নাগরিক বাতাসে শিশিরের ঘ্রাণ [ছবি]
৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:৩০
প্রকৃতিতে অগ্রহায়ণ। সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি বাতাসে হিম হিম ঘ্রাণ। সেই হিমের হাত ধরে ঘাস আর পাতাদের বুকে নেমে আসে শিশির। ভোরের কমলা রোদে নেচে ওঠে ঝলমল করে। পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঊর্ণনাভের বিছানো যে জাল, মুক্তোর মুতো জায়গা করে নেয় তার বুকে। হাত বাড়ালেই জড়িয়ে যায় প্রকৃতির মমতার মতো।
শহরে-নগরে শীতের আয়ু স্বল্প। গ্রামের বাতাসে তাই অগ্রহায়ণের বাতাস হাড়ে শীতের কাঁপন ধরালেও নগরে এখনো কেবল হিমের ঘ্রাণটুকুই শীতের পরিচায়ক। জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন, ‘এই সব শীতের রাতে আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে;/ বাইরে হয়তো শিশির ঝরছে, কিংবা পাতা,/ কিংবা প্যাঁচার গান; সেও শিশিরের মতো, হলুদ পাতার মতো।’ তেমন শীতের রাত নগরে আসতে ঢের দেরি। তবু স্বল্পায়ু কুয়াশামাখা ভোরে শিশিরবিন্দু জানান দেয়— পৌষ আসছে।
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরাণীগঞ্জ থেকে ছবিগুলো তুলেছেন সারাবাংলার ফটো করেসপন্ডেন্ট সুমিত আহমেদ