বিজ্ঞাপন

কোটা সংস্কার আন্দোলন: ২৯ জুলাই রাশেদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন 

July 1, 2018 | 8:00 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগে বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২৯ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (১ জুলাই) সকালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়। এরপর বিকেলে মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমিনুল হক শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমানকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতা রাশেদ গ্রেফতার

বিজ্ঞাপন

এরআগে আল নাহিয়ান খান জয় সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৭ ‍জুন ফেসবুক লাইভে এসে রাশেদ খান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এসব অভিযোগে শনিবার (৩০ জুন) তথ্যপ্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা (মামলা নাম্বার-১) দায়ের করেছি।’

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে বলেন, আজ সকালে ‘ভাষানটেক এলাকা থেকে রাশেদ খানকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ধরে নিয়ে এসেছে।’

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২৭ জুন ফেসবুক লাইভে এসে নাশকতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে সুস্পষ্টভাবে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেন রাশেদ খান। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তিও করেন। এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্যই ছড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলা’কে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না।’

এর আগে, শনিবার (৩০ জুন) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য উপস্থিত হন ছাত্র অধিকার সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের ওপর হামলা হয় এবং আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করে।

তার (রাশেদ খান) এ বক্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতার সৃষ্টি হতে পারে আমরা মনে করছি। তাই মামলা করেছি।

সারাবাংলা/এআই/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন