রেল ইঞ্জিনের সরাইখানা
২০ জুন ২০১৮ ১৪:২১
।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।
কমলাপুর রেলস্টেশনে আশপাশে গেলেই শামসুর রহমানের সেই ছোটবেলার কবিতা মনে পড়ে যায়,
ঝক ঝকাঝক ট্রেন চলেছে
রাত দুপুরে অই।
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই?
সত্যিই তো! ট্রেনের কি বাড়ি নেই? তার কি বিশ্রামলাগে না? একটু আরাম, একটু গোসল, একটু যত্ন? তাও কি হয়? এসব ছাড়া কি আর প্রতিদিন এভাবে ছুটে চলা সম্ভব?
সারাবাংলা আজ গিয়েছিল ট্রেনের সেই সরাইখানায়। কমলাপুর রেলস্টেশনের শেষ মাথায় সব লাইন পাড় করে ছোট একটা সরাইখানা আছে যেখানে ট্রেনগুলো থামে। সেখানে তাদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়, ঠিকঠাক কাজ করার জন্য যন্ত্রপাতি হালনাগাত করা হয়। ভেতরে জমে থাকা কালিঝুলি ধুয়ে মুছে আমার তৈরি করা হয় লম্বা যাত্রার জন্য।
এই বিশেষ এলাকায় ঢুকতে হলে স্টেশন মাস্টারের কাছে অনুমতি চাইতে হয়। তিনি অনুমতি দিলেই কেবল ঢোকা যায় সংরক্ষিত এ এলাকায়।
সারি ধরে ট্রেনগুলো অপেক্ষা করে একের পর এক পরিষ্কার হতে।
ট্রেনের ইঞ্জিন পরিষ্কার করার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে চাকার নিচের অংশ পরিষ্কার করা। এই কাজের জন্য ট্রেনকে এমন একটা উঁচু জায়গায় তোলা হয় যার নিচে মানুষ চলাচল করতে পারে।
জ্বালানি তেলে চলা ইঞ্জিনে সহজেই কালিঝুলি জমে যায়। এগুলো ঠিকমতো পরিছন্ন না করলে কিন্তু পরের যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
পরিছন্ন হওয়ার অপেক্ষায় এই অংশটা।
পরিষ্কার করাও খুব সহজ কাজ না। এই কাজটা করতে বল লাগে, আবার শাবলও লাগে।
পরিষ্কারের পরে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট এসে পরীক্ষা করে সব যন্ত্র ঠিকঠাক চলছে কি না। এরপরই বের হওয়ার অনুমতি পাওয়া যায় যাত্রা শুরু করার।
সারাবাংলা/এমএ