বিজ্ঞাপন

কল্যাণ পার্টির মহাসচিবের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

December 23, 2017 | 2:20 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা :  বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের এজলাসে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। কোর্ট পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াদ হোসেন সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রায় চার মাস (১১৫ দিন) নিখোঁজ থাকার পর আমিনুরকে গ্রেফতার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গুলশান থানায় দায়ের করা ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারির এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার শাজাহান সাজু সারাবাংলাকে বলেন, আমিনুরের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে চার মাস সে পালিয়ে ছিল। শুক্রবার রাতে বাড্ডার শাহজাদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ২৭ আগস্ট রাতে নয়াপল্টনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সঙ্গে একটা দোকানে বসে চা খান এম এম আমিনুর রহমান। আনুমানিক ১০টার দিকে সেখান থেকে সাভার আমিন বাজার বাসার ‍উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। কিন্তু ওইদিন আর বাসায় যাননি তিনি।

পরের দিন ২৮ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও এম এম আমিনুর রহমান সেখানে উপস্থিত থাকেন নি। সেদিন থেকেই মূলত তার রাজনৈতিক সহকর্মী ও পরিবার-পরিজন তাকে খোঁজা-খুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়।

২০ দলীয় জোটের শরিক দলের মহাসচিবের এ ধরনের নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি পাঠান জোট নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এম এম আমিনুর রহমানের দল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির পক্ষ থেকেও কয়েক দফা সংবাদ সম্মেলন করা হয়। প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজন করা হয় মানববন্ধন কর্মসূচি।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু গত চার মাসে (১১৫) তার কোনো হদিস দিতে পারছিল না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার বেলা পৌনে ১২ টায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার শাজাহান সাজু সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘গ্রেফতার এড়াতে চারমাস সে পালিয়ে ছিল। শুক্রবার রাতে বাড্ডার শাহজাদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

এম এম আমিনুর রহমানের খোঁজ মেলার কিছুক্ষণ পর কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোথায় ছিল, কারা নিয়ে গিয়েছিল, এখন তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বা হবে?- এ বিষয়গুলো আমাদের কাছে এখন গৌণ। মুখ্য বিষয় হলো, তাকে ফিরে পেয়েছি। এতেই আমরা খুশি।’

সারাবাংলা/এআই/একে

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন