ট্রেনে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:২৯
হাবিবুর রহমান, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার জুরাইনে রেললাইনের দুই পাশে নিয়ম ভেঙে গড়ে উঠেছে বাজার। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগির ছাদে বসে চলাচল করছে হাজারো মানুষ। ট্রেনের বগি স্বল্পতার কারণে যাত্রীরা টিকেট কেটেও দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। ইঞ্জিনের সামনে এবং বগির ছাদে বসে যাত্রী চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই। এর আগে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যাত্রীদের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জ রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা। ঢাকার কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ নগরীর নদীবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটারের রেলপথ রয়েছে। এতে কমলাপুর, গেণ্ডারিয়া, পাগলা, ফতুল্লা, চাষাঢ়া ও নারায়ণগঞ্জ নামে ৬টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি তিনটি ট্রেন ৩২ বার আসা-যাওয়া করে।
নারায়ণগঞ্জ নগরী, বন্দর ও ফতুল্লাসহ আশপাশের মানুষ এ রেলপথে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, মতলবসহ বিভিন্ন অঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চে এসে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর হয়ে ট্রেনে চড়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করে। এই তিনটি ট্রেনে প্রতিদিন আনুমানিক ৩০ হাজার যাত্রী ইঞ্জিনে, বগিতে ও বগির ছাদে যাতায়াত করছে। সড়ক পথে যানজট ও ভাড়া বেশি হওয়ায় যাত্রীরা ট্রেনে যাতায়াতই বেছে নিচ্ছে।
সারাবাংলা/এটি