বিজ্ঞাপন

পরিবেশ সুরক্ষায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে আনন্দ আয়োজন

June 29, 2018 | 7:19 pm

।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ৫ জুন বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় পরিবেশ দিবস। আমাদের দেশে অবশ্য গোটা বর্ষাকাল জুড়েই চলে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতার কার্যক্রম। বৃক্ষ মেলা, বৃক্ষ রোপণের মতো পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার কার্যক্রমগুলো এই সময়েই হয়ে থাকে।

পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণের এই কার্যক্রম আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ রেখে যাওয়ার জন্যই। তবে আজকের শিশুরা নিজেরা কি জানে এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে তাদের কী করতে হবে?

শিশুদের কাছে পরিবেশ রক্ষার এই বার্তা পৌঁছে দিতেই পরিবেশ দিবস উদযাপনের আয়োজন করেছে শিশুদের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘সিসিমপুর’। শুক্রবার (২৯ জুন) রাজধানীর শিশু একাডেমিতে এই আয়োজনে অভিভাবকদের নিয়ে হাজির হয়েছিল শিশুরা।

বিজ্ঞাপন

সকালে শুরু হওয়া পরিবেশ দিবসের উদযাপনের আয়োজনে শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। ৯ বছরের রাফিদ এসেছিল শ্যামলী থেকে মা-বাবার সাথে। ঢুকতেই রাফিদকে দিয়ে দেওয়া হয় সবগুলো স্টলের চেকলিস্ট। বলা হয় সবগুলো স্টলে যেতে হবে।

ভেতরের স্টলগুলোর দুই পাশে রাখা দু’টো ইচ্ছে গাছ। চাইলেই পাওয়া যায় এই গাছের পাতা। সেই পাতায় লিখতে হয় নিজের ইচ্ছের কথা। তারপর সেটা জুড়ে দিতে হবে ইচ্ছে গাছে। দেখতে দেখতে ভরে ওঠে ইচ্ছে গাছের পাতা। কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউ আকাশে উড়তে চায়। কেউ চায় শুধুই ভালো মানুষ হতে।

ভেতরে অল্প কিছু স্টল। তাতে তিল ধরানোর জায়গাও নেই। কোথাও বই বিক্রি করা হচ্ছে, কোথাও ফেলনা জিনিস থেকে খেলনা বানানো শেখানো হচ্ছে। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে দারুণ সব কথা— যেকোনো জিনিস নষ্ট না করার কথা; ফেলে দেওয়ার আগে বারবার ব্যবহার করার কথা; আর শুধু সেগুলো নেওয়ার কথা যেগুলো দরকার; যা নিতে ইচ্ছে করে তাই নিয়ে পৃথিবীর সম্পদ অপচয় না করার কথাও বলা আছে।

বিজ্ঞাপন

মেলাজুড়ে রাখা শিশুদের প্রিয় সিসিমপুরের চরিত্রদের ছবি। সেগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে শিশুরা। দেখতে দেখতে হাজির সিসিমপুরের হালুম, শিকু, ইকরি আর টুকটুকি। তাদের পেয়ে শিশুদের আনন্দ যেন আর ধরে না। হালুম-টুকটুকিদের সাথে নাচে-গানে মেতে ওঠে শিশুরা।

পরিবেশ মেলায় শিশুদের জন্য বেশকিছু শিক্ষণীয় বিষয়ও ছিল। এখানে তাদের শেখানো হয়েছে কিভাবে আবর্জনা দিয়ে সার বানিয়ে গাছ লাগাতে হয়। কোন পোকা আমাদের জন্য কতটা উপকারী, পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও যে আমাদেরই সঞ্চয় করতে হবে— এসব বিষয়ও শিশু মনেই গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা ছিল এই আয়োজনে।

মেলা শেষে শিশুদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের ছটা। রুটিন জীবনের ঘোরটোপের বাইরে একটা দিন প্রকৃতি আর পরিবেশ নিয়ে কাটানোর পাশাপাশি প্রিয় সিসিমপুরের চরিত্রদের কাছে পাওয়াটা তাদের জন্য নির্মল বিনোদনের ছিল— সেটা বলাই বাহুল্য। মেলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও তাই তাদের চোখে সেই খুশির ঝিলিক, কণ্ঠে গান।

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন