Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার

সাব্বির আহমেদ
৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৭

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে গত ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ইশতেহারের স্লোগান ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। ইশতেহারে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি কমানো, কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ, কৃষি ব্যবস্থা সমন্বিত ও যান্ত্রিকীকরণ, শিল্পের প্রসার, আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সেবা সুলভ করা, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা ও প্রসার বাড়ানো। অগ্রাধিকার পাওয়া এই বিষয়গুলো সরাসরি জনমানস থেকে ইশতেহারের পাতায় উঠে এসেছে বলে মনে হয়েছে।

সুশাসন, অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা ও সেবা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এই চারটি খণ্ডে বিভক্ত ইশতেহারটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে ৩৭টি বিষয়। এই ৩৭টি বিষয়ের মধ্যেই ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের আগামী পাঁচ বছরের প্রয়োজন এবং উন্নত জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। শিশু থেকে প্রবীণ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষিত বেকার, নারীর ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্র-জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী– বেদে, তৃতীয় লিঙ্গ– সকলের প্রয়োজনের কথা একটি ছোট পুস্তকে সন্নিবেশ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার বৈকি। এ কাজটি সুচারুরূপে করার জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহার উপকমিটি আয়োজন করেছিল সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও গণ-আহ্বান করেছিল পরামর্শ।

ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বেশ কিছু অঙ্গীকার করেছে। তার যৎসামান্য এখানে উল্লেখ করছি। কর্মজীবী নারীদের কাজের সুবিধার জন্য জেলা শহরগুলোতে দিবাযত্ন কেন্দ্র ও কর্মজীবী নারী হোস্টেল তৈরি করে দেওয়া; বেদে, তৃতীয় লিঙ্গ এবং অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানুষদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসা; অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রয়োগে সকল বাধা দূর করা; জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার।

২০৪১ সাল নাগাদ প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের সোপান বিনির্মাণের জন্য সবার আগে দরকার হবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও চৌকস নাগরিক। সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগ জোর দিয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি এবং গণতন্ত্র চর্চার প্রতি। অগ্রাধিকারের মধ্যেই রয়েছে বিষয়গুলো। গণতান্ত্রিক চর্চা সুসংহত করার জন্য বিগত ১৫ বছরে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে তোলার জন্য ৮২টি আইনি সংস্কার, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি ও স্বচ্ছ ব্যালট বক্স চালু করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চাহিদামতো এখন বাজেট বরাদ্দ করা হয়। এছাড়াও ইশতেহারের বিস্তারিত অঙ্গীকারের মধ্যে আছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা সুপ্রতিষ্ঠিত করার এবং শিক্ষিত, দক্ষ, চৌকস ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষদের রাজনীতিতে আগ্রহী করে তোলার কথা।

আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছর সরকার পরিচালনাকালে দেশে শিক্ষিতের হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। অনেক বেড়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষকের সংখ্যা। কমেছে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার। তবুও সর্বজন গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে না হলেও শিক্ষার মান নিয়ে কিছুকাল ধরেই প্রশ্ন উঠছে। এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ বলেছে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ যৌক্তিক করে কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ভাষা, উচ্চতর গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করা হবে এবং উপযুক্ত ল্যাবরেটরি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। স্বাস্থ্য সেবা সহজলভ্য করার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য বিমা চালু করা, সবার জন্য হেলথ আইডি এবং হাসপাতালে অটোমেশন ব্যবস্থাপনা চালু করা এবং মহামারি ও অতিমারি থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের টিকা গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

সুস্বাস্থ্যের জন্য আরেক দরকারি বিষয় ক্রীড়া। ক্রীড়া সম্প্রসারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া ক্লাব গড়ে তুলে বিনামূল্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ হাজারের বেশি খেলার মাঠের উন্নয়ন ও ক্রীড়া অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে।

ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন বাংলাদেশ শুরু হয়েছিল রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের সহযোগিতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির দোসররা সামরিক ফরমানে পবিত্র সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে জামায়াতে ইসলাম, নেজামে ইসলামসহ রাজনীতিতে নিষিদ্ধ কয়েকটি যুদ্ধাপরাধী দলকে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। ১৯৭৫ সাল থেকে তারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ঘরে ঘরে গিয়ে এবং ধর্ম সভার আয়োজন করে একদিকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ দেশবাসীকে বিভ্রান্ত এবং অন্যদিকে অন্য ধর্মের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ করে ফেলেছে। এখনও তারা সে কাজ করে চলছে। এই বিভ্রান্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এতটাই যে, এখন পর্যন্ত এদের উপেক্ষা করা যায় না। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতা পুনরায় পবিত্র সংবিধানে ফিরিয়ে আনা হলেও এখনো রয়ে গেছে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের তকমা। টানা তিন মেয়াদে জাতীয় সংসদে নেতৃত্ব দিয়েও এ তকমা ঘুচাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। তবে সংস্কৃতি চর্চার প্রসার ঘটিয়ে সাংস্কৃতিক বিবর্তনের মাধ্যমে সে তকমা ধীরে ধীরে ঘোচাবার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবারের ইশতেহারে। এতে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও গণগ্রন্থাগার স্থাপন করা এবং সৃজনশীল প্রকাশনাসহ শিল্পের সব শাখার ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন ও চর্চার ক্ষেত্র প্রসারিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি।

আইনের শাসন নিশ্চিত করা না গেলে পৌঁছানো যাবে না স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে। সে লক্ষ্যে ইশতেহারে অঙ্গীকার করা হয়েছে পবিত্র সংবিধানকে সমুন্নত রেখে মানবাধিকার নিশ্চিত করার, ব্যক্তির গোপনীয়তা সংরক্ষণ এবং অপব্যবহার রোধ করার এবং গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার। এছাড়াও বলা হয়েছে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লজিস্টিকস, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার; প্রকল্প নির্বাচন, ব্যয় নির্ধারণ, মান নিরীক্ষা এবং সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করার; এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রমে অধ্যায় সংযোজন করার কথা। পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি।

এবারের ইশতেহারের প্রধান আকর্ষণ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং ‘কর্মসংস্থান’। ২০৪১ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া স্মার্ট বাংলাদেশের একটা রূপরেখা দেয়া হয়েছে এই ইশতেহারে। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিগত এবং উদ্ভাবনী। এর রয়েছে চারটি স্তম্ভ যথা: ১) স্মার্ট নাগরিক, ২) স্মার্ট প্রশাসন, ৩) স্মার্ট অর্থনীতি এবং ৪) স্মার্ট সমাজ। সেখানে শতভাগ শিক্ষিত মানুষ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের অনেক সমস্যা নিজেরাই সমাধান করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখবে; সহজলভ্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থাকার ফলে তথ্য নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের উৎপাদনশীলতা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হবে; জ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে সরকারের সিদ্ধান্তগ্রহণ সহজ ও যুৎসই হবে; মোক্ষম প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে জীবন-যাপন ঝঞ্ঝামুক্ত হবে, নাগরিকেরা গবেষণাধর্মী কাজ, সংস্কৃতি চর্চা ও মানবিক উৎকর্ষ সাধনের সময় ও সুযোগ বেশি পাবে।

টানা তিন মেয়াদের সরকার পরিচালনা করার সুযোগ পাওয়ার ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে পেরেছে। এ সময়ে কৃষিতে সাধিত হয়েছে নীরব বিপ্লব। খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বন্দর, শিল্প নগর, ইকোনোমিক জোন, হাই-টেক পার্কসহ শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। ভু-রাজনীতির পরিস্থিতিও রয়েছে অনুকূলে। শিল্পায়নের পরবর্তী ধাপে টেক-অফ করার এখনই সময়। এই মোক্ষম সময়টাকে কাজে লাগাতে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনি ইশতেহারে ফোকাস করেছে কর্মসংস্থানকে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র হচ্ছে শিল্প খাত। তৈরি পোশাক ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, ইলেক্ট্রনিকস, মোটরসাইকেল, কৃষি এবং অন্যান্য হালকা যন্ত্রপাতি ইতোমধ্যেই তৈরি হচ্ছে দেশে। আমদানির উপর চাপ কমেছে। অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ করে শিল্পের প্রসার ঘটানো আওয়ামী লীগের অন্যতম বিশেষ অগ্রাধিকার। শিল্পখাতের বিকাশ এবং নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি বছর ২০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার অঙ্গীকার করা হয়েছে ইশতেহারে। এছাড়াও রয়েছে ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদের উন্নয়ন করে শিল্প খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, বিদেশি মানবসম্পদের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ফেলা এবং কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হতে থাকবে। ২০৪১ সাল নাগাদ শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হতে হলে এর পর নজর দিতে হবে ভারী শিল্প উৎপাদনের দিকে। সে কথাও বলা হয়েছে ইশতেহারে।

একটা সরকারের কাজ হচ্ছে জনসাধারণের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেওয়া, যেন নাগরিকেরা নিজেরা নিজেদের অর্জিত জ্ঞান ও উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে ক্ষেত্রটা কাজে লাগিয়ে একই সঙ্গে নিজের, পরিবারের এবং সামাজের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে। নাগরিকেরা ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিতে অনেক কাজ করে উঠতে পারেন না। যেমন, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস উত্তোলন, সার কারখানা স্থাপন। সরকার শুধু এসব ক্ষেত্রে এবং বাজারে পূর্ণপ্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য কিছু কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে; আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে শিক্ষা, চিকিৎসার মত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেবাগুলো নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে সমাজকে এগিয়ে দেবে।

নাগরিকেরাই রাষ্ট্রের মালিক, সমাজের চালিকা শক্তি। আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে এই রাষ্ট্র দর্শনের প্রতিপালন স্পষ্ট। প্রয়োজনীয় এমন একটি বিষয় নেই যা এই ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ইশতেহার প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করেছে। অতীতেও দেখেছি, শতভাগ না হলেও ইশতেহারে উল্লেখিত অঙ্গীকারগুলো আওয়ামী লীগ পূরণ করে। সামনের দিনেও তা দেখার প্রতীক্ষায় থাকলাম। আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হলে ইশতেহারটির যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য দলটি একটি মনিটরিং সেল গঠন করে এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারে।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য

সারাবাংলা/আইই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর