সোনারোদ অঘ্রাণে সোনারঙা ফসলের ঘ্রাণ [ছবি]
২৩ নভেম্বর ২০২১ ০৯:০০ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৩০
চারিদিকে নুয়ে প’ড়ে ফলেছে ফসল,/
তাদের স্তনের থেকে ফোঁটা-ফোঁটা পড়িতেছে শিশিরের জল;/
প্রচুর শস্যের গন্ধ থেকে-থেকে আসিতেছে ভেসে/
পেঁচা আর ইঁদুরের ঘ্রাণে ভরা আমাদের ভাঁড়ারের দেশে!/
…
হেমন্তের ধান ওঠে ফলে—/
দুই পা ছড়ায়ে বোসো এইখানে পৃথিবীর কোলে।
নির্জনতার কবি জীবনানন্দ দাশ ‘অবসরের গান’ কবিতায় লিখেছিলেন এমন অমর পঙ্ক্তিমালা। হেমন্তের মনোরম প্রকৃতি কবির কাছে ছিল ‘রোদের নরম রঙ শিশুর গালের মতো লাল’। অগ্রহায়ণের নরম রোদ কবির সেই লেখনিরই যেন প্রতিচ্ছবি। সেই মনোরম প্রকৃতিই ফসলের গান শোনাচ্ছে। আমন ধানের গন্ধে ভরেছে ফসলের মাঠ। সবুজ মাঠে সোনারঙা ফসলের ছবি কৃষকের মুখে এনে দিয়েছে হাসির ঝিলিক।
সারাদেশের অন্যান্য এলাকার মতো চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডারখ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলেও ফসলের গন্ধ মাতিয়েছে কৃষকের মন। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের বাঁ পাশে প্রায় তিন হাজার হেক্টর আয়তনের গুমাই বিল। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিলগুলোর মধ্যে এ বিলটি সবচেয়ে বড়। বলা হয়ে থাকে— গুমাই বিলে এক মৌসুমের উৎপাদিত ধান দিয়ে সারাদেশের আড়াই দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো যায়।
সেই গুমাই বিলে চলছে ধান কাটা উৎসব। বিলের চারপাশে ছয়টি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামের কৃষক পরিবার তাই কর্মব্যস্ত। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিল থেকে ছবি তুলেছেন সারাবাংলার ফটো করেসপন্ডেন্ট শ্যামল নন্দী
- পাকা ধান নুয়ে পড়ে জানাচ্ছে, সময় হয়েছে গোলা ভরার
- প্রত্যাশিত ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি
- কৃষক পরিবারগুলোর সব সদস্যকেই কাটাতে হচ্ছে ব্যস্ত সময়
- ধান কাটার পাশাপাশি চলছে মাড়াইয়ের কাজও
- যারা মাঠে মাড়াই করতে পারছেন না, তারা ফসল নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে
- মাড়াইয়ের পর বস্তায় উঠছে মাঠে ফলানো সোনা
- অগ্রহায়ণের বিকেলের নরম রোদে ফসলের সুঘ্রাণ দিচ্ছে নবান্নের ডাক
সারাবাংলা/টিআর