Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হ্রাসে অর্থনীতিতে দুশ্চিন্তা

রজত রায়
৯ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৪৩

কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে আছে। করোনার সময় শিল্পে যে ধাক্কা লেগেছিল তা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশের শিল্প খাত। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া, দেশের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ডলার সংকটসহ ইত্যাদি কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়।

দেশের শিল্প খাতের এমন দুরবস্থা কেন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট, এক বছরে নতুন কোন গ্যাস সংযোগ না দেওয়া, কাচাঁমাল আমদানি করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের শিল্প খাত নিম্নমূখী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনে ইসরাইলের ভয়াবহ আক্রমণ শুরু হয়। লোহিত সাগর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত পোশাক রপ্তানি কমে যায়।

করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কিছুটা কচ্ছপ গতিতে যাচ্ছে। ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এখন কমে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশের ঘরে এসেছে। এর মধ্যে জিডিপিতে গ্যাস বিদ্যুতের প্রবৃদ্ধি কমে ঋণাত্মক ধারায় এসেছে। দেশের শিল্পখাত দুই বছর ধরে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটের কারণে উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। কোনো দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার আর্থিক মূল্য হচ্ছে জিডিপির আকার। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বলতে আগের সময়ের চেয়ে আর্থিক মূল্য কতটুকু বাড়ল তার শতকরা হার। তবে প্রবৃদ্ধি হিসাব করার সময় মূল্যস্ফীতির হার বাদ দেওয়া হয়, যাতে অর্থনীতির আকার প্রকৃত অর্থে কী পরিমাণ বাড়ল, তার হিসাব পাওয়া যায়।
বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ। ওই বছরই সারা বিশ্বে করোনা মহামারী হানা দেয়। প্রভাব পড়ে দেশের শিল্প খাতেও। এর পরই প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে কমছে এ খাতের প্রবৃদ্ধি। করোনার পরও দেশের শিল্পে কিছুটা প্রবৃদ্ধি কমলেও ধারাবাহিকতা আগের মতোই ছিল। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সামান্য নেমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে হেলে পড়ে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি। এ খাতের প্রবৃদ্ধি ওই বছর ছিল ৮ দশমিক ৩৭। কিন্তু বছর শেষে এ খাতের প্রবৃদ্ধি নেমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ফলে ধারাবাহিকভাবে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শিল্পে উৎপাদন কমার চিত্র ফুটে উঠেছে।

দেশে অনেকদিন ধরে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি বহুল আলোচিত। যে কারণে বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। এর ফলে সাধারণ গরীব মানুষ তো বটেই, এমনকি মধ্যবিত্তদের ও নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। ২০২২ সালের ৫ আগষ্ট তেলের দাম বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি এক লাফে সাড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ উঠেছিল। সেই সাথে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। ২৮ মাসের ওপরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির চেয়ে গড় মুজুরি কম, অর্থাৎ মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। অর্থনীতির পরিভাষায় গড় মুজুরির চেয়ে গড় মূল্যস্ফীতি বেশি হলে, সেটি দেশের অর্থনীতির দুরবস্থাকেই ইঙ্গিত করে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগ ও ব্যর্থ হয়েছে।

অবশ্য সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্য সবরকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এক শ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ী সব সময় ওত পেতে থাকে বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে মুনাফার হার কত বেশি বাড়ানো যায়। সে অবস্থায় ভারত থেকে কোটা সুবিধার আওতায় ভোগ্যপণ্য আমদানির সুবিধাগ্রহণ ও সুফলদায়ক হতে পারে। সরকার বাজার ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে নিয়মিত পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখা জরুরি। বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে দুই বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ডলার গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম খাচ্ছিল দেশের উৎপাদন ও রপ্তানি নির্ভর শিল্প খাত।

করোনার সময়ে দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা থাকলেও বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল, পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগ পরিবেশের অবনতি হয়েছে। তার প্রমাণ মিলছে ২০২৩-২৪ সালের ব্যবসার পরিবেশ সুচকে (বিবিএস)। ২০২২ সালে সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যবসা পরিবেশের সূচকের ১০০ নম্বরের মধ্যে স্কোর ছিল ৬১ দশমিক ৯৫। গত বছর ২০২৩ সূচকের স্কোর কমে ৫৮ দশমিক ৭৫ নেমেছে। অর্থাৎ এক বছরে দেশে ব্যবসার পরিবেশ অবনতি ঘটেছে।

ডলারের দর বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম এখন ১১৮ টাকা। ২০২২ সালের মে মাসেও ৮৬ টাকায় ডলার কেনা যেত। খুব দ্রুত মান হারিয়েছে টাকা, ফলে প্রচন্ড চাপে পড়েছে দেশের শিল্প ও ব্যবসা বিনিয়োগ। উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রতি বছর ডলারের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ ১০ বছর পূর্বে ‘‘রেট অব রিটার্ন’’ হিসাব করে যারা বিনিয়োগ করেছেন বর্তমান বাজার মূল্যে সেটি ঠিক থাকছে না। পূর্বের নেওয়া ঋণ এখন বর্তমান হিসাবে পরিশোধ করতে হচ্ছে।

ডলারের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। আগের হিসাবে বিনিয়োগ করে এখন ক্ষতির হিসাব গুনছেন উদ্যোক্তারা। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর ফলে ভালো উদ্যোক্তারাও এখন খেলাপি হয়ে পড়ছেন। দেশের শিল্প খাতের সংকট গভীর হচ্ছে। একদিকে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি মিলছে না, অন্যদিকে ডলারের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচের হিসাব মিলছে না। প্রতিনিয়ত খরচ বেড়ে যাওয়ায় কারখানা সচল রাখা নিয়ে হিসাব করতে হচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, আমদানি কমিয়ে ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অর্থনীতির জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে? এটা ঠিক যে, এতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে, সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি ব্যাংকের আয়ও কমে যাচ্ছে। অনেক বড় কোম্পানি মুনাফা বা বিনিয়োগের অর্থ ফেরত নিতে পারছে না। এসব কারণে নতুন শিল্প গড়ে উঠছে কম। কাঁচামাল আনতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো কারখানায় সক্ষমতার চেয়ে কম কার্যক্রম চালাচ্ছে ফলে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপিতে পরিণত হয়ে পড়েছেন ভালো ঋণ গ্রহীতারা।

ডলার সংকটে শিল্পে উৎপাদন যে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যেও উঠে এসেছে। সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে জুলাই-ফেব্রুয়ারি মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ১৭৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে। এটি পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। একইভাবে শিল্পের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানি কমেছে যথাক্রমে ৪ ও ১৬ শতাংশ।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত এক মাসের উপরে কোটা বিরোধী আন্দোলন সংঘাত দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসে মূলত পাচঁটি খাত থেকে। উৎপাদনে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, পরিবহন, নির্মাণ ও কৃষি। জিডিপি কমে গেলে সরকারের যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণ করা যাবে না।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও অস্পষ্ট। নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির এ হারই বহাল রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়ে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে সরকারকে আরও বেশি ঋণ গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ফলে বেসরকারি খাতে ধীর গতি অব্যাহত থাকবে। ধীর গতির কারণে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও কমবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকলেও মে মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৭ শতাংশের বেশি। এ সময় পোশাক পণ্যের রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের মে মাসে ছিল ৪০৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার। মে মাসে ওভেন পণ্যের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫২ কোটি ৫ লাখ ডলার। গত বছরে আয় ছিল ২৩১ কোটি ডলার। আমাদের শিল্প খাত নানা সংকটে ধুঁকছে। একদিকে শিল্প খাতের উৎপাদন কমছে, অন্যদিকে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এর ফলে রপ্তানি আয়ও কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শিল্প খাতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থির মূল্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ শেষ চার মাসে শিল্প খাতে প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। যদিও দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বিদেশী বিনিয়োগে চলছে ভাটার টান। বেসরকারি বিনিয়োগের মধ্যে সরসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালে দেশে ৩৪৮ কোটি ডলারের এফডিআই এসেছিল। আর গত বছর ২০২৩ সালে এসেছে ৩০০ কোটি ডলার, অর্থাৎ গত বছর এফডিআই কম এসেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কিংবা ৪৮ কোটি ডলার। মোট এফডিআইয়ের মধ্যে মূলধন বা নতুন বিনিয়োগ, পুন:বিনিয়োগ ও কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী-২০২২ সালে যেখানে ১০২ কোটি ডলারের বিনিয়োগ এসেছিল গত বছর ২০২৩ সালে তা কমে ৭১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর পুন:বিনিয়োগ ২০২২ সালে ছিল ২৫১ কোটি ডলারের, গত বছর তা কমে হয়েছে ২২১ কোটি ডলারে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে টানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দেশের শিল্প কারখানা। আন্দোলনের সময়ের ক্ষতি পোষানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিল্প মালিকেরা। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক সময় কৃষির অবদান সবচেয়ে বেশি থাকলেও বর্তমানে সেই জায়গাটি দখল করে নিচ্ছে সেবা ও শিল্প খাত। গত কয়েক বছরের সরকারি তথ্য-উপাত্তে উঠে এসেছে দেশের অর্থনীতিতে ধারাবাহিকভাবে অবদান বাড়িয়ে চলেছে উৎপাদন শিল্প। তাই একটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা শিল্প খাতে একটি স্থির প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচক নিয়েই বর্তমানে দুশ্চিন্তা রয়েছে। তার মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ অন্যতম। অনেকদিন ধরেই সরকারি বিনিয়োগ বাড়লেও দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ সে তুলনায় বাড়ছে না। অর্থনীতির এই সংকটময় সময়ে বিনিয়োগ দ্রুতগতিতে বাড়ানো না গেলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্থ হবে, বাড়বে বেকারের সংখ্যা। অন্যদিকে ব্যবসার খরচ ও বেড়েছে, তবে ব্যবসা সেভাবে বাড়েনি। মূলধন ঘাটতির কারণে বিদ্যমান ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক

সারাবাংলা/এজেডএস

রজত রায় শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হ্রাসে অর্থনীতিতে দুশ্চিন্তা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর