Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৭

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যাণে দেশে সংঘটিত হয়েছে আমূল পরিবর্তন। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে ডিজিটালাইজেশন, সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বিগত ১৫ বছরে দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বাস্তবায়ন করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন দিকে হাজার হাজার উন্নয়ন প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে সম্প্রতি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা সরনী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সারাদেশে ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯,৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪,৬৪৪টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫,৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। আগে যেখানে খাদ্য উৎপাদন ছিল এক কোটি টন, সেখানে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন দাঁড়িয়েছে চার কোটি টন। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক যুগ ধরে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়। ২০২০ সালেই দেশের মাথাপিছু আয় প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যায়। ১৯৭২ সালে যেখানে দেশের জিডিপির আকার ছিল ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সেখানে ২০২৩ সালে মোট জিডিপির আকার ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করে। ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ সেখানে ২০২৩ সালে তা কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছে। বর্তমানে চরম দারিদ্র্যের হার ৬ শতাংশের নিচে। স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫০ বছরের নিচে। শেখ হাসিনা সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও জীবন মানের উন্নতির ফলে ধাপে ধাপে গড় আয়ু বেড়ে বর্তমানে ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। কেবল যে গড় আয়ু বেড়েছে তা নয়, শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হারও কমেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯৭৩-এর ২ দশমিক ৭ থেকে কমে ২০২২ সালে ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৯ শতাংশ। শিক্ষার হার ২০১১ সালের ৫১ দশমিক ৭ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত হাজার হাজার উন্নয়ন প্রকল্পের গ্রহণ ও তার সঠিক বাস্তবায়নের ফলে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল যেখানে ৩৭৮২ মেগাওয়াট, বর্তমান সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫২২৭ মেগাওয়াট। ২০০৬ সালে মোবাইল ফোনের সিম ছিল ১৯ মিলিয়ন বর্তমান সময়ে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩.৫৩ মিলিয়ন। ২০০৬ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ জন বর্তমান সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ জন। ২০০৬ সালে ওয়ার্কিং ফোর্সে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ২১.২% বর্তমান সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩.৪৪%। এছাড়াও সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার। নারী, শিশু ও সেবাপ্রার্থীদের জন্য দেওয়া হচ্ছে ২৭ রকম ওষুধ ও সেবা। নদী ভাঙ্গন ও নবসৃষ্ট এলাকাসহ মোট ৩৬৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ২৭৭৬টি হাট-বাজার উন্নয়ন, ১২৪৬টি সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল (লাখে) ৩৭০ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে কমে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬১ জন। ২০০৬ সালে মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল ৫৪%, বর্তমান সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.২৫ %। ২০০৬ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৭৭%। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে বেকারত্ব কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬%। ২০০৬ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল মাসিক ১৪৬২ টাকা বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৮৩০০ টাকা। মুক্তিযোদ্ধার সন্মানী ভাতা ৯০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছে সরকার। এছাড়াও উপকৃত হচ্ছে প্রায় ২ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। ভবিষ্যতের স্মার্ট প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে শতভাগ শিশুকে উপবৃত্তির আওতায় এনেছে সরকার। ফলে বিনামূল্যে শিক্ষাসুবিধা পাচ্ছে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশু। ২০০৬ সালে সেচের আওতাভুক্ত কৃষি জমি ছিল যেখানে মাত্র ২৮ লক্ষ হেক্টর বর্তমান সরকারের সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ লক্ষ হেক্টর। ২০০৬ সালে কৃষি উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৬১ লক্ষ টন কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০০৬ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিল যেখানে মাত্র ৪৫% সেখানে বর্তমান সময়ে ২০২৩ সালে ৩০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.৬%। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল যেখানে মাত্র ৬৫,৬৭২টি, বর্তমান সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৮,৮৯১ টি। এছাড়াও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৩,৪৪,৭৮৯ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৫৭,২০৩ জন। ২০০৬ সালে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেখানে ছিল মাত্র ৯টি সেখানে বর্তমান সরকারের সময়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬টি। ২০০৬ সালে মোট মৎস্য উৎপাদন ছিল ২১.৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। বর্তমান সরকারের সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩.১৪ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০০৬ সালে চা উৎপাদন ছিল মাত্র ৩৯ মিলিয়ন কেজি। বর্তমান সরকারের সময়ে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ মিলিয়ন কেজি। এছাড়াও ২০০৬ সালে লবণ উৎপাদন ছিল ৮.৫৪ লক্ষ মে. টন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে লবণ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২৩.৪৮ লক্ষ মে. টন। ২০০৬ সালে পোল্ট্রির সংখ্যা ছিল ১৮ কোটি ৬ লক্ষ ২২ হাজার। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫২ কোটি ৭৯ লক্ষ। ২০০৬ সালে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ছিল যেখানে মাত্র ৫৫% সেখানে বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৪৩.৭% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৮%। ২০০৬ সালে শিশু মৃত্যুর হার ছিল (প্রতি হাজারে) ৮৪ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৪ গুণ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জন। ২০০৬ সালে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ০.২৩%। বর্তমান সরকারের সময়ে মোট জনগোষ্ঠীর ৭৩.৫৫% ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০০৬ সালে আইসিটি খাতে রপ্তানি ছিল মাত্র ২১ মিলিয়ন ডলার কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভাবনার দিগন্তে পত পত করে উড়ছে পতাকা। তাঁর একনিষ্ঠ তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নয়ন প্রকল্প একের পর এক পেখম মেলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু, মেট্রোরেল প্রকল্প, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চার লেন মহাসড়ক, পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, গ্যাস সংকট নিরসনে এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রাজধানীর চারপাশে স্যুয়ারেজ ট্যানেল নির্মাণ ইত্যাদি এইসব উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণ কাজ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টার ফসল। উন্নয়নের এ কর্মযজ্ঞে যোগ হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প এবং দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম প্রকল্প। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি অঞ্চলের কাজের উদ্বোধনও করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপদ এবং পণ্য পরিবহন-খালাস সহজীকরণ করতে নেয়া আরো কিছু অবকাঠামোর সংস্কার হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় তথ্য-প্রযুক্তি খাতেও অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের উদ্ভোদনের পাশাপাশি পূর্বে বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর ওপর দিয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুলে দেওয়ার পর ইতিমধ্যে সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গত অক্টোবর মাসে উদ্বোধন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে নেওয়া ১৫টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে ৫টি মেগা প্রকল্প। এই গুরুত্বপূর্ণ ৫ মেগাপ্রকল্প হচ্ছে- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেল। এই ১৫ মেগাপ্রকল্পের মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেছে। আর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে গত দুই সেপ্টেম্বর। আর গত ৫ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্য তিন প্রকল্পও উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় সাপেক্ষে উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। তিন প্রকল্প হচ্ছে – ১. খুলনা-মংলা রেল প্রকল্প, ২. দোহাজারী- কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প, ৩. আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃদেশীয় রেলপথ প্রকল্প। দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এরইমধ্যে মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচলের পর গত ২৩ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়েছে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। এ রেলপথ উদ্বোধনের পরে ঢাকাবাসীকে উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে মেট্রোরেলে এখন লাগে মাত্র ৩৮ মিনিট।

এদিকে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের মূল কাজ শেষে গত ২৮ অক্টোবর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বে ৪১ তম দেশ হিসেবে টানেলের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। পাশাপাশি ২২ অক্টোবর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ১৪০টি সেতু, ১২টি ওভারপাস ও যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র (ভিআইসি) উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমে দীর্ঘ ১৫ বছরে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশ তথা পুরো বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সুতরাং, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনা একই মুদ্রা দুই দিক। শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি মানেই শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের এই শাসনামলে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা আর কোন সরকারের আমলে হয়নি এবং হবেও না। এই দীর্ঘ সময়ের শাসনামলে শেখ হাসিনার প্রমাণ করলো যে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের গূরত্ব অপরিসীম। অদম্য বাংলাদেশের এই পথচলার ধারাবাহিকতা রক্ষায় আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা একান্তই দরকার। সেই অনুধাবন থেকে একটা জরিপে করা প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে এখনো বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা চাই। আমরা আশা করছি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের সেই ইচ্ছা শক্তির ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিকতা অতীতের ন্যায় রক্ষিত হবে।

লেখক: উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া মত-দ্বিমত শেখ হাসিনার বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর