রোদ-জলে জীবন চলে, চলে না [ছবি]
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১০ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:০৮
ইট ভাটা। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই হাজিরা। উদয়াস্ত বিরতিহীন পরিশ্রম। শ্রমিকদের কেউ ইট বানাচ্ছেন, কেউ ইট বহন করছেন। দিন শেষে নগদ প্রাপ্তির ভাঁড়ারজুড়ে শূন্যতা অনেকটাই। তিন বেলা খাবারের সংস্থানই কষ্টের। ইট ভাটাতেও তাই কারও কারও সঙ্গী পরিবারের অন্য সদস্যরাও। রোদ কিংবা বৃষ্টি— আবহাওয়া যেমনই থাকুক, তাদের পরিশ্রমের কমতি থাকার জো নেই। ভারী বর্ষণে ভাটায় পানি জমে গেলেও উপায় নেই কাজ থামানোর।
রাজধানী ঢাকার আশপাশের প্রায় ৮০০ ইট ভাটায় কর্মরত যে লক্ষাধিক শ্রমিক, তাদের সবার চিত্র এমনই। শ্রম দিলেও সেই শ্রমের উপযুক্ত প্রতিদান না মেলায় কাটাতে হচ্ছে মানবেতন জীবন। শরীরটা বেঁচে থাকে কোনোমতে, জীবন তাতে বাঁচে কি?
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মোল্লাবাজার এলাকার একটি ইট ভাটা থেকে ছবিগুলো তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট মো. হাাবিবুর রহমান
- ইটভাটায় কাজ শুরু হয় সকাল থেকে
- সেই কাজ চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, সন্ধ্যা পর্যন্ত
- সুউচ্চ অট্টালিকা গড়তে ইট ভাটা থেকে এসব ইট ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়
- ইট ভাটার কাজে নেই কোনো বিরাম, আবহাওয়ার ব্যাঘাত
- হাঁটু কিংবা কোমর সমান পানি জমলেও ইট বয়ে নেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে হয়
- নারী-পুরুষও ভেদাভেদ নেই, ভাটায় কাজ করতে হয় কাঁধ মিলিয়ে
- অভাবের তাড়নায় সন্তানদেরও কাজে নিয়ে আসতে বাধ্য হন কোনো কোনো শ্রমিক
- কোথাও ট্রাকে, কোথাও নৌকায় চড়ে ইট চলে যায় গন্তব্যে
- ইটবাহী নৌকাগুলোও এভাবেই সেজে ওঠে ইটের পর ইটে
- মাঝে একটু খাবারের বিরতি, সুখ-দুঃখের কথা বলার একটু সুযোগ