বিজ্ঞাপন

ডাকসু প্রতিনিধি ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন ঢাবির সিনেট অধিবেশনে

June 27, 2018 | 8:54 pm

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) প্রতিনিধি ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া অধিবেশনে স্মরণকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য সংবলিত সিনেট।

বুধবার (২৭ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান তার বাজেট অভিভাষণে এ তথ্য উল্লেখ করেন।

উপাচার্য বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নেই। দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি এই মুহুর্তে সিনেটে ডাকসু প্রতিনিধি ব্যতীত সব ক্যাটাগরির প্রতিনিধি বিদ্যমান রয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে , স্মরণকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য-সংবলিত সিনেট অধিবেশন।’

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ১৯৭৩-এর ২০(১) ধারায় সিনেট গঠনে ১০৫ সদস্যের কথা উল্লেখ আছে। ১০৫ জন সদস্যের মধ্যে উপাচার্য, দুজন সহউপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সরকার মনোনীত ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, জাতীয় সংসদের স্পিকার মনোনীত ৫ জন সাংসদ, আচার্য মনোনীত ৫ জন শিক্ষাবিদ, সিন্ডিকেট মনোনীত ৫ জন গবেষক, একাডেমিক কাউন্সিল মনোনীত অধিভুক্ত কলেজের ৫ জন অধ্যক্ষ ও ১০ জন শিক্ষক, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ২৫ জন নির্বাচিত রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ৩৫ জন নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি এবং ডাকসু মনোনীত ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি থাকার কথা রয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ছাত্র নেতৃত্ব ও ভবিষ্যতের জাতীয় নেতৃত্বের বিকাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন অত্যাবশ্যক। নিরেট বাস্তবতা ও মহামন্য আদালতের নির্দেশনা বিবেচনায় নিয়ে প্রভোস্ট কমিটি ও শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশের আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ইতোমধ্যে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এজন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। ডাকসু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ’ সচল করাসহ কতিপয় উদ্যোগ অব্যাহত আছে।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য এ সময় ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বিগত ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসবো ইনশল্লাহ।

উল্লেখ্য, হাইকোর্টে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ৬ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশের ৬ মাস পূর্ণ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন দেয়নি। গত ফেব্রুয়ারির মাসের ২৭ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়।

সারাবাংলা/কেকে/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন