Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩: বাংলাদেশের অর্জন

ড. মিহির কুমার রায়
২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৮

গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম কি

ইইউ কর্তৃক গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম সম্প্রতি চালু করা হয়। ইইউ এটিকে একটি কৌশল হিসাবে উপস্থাপন করেছে। এটি বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী একটি অভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। গ্লোবাল গেটওয়ে হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে যে ধরনের অবকাঠামো রয়েছে, যে ধরনের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে যে ধরনের সমস্যা আছে, সেগুলো মোকাবিলা করার একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। সেই উদ্যোগটি এসেছে ইইউ থেকে এবং এটিকে কৌশল বলা হচ্ছে এজন্য যে, এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলকে যুক্ত করা হবে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করে বিশ্বের যোগাযোগ, সাপ্লাই চেইন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন, শিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করা হবে। গ্লোবাল গেটওয়ে ধারণার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, এটি টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেবে, পাশাপাশি ইউরোপের যে মূল্যবোধ, তার ওপর আলোকপাত করবে। এটি এমন একটি ফোরাম যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশসমুহের সরকার এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ সমুহের বেসরকারী খাত, সুশীল সমাজ, চিন্তাবীদ সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংন্থার প্রতিনিধিদের একত্র করে বৈশ্বিক বিনিয়োগ বিশেষত: অবকাঠামো বিষয়ক খাতের উন্নয়ন নিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের চ্যালেন্জ নিয়ে আলোচনা করে থাকে।

বিজ্ঞাপন

বেলজিয়ামের পথে প্রধানমন্ত্রী

ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইনের আমন্ত্রণে ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ যোগ দিতে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একি দিনে বিমানটি ব্রাসেলস সময় ১৮টা ৪৫ মিনিটে ব্রাসেলসের জাভেনটেম বিমানবন্দরে পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশন আয়োজিত প্রথম গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ব্রাসেলস সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য একদিকে যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, অন্যদিকে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশের যত অর্জন, যেমন বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতি, বাংলাদেশের জিডিপির আকার গত ১৫ বছরে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে, একইসঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নেও ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে-এ বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব অত্যন্ত জোরালো ভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ, যেটি কৌশলগতভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াকে সংযুক্ত করেছে এবং একইসঙ্গে এটি অর্থনৈতিক ও যোগাযোগের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও জাপানের প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়

সফরে প্রধানমন্ত্রী ফোরামে যোগ দেয়ার ফাঁকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক মিলিত হয়েছেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্লে¬াবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী জিজিএফ কনফারেন্স ভেন্যু প¬্যানারি হলে সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন এবং ২৫ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তিনি পাঁচ মিনিটের ভাষণ প্রদান করেন । তারি ধারাবাহিকতায় কিছুক্ষন আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী ২৫ অক্টোবর ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেছেন। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বলা যায়, বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতার দিকে যাচ্ছে। ইইউর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কিছুদিন আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বাংলাদেশে সফর করার সময় এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ১০টি সুপরিসর বিমান কেনা হবে, যার মূল্য প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের উদীয়মান এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার জন্য এ এয়ারক্রাফট কেনার চুক্তি। বস্তুুত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক বর্তমানে অনেক বেশি অংশীদারত্বমূলক এবং এটিকে একটি উইন উইন কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করা যেতে পারে । আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইইউর সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা হচ্ছে। এ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনার একটি বড় বিষয় বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়ন।

এই ফোরামের আন্তর্জাতিক তাৎপর্য

ইইউর এ উদ্যোগটি আন্তর্জাতিক হলেও ইউরোপের একটি দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করেই এটি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এখানে ছয়টি কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে-বিশ্বকে সবুজ জ্বালানি ও গ্রিন হাইড্রোজেনে রূপান্তর করা, শিক্ষা ও গবেষণা, ক্রিটিক্যাল কাঁচামালের ওপর জোর দেওয়া, যোগাযোগ করিডর নির্মাণ, স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ করা। ইইউর এ উদ্যোগটি জি-সেভেনের ‘পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের’ সঙ্গেও যুক্ত এবং বলা যায়, এ দুটি উদ্যোগই প্রায় একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রহণ করা হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের গেটওয়েকে অনেক ব্যাপক পরিসরে বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে জি-সেভেন উদ্যোগটিতে মূলত: অবকাঠামোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। গ্লোবাল গেটওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বাইরেও অন্যান্য সামাজিক, অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপরে আলোকপাত করা হয়েছে। ধারণাগতভাবে বিষয়টিকে এভাবেই দেখা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গ্লোবাল গেটওয়ের একটি ভিন্ন মাত্রা রয়েছে। এটিকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি বিকল্প হিসাবেও অনেকেই বিবেচনা করতে পারে। এই প্রথম গ্লে¬াবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ইইউর প্রেসিডেন্ট ওরসোলা সরাসরি বলেছেন, এ উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে একটি বিকল্প বিশ্বের সামনে নিয়ে এসেছে এবং সেটি বিআরআই’র মাধ্যমে একচেটিয়া প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসা। ফলে এটিকে ভূ-রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির জায়গা থেকেও বিবেচনার সুযোগ আছে। এ ফোরামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বক্তব্যটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বিআরআই’র প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, পাশাপাশি গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামেরও প্রতিষ্ঠাকালীন সভায় যুক্ত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির যে ভারসাম্য, সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিফলিত হতে দেখি। এ ভারসাম্য শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূণ। প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, এ অঞ্চলের স্থলবেষ্টিত যে অঞ্চল অর্থাৎ নেপাল, ভুটান ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, তাদের যুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল।

বিভিন্ন বিনিয়োগ চুক্তি সম্পাদন ও সুধি সমাবেশ

ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সাড়ে ৪ কোটি ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।এ ছাড়া বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে একটি ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়।এই সফরে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭ কোটি ইউরোর পাঁচটি বিভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর হয়।একই দিন শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের পে¬নারী সেশনে যোগদান ও ভাষণ দেন। বিকেলে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মিলিত হন । ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ইসি কমিশনার জেনেজ লেনারসিক এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ইসি কমিশনার জুটা উরপিলাইনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে উরসুলা ভন ডের লেইনের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। টিভি চ্যানেল ইউরোনিউজ এবং পলিটিকো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেয়।

ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তিনদিনের সরকারি সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে ২৯ অক্টোরর মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ২৮ অক্টোবরের ঘটনার আগুন সন্ত্রাসীদের ধরে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা এসব অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ধরিয়ে দিন। এর আগেও তারা যখন করেছে তখনও জনগণ ঠেকিয়েছে। এবারও জনগণ ঠেকাবে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বেলজিয়াম সফরে অর্জিত সাফল্যগুলো বিস্তরিত তুলে ধরেন। এরপর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের হাসিমুখে উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ । সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। বেলজিয়াম সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী তিন বছরের পরিবর্তে ছয় বছরের জন্য বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আহ্বান জানানো হয়েছে । একইসঙ্গে পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বেলজিয়ামে সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এ সফরকালে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। গ্লোবাল গেটওয়ের আওতায় বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেক্টিভিটি, শিক্ষা, গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দুদিনের সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন।

লেখক: শিক্ষক, গবেষক, অর্থনীতিবিদ

সারাবাংলা/এসবিডিই

গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩: বাংলাদেশের অর্জন ড. মিহির কুমার রায় মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর