June 30, 2018 | 4:23 pm
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
গুহায় আটকে পড়া থাইল্যান্ডের যুব ফুটবল দলের সদস্য ও তাদের কোচের এখনো কোন হদিস মেলেনি। গত শনিবার তারা উত্তর থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং নাং নন গুহায় আটকা পড়ে। অবিরাম বৃষ্টি ও বন্যায় গুহার প্রবেশ পথে পানি জমে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। সংশয় তৈরি হচ্ছে বালকদের বেঁচে থাকা নিয়ে।
থাই সেনা, পুলিশ ও কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবীর সাথে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন কয়েকজন বৃটিশ ডুবুরি ও মার্কিন উদ্ধারকারী দল। আলোর স্বল্পতায় ডুবুরিরা কয়েক সেন্টিমিটারের বেশি দেখাতে পারছেন না। আন্ডার ওয়াটার রোবটের সাহায্যে চলছে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা গুহার ভিতরে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাম্পের সাহায্যে চলছে গুহা থেকে পানি নিষ্কাশনের কাজ।
ভিতরে পথ সংকীর্ণ হওয়ায় উদ্ধারকারী দলের খুব বেশিদূর এগুনো সম্ভব হচ্ছে না। ড্রিলিং মেশিন দিয়ে পাথর কেটে বিকল্প পথ তৈরির চেষ্টা করছেন তারা। নজরদারি করতে আকাশপথে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের ঘ্রাণ শক্তি কাজে লাগিয়ে বালকদের হারিয়ে যাওয়া সম্ভাব্য সবখানে অনুসন্ধান চলছে। এমন দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকারী সরঞ্জাম আনতেও বেগ পেতে হচ্ছে দলটির।
বালকদের জন্য বাক্সে ভাসিয়ে ভেতরে পাঠানো হয়েছে, গুহার ম্যাপ, খাবার ও মোবাইল ফোন। বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, যদিও তোমরা এটি গ্রহণ করে থাকো তাহলে উত্তর জানাও। সবাই তোমাদের উদ্ধার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি, ব্লগ ও কার্টুন এঁকে বালকদের ফিরে আসার আকুতি ও হাহাকার জানানো হচ্ছে। তবে উদ্ধার কাজ শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ততদিনে বালকদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে কিনা তাই এখন আশংকার বিষয়।
উল্লেখ্য, আটকে পড়া ১২ ফুটবলারের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছর। নিঁখোজ হবার পর গুহার একটু ভিতরে তাদের বাইসাইকেল ও খেলার সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা যায়। যুব ফুটবল দলের সেই বালকেরা প্রায়ই প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের জন্য থাম লুয়াং গুহায় ঘুরতে যেত। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গুহায় ঢুকবার সময় তারা বালকদের কাছে খাবার ও পানীয় জল দেখেছেন। এটাই এখন আশা দেখাচ্ছে সবাইকে।
সূত্র: বিবিসি
সারাবাংলা/এনএইচ
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/
আরও পড়ুন,