাদের অনেকেই পরবর্তীতে যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৫ সালে যুবলীগকে জাতীয় যুবলীগে রূপান্তরিত করলে বর্তমান জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ তার নেতৃত্বে আসেন। আব্দুল জলিল (সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ. লীগ), রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, সরদার আমজাদ হোসেন, এড. সৈয়দ রেজাউল রহমান, এম এ রশিদ, মনিরুল হক চৌধুরী, মতিউর রহমান, বর্তমান কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেক প্রতিভাবান নেতৃবৃন্দ ছিলেন সেই কমিটিতে। আজকের জাতীয় রাজনীতির অনেকেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলেন। বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু একসময়ের যুবলীগ নেতা, তিনি পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইতিবাচক ধারায় রাজনীতি শুরু করে। সারা দেশের শিক্ষিত প্রতিভাবান নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় কমিটি গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাছাই করে মেধাবীদের যুবলীগের স্থান করে দেন। প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই যুবলীগ একটি গতিশীল, তারুণ্যনির্ভর, কর্মচঞ্চল একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে আওয়ামী যুবলীগ। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমুলক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুবলীগ তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে যুবলীগ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি শক্ত জায়গা করে নেয়।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। সদ্য যুদ্ধফেরত যুবসমাজকে দেশের কাজে লাগাতে গেলে তাদেরকে একটি সংগঠিত রাজনৈতিক ব্যানারে নিয়ে আসা খুবই জরুরী ছিল । তিনি সে কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুসম্পন্ন করেছিলেন । শেখ ফজলুল হক মণির চিন্তা ভাবনা ছিল অত্যন্ত আধুনিক, ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি এবং গণতন্ত্রমনা একজন উদার মানুষ। যিনি একাধারে লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং দার্শনিক ছিলেন। যার চিন্তা চেতনা ছিল অনেক উঁচুমানের ও সুদূরপ্রসারী। দেশকে কিভাবে আগামী দিনের নেতৃত্ব দেয়া যায় সে নেতৃত্ব তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। অবশ্য দীর্ঘ এই অর্ধশতাব্দির পথ পেড়িয়ে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছাড়া যুবলীগ তার দেখানো পথেই জাতির পিতার আদর্শের মশাল বয়ে চলছে।
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা যুবলীগ দেশ স্বাধীনের পরে দেশ সেবায় নিজেদেরকে সম্পূর্ণ আত্মনিয়োগ করে। দেশ স্বাধীনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মণিকে সস্ত্রীক নির্মমভাবে হত্যা করার পর যুবলীগ নেতৃবৃন্দ এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু খুনিচক্র মোস্তাক-জিয়া-ফারুক রশীদ গংরা রাষ্ট্রীয় শক্তি লেলিয়ে দিয়ে অনেক যুবলীগ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যুবলীগ নেতা চট্রগ্রামের মৌলভী সৈয়দ আহমেদ ও বগুড়ার যুবলীগ নেতা খসরুসহ অনেকেই শহীদ হন। কিন্তু যুবলীগ থেমে থাকেনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দেশে ফিরলে যুবলীগ তাঁর সঙ্গে থেকে আজ পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী জিয়া-এরশাদ- খালেদা জিয়ার দুঃশাসন বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে যুবলীগ নেতৃত্ব দিয়ে শহীদ নূর হোসেন সহ অনেক নেতা কর্মী জীবন দিয়েছেন। অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যুবলীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল ও পরিপূর্ণ আস্থা রেখে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সময়ে সময়ে যুবলীগের প্রতি বিভিন্ন কুচক্রী মহলের নানা ষড়যন্ত্রের কারণে যুবলীগকে হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রশ্নের সম্মুখীন করার বার বার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করা হয়েছে। কিন্তু যুবলীগ তার অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছতে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির সুযোগ্য সন্তান, তরুণ প্রজন্মের অহংকার শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নেতৃত্বে বর্তমান যুবলীগ দেশব্যাপী একটি সুশৃংখল, কর্মীবান্ধব মানবিক যুবলীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। যুবলীগ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ানো যেকোনো অপশক্তিকে মোকাবেলা করতেও রাজপথে সক্রিয় রয়েছে।
যুবলীগের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর পর শুরু হওয়া মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসে। তার পরিবর্তে মানবিক কার্যক্রমে যুবলীগ একনিষ্ঠভাবে দেশব্যাপী কর্মযজ্ঞ পরিচালিত করেছে । সামাজিক নানা কার্যক্রম, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সংকট কালে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে তুলে দেয়াসহ জাতীয় জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়া, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, রক্তদান, গৃহহীন মানুষের মাঝে নতুন ঘর তৈরি করে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মানবিক কর্মসূচি নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক নিখিলের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে। তাদের নেতৃত্বে যুবলীগ একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির শিক্ষিত, স্বচ্ছ,সাবেক ছাত্র নেতাদের সমন্বয়ে যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে তারা তাদের জায়গা থেকে সংগঠনের কাজে এবং নানা সামাজিক কাজে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একটি যুব রাজনৈতিক দল হিসেবে যুবলীগ আজ একটি মানবিক ইতিবাচক যুবশক্তিতে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই শেখ ফজলে শামস পরশ ও নিখিলের তত্বাবধানে সারাদেশে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দেশব্যাপী দিনরাত পরিশ্রম করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোভিড -১৯ এর শুরু থেকে কর্মহীন হয়ে পরা অসহায় লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। যতদিন এই সংকট ছিলো, ততদিন এই সহায়তা দিয়েছে । মানুষের মাঝে খাবার, নগদ অর্থ ও ঈদ পার্বনে নতুন কাপড় উপহার দিয়েছে যুবলীগ। এছাড়াও করোনা রোগীদের সেবায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে ঘরে ঘরে সেবা দেয়া, ফ্রি এম্বুলেন্স সহায়তা প্রদান, টেলি মেডিসিন সহায়তাসহ মৃতদেহের ধর্মীয় রীতিনীতি মোতাবেক দাফনের ব্যবস্থা করেছে। এ সবই করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে। এ কাজ করতে গিয়ে সারাদেশে অনেক নেতাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৬৪ জেলায় যুবলীগের পক্ষ থেকে ঘরবাড়ি বিহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির সন্তান এবং আধুনিক চিন্তাধারার শিক্ষিত, সজ্জন এবং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির সৎ ও কর্মী বান্ধব মানুষ হিসেবে শেখ ফজলে শামস পরশ ইতিমধ্যেই দেশবাসীর নজর কেরেছে। দেশব্যাপী একদম তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত একাডেমিক এবং সাংগঠনিক দিক বিবেচনায় যুবলীগকে যেভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করেছেন যুবলীগ আগামী দিনে অবশ্যই শুধু বাংলাদেশ নয় এই উপমহাদেশের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ যুব সংগঠনে পরিণত হবে। যুবলীগ হবে আগামী দিনের জন্য সৎ, মেধাবী, আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ,নির্ভীক ও মেধাবী ইতিবাচক নেতৃত্ব তৈরির অন্যতম কারখানা। যা শুরু করেছিলেন তার পিতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি। পিতার দেখানো পথেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সার্বিক দিক নির্দেশনায় যুবলীগ তার কাঙ্খিত পথেই এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু মুজিব ও শহীদ শেখ মণি দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে যুবলীগ তার সর্বশক্তি নিয়োগ করে নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে কাজ করে যাবে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিশেষ করে একটি যুব সংগঠন হিসেবে সংকটে, সংগ্রামে, মানবিকতায় যুবলীগ অনেক আগে থেকেই তাঁর সক্ষমতার জানান দিয়ে যাচ্ছে। সেই যে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পথচলা শুরু হয়েছিল তা এই সুবর্ণজয়ন্তি পার করে এসে এখনও অব্যাহত আছে বরং সমায়ের সাথে তাল মিলিয়ে তা আরো গতিশীল ও যুগোপযোগী হচ্ছে। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সার্বিক তত্বাবধানে এবং তাঁর দিকনির্দেশনায় যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে। কোন অন্যায় করে কোন যুবলীগের নেতাকর্মী আজ আর রেহাই পাচ্ছে না। যুবলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা আজ সবক্ষেত্রে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক নিখিলের ইতিবাচক চিন্তাভাবনার কারনে। যে চিন্তা ভাবনায় তারা দেশকে কিছু দেয়ার জন্য দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার জন্য সর্বদা তাগিদ অনুভব করেন। আর আজ সেকারণেই সোশ্যাল বা ইলেকট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় যুবলীগের নানা ধরণের ইতিবাচক মানবিক কার্যক্রমের চিত্র ফুটে উঠে। যা একটি সংগঠনের জন্য খুবই সুখের বিষয়। আশা করা যায় যুবলীগ তার চলমান পরিশুদ্ধ নেতৃত্বের কারণে ও ইতিবাচক চিন্তাধারায় অদম্য গতিতে তাঁর অভিষ্ঠ লক্ষে পৌঁছে যাবে। যেখানে ক্ষুধা, দারিদ্র ও নিরক্ষরমুক্ত, আধুনিক কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধশালী, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরির যে সংগ্রাম রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান তা বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাবে।
প্রতিষ্ঠার ৫১তম এই শুভদিনে যুবলীগের লক্ষ কোটি নেতা কর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিবাদন। যে প্রত্যাশা নিয়ে আজ থেকে অর্ধশতাব্দি আগে এই সংগঠনের জন্ম হয়েছিল সেই প্রত্যাশা পুরনে যুবলীগ বীরদর্পে এগিয়ে যাবে। যুবলীগ তার পূর্বসূরীদের ঐতিহ্যের ঝান্ডা উড্ডীন রেখে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ শেখ মণির দেখানো পথ বেয়ে তার সুযোগ্য সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে যুবলীগের একজন গর্বিত কর্মী হিসেবে সেই প্রত্যাশা রইলো। যুবলীগ তার অতীতের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবে এটাই হোক প্রতিষ্ঠার ৫১তম বছরের অঙ্গীকার।
লেখক: কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
সারাবাংলা/এজেডএস