বিজ্ঞাপন

গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে উ. কোরিয়া: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা

June 30, 2018 | 4:57 pm

|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||

বিজ্ঞাপন

পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়াতে এখনও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারণা করছে, বেশ কয়েকটি গোপন স্থাপনায় ইউরেনিয়াম চলছে এই কর্মসূচি। যদিও গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পারমাণবিক সক্ষমতা লাভের লালিত স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিতে তারা প্রস্তুত।

বহুল প্রত্যাশিত ওই বৈঠকের দু’দিন আগেই ‘পুঙ্গেরি পারমাণবিক স্থাপনা’ ধ্বংস করে যুক্তরাষ্ট্রকে ইতিবাচক বার্তা দেন কিম। সে সময় কিমের এমন কর্মকাণ্ডের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া এখন আর পারমাণবিক হুমকি নয়।’ তারপরও অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি ধোঁকা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ককে কমিয়ে আনার কূটচাল হিসেবে এমনটি করেছেন কিম।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি শুক্রবার (২৯ জুন) এক প্রতিবেদনে জানায়, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সমঝোতা অব্যাহত রেখেই গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পাঁচ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য দিয়েছে এনবিসি, জানাচ্ছে রয়টার্স।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, পরিচিত ইয়ংবিয়ুন পারমাণবিক স্থাপনার আশপাশেই আরো একটি গোপন স্থাপনা তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া। কয়েকমাস আগে থেকেই এর কার্যক্রম পরিলক্ষিত হতে থাকে বলে নিশ্চিত হন তারা। এক কর্মকর্তা আরো বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে— এমন সুস্পষ্ট প্রমাণও রয়েছে।

এ ছাড়া, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহ করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া অন্তত একটি গোপন স্থানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রকল্প গড়ে তুলেছে। এর আগে, ২৭ জুন ইয়ংবিয়ুন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে পারমাণবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘৩৮ নর্থ’ জানায়, পারমাণবিক গবেষণা অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া, পারমাণবিক কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে ওয়াটার কুলিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে কুলিং ওয়াটার রিজার্ভার। কেন্দ্র পরিদর্শনকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দু’টি ভবন।

বিজ্ঞাপন

তবে এনবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখিত মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিএইএ)। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, এটি নিশ্চিত নয় এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া বুদ্ধিমানের পরিচয় বহন করে না। এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ করার জন্য জুলাই মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র উত্তর কোরিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।

সারাবাংলা/এএস

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন