ঈদুল আজহা। মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। পশু কোরবানির অনুষঙ্গে এই ঈদের মূলমন্ত্র আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হওয়া। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ঈদের চিরচেনা রূপ পাল্টে দিয়েছে। ‘সামাজিক দূরত্ব’ আর স্বাস্থ্যবিধির প্রভাব পড়েছে ঈদ জামাতেও। ঈদগাহে মহাসমারোহে ঈদের নামাজের জন্য শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে সবাই জড়ো হলেও এ বছর সেই নামাজ পড়তে হচ্ছে মসজিদে, সেটাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। নেই কোলাকুলি।
করোনাভাইরাসের চলমান দুর্যোগের মধ্যেই আবার দেশের ৩৪টি জেলায় হানা দিয়েছে বন্যা। এসব এলাকার লাখ লাখ মানুষকে বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে। ঈদ আনন্দের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই তাদের জন্য।
তারপরও ঈদ তো ঈদই। জাতীয় মসজিদ মোকাররমে সকাল থেকেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ জামাত। ঈদের আগে আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সতর্কবাণীর কারণে মসজিদে তল্লাশিও ছিল একটু কড়া। সবকিছু মিলিয়েই ঈদের নামাজ শেষে করোনাভাইরাস, বন্যাসহ যাবতীয় দুর্যোগ থেকে মুক্তির প্রার্থনায় স্রষ্টার কাছে নত হয়েছেন মুসল্লিরা।
বায়তুল মোকাররম থেকে ছবি তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান
- বায়তুল মোকাররমে প্রবেশের জন্য সকাল থেকেই ছিল মুসল্লিদের লম্বা লাইন
- একপর্যায়ে অপেক্ষমাণ মুসল্লিদের বেশ জটলা লেগে যায় প্রবেশপথে
- কঠোর তল্লাশির মাধ্যমে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় জাতীয় মসজিদে
- একাধিক ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পেরিয়েই তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়
- ভেতরে নামাজে দাঁড়াতে হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে
- নামাজ শেষে সবাই হাত তুলেছেন স্রষ্টার দরবারে
- ফাইল ছবি
- প্রার্থনা করেছেন— আগামী দিনগুলো যেন মানুষের জন্য সহজ হয়