বিজ্ঞাপন

ইউএন মহাসচিব-বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের কাছে ২ প্রস্তাব

July 3, 2018 | 8:43 am

।। জোসনা জামান,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের বাংলাদেশ সফরে টেকসই উন্নয়নে দু’টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।রোববার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে করবী সম্মেলন কক্ষে ‘এসডিজি: টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ বাই ২০৪১’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সোমবার (২ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত কার্যালয়ে সারাবাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আলোচনা সভায় জাতিসংঘের মাহসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বক্তব্য রাখেন। তাছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) দারিদ্র্য নিরসনকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দেওয়া হলেও বাংলাদেশ মনে করে এর চেয়েও বড় শত্রু জলবায়ু পরিবর্তন, যা গোটা পৃথিবীকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। এটিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শুধু আর্থিক সহযোগিতা নয়, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যেগ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে এই দুই নেতাকে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, সভায় তিনি বলেছেন, এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে প্রথমে রয়েছে দারিদ্র্য নিরসন এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কিন্তু এ দু’টির চেয়েও ভয়ংকর বিপদ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এটি পৃথিবীব্যাপী হুমকি। পৃথিবী আজ বিপন্ন। সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে, নিচু এলাকা পানির নিচে চলে যাচ্ছে। বিশ্ব পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, ১৮২০ সালে বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো প্রায় এক লাখ মেগাওয়াট। কিন্তু ২০০ বছর পার না হতেই এখন উৎপাদন হচ্ছে ৭০ লাখ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর ৯০ শতাংশই উৎপাদন হচ্ছে ফসিল ফুয়েল (তেল, গ্যাস) দিয়ে। ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণের হার বাড়ছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে অন্যতম শিকার। এ বিষয়টি বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে হবে।

সভায় মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অনন্য দেশ। এখানে সামাজিক বন্ধন অত্যন্ত শক্তিশালী ও নিবিড়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা দেশের টেকসই উন্নয়নের অন্যতম বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আশ্রিত এই রোহিঙ্গারা শুধু পরিবেশের ক্ষতি করছে তা নয়, এদের কারণে সামাজিক কাঠামোও বিনষ্ট হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ হয়তো অর্থ সহায়তা দিয়ে কিছুটা উপকার করতে পারবে। কিন্তু সামাজিক কাঠামোতে যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, তা টাকা দিয়ে সমাধান করা যাবে না। তাই রোহিঙ্গাদের দ্রুত নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন