গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৭৫ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পূর্বের থেকে এখনকার বিস্ফোরণগুলো আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকারক ছাই উড়ে আসছে। যার কারণে নিকটবর্তী স্থানগুলোতে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে।
দেশটির একটি টেলিভিশনে সংবাদ সম্মেলনে ডিজাস্টার রিলিফ এজেন্সির পরিচালক ইডি স্যানজেজ বলেছেন, অবস্থা এখন খুবই মারাত্মক। মঙ্গলবার হঠাৎ করে বড় বিস্ফোরণ শুরু হলে কিছুক্ষণের জন্য সব ধরনের উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রাখা হয়েছিলো। এসময় পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক ও উদ্ধারকর্মীরা কর্মস্থল ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়। কিছু কিছু বিস্ফোরণের লাভা উপরে ১৬ হাজার ৪০৫ ফুট উপরে উঠেছে।
রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি থেকে গত রোববার অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। তিন দিনের টানা বিস্ফোরণে দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। বহু হতাহতের পর চলছে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক।
মৃতদেহ বহন করে নিয়ে আসছেন কয়েকজন। সবাই চারপাশে ভিড় করে আছেন।
ছেলেটির নাম গমেজ রিভাজ। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে রিভাজের আত্মচিৎকার।
আগ্নেয় ছাইয়ে ছেয়ে গেছে সবকিছু। নিজের সিএনজি উপরে পানি ঢেলে তা সরানোর চেষ্টা করছেন একজন।
লাভার নিচে মানুষের দেহ। লাভা ঠাণ্ডা হয়ে জমে গেছে।
সারাবাংলা/এমআইএস