হাত পাখার বাতাসে, প্রাণ জুড়িয়ে আসে…
২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:২৫
বৈশাখের তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। তবে ঢাকা শহরে গরমের ভোগান্তি যেন একটু বেশিই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ফল ও আখের শরবত পান করে তুষ্টি নিয়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। নগরে সূর্য উত্তাপ ছড়িয়েছে আজ শুক্রবারও (২৬ এপ্রিল)। তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হাত পাখা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছেন কেউ কেউ। হাত পাখার বাতাসে জুড়িয়েছেন মন-প্রাণ। নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনের ছবি তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান।
এই রিকশা চালকের বুদ্ধির তারিফ করতে হয়। গরম থেকে যাত্রী ও নিজেকে বাঁচাতে উদ্ভাবনী ব্যবস্থা ‘ছাতা’। এমন গরমে সবাই তো তার রিকশাতেই উঠবে নাকি!
আখের শরবত খাবেন ভালো কথা। তবে এমন যাচ্ছেতাই পরিবেশে নয়। স্বাস্থ্যের কথাটা একটু ভেবে দেখবেন প্লিজ!
দ্বিধায় পড়েছেন এই পথচারী। খোলা খাবার খাবেন কি, খাবেন না! পাঠক, আপনার কি মনে হয়?
গরমে আপনিও ডাবের পানি পান করুন। কোনো মানা নেই। তবে একটু দর-দাম করে নেবেন আরকি!
এই রিকশায় যাত্রী একা কিনা বুঝা যাচ্ছে না। তবে একটা গানের দুটি লাইন আমার মাথায় আসলো, ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে, আমার প্রাণ জুড়িয়ে আসে…..’
আহ! গোসলে প্রশান্তি। বাসায় এসি নেই তো কি হয়েছে? বুড়িগঙ্গার পানি তো আছে! তবে কালো-ঘোলা জলে চর্মরোগ হবে না এমন নিশ্চয়তা কাউকে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই ছবিটিও সদরঘাট থেকেই তোলা। কখনো ও দিকটায় গেলে এ দৃশ্য আপনার চোখে পড়বে সহজেই।
গরমে দলবেঁধে গোসল সারছেন সবাই। ফটোগ্রাফাররা যেখানে থাকে প্রাইভেসি সেখানে যেন একটু কমই। যাইহোক, উনারা নিশ্চয়ই আরামে গোসল সেরেছেন। ছবি তুলতে কাউকে বারণ করেননি।
এ ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই আমার মতো আপনারও মন জুড়ালো!
সারাবাংলা/এনএইচ