বিজ্ঞাপন

নির্বাচন সামনে, খোঁজা হচ্ছে প্রশাসনে ঘাপটি মারা বিএনপি-জামায়াতি

July 6, 2018 | 1:23 pm

|| আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট || 

বিজ্ঞাপন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত ব্যাপক রদবদল আসছে। এতে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি জামায়াত ঘেঁষা কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করার ওপর। দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছে সরকার। আর সে জন্য গোয়েন্দা সহায়তা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলেই জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো।

সূত্র জানিয়েছে, এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ছাত্রজীবনের কর্মকাণ্ড, পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয়সহ অন্যান্য বিষয়েও খোঁজ খবর করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রশাসন সরকার দলের প্রতি হাইব্রিড নব্য সমর্থক কর্মকর্তায় ঠাসা। তাদেরই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে চায় সরকার।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বিষয়টি প্রশাসনে এরই মধ্যে জানাজানি হয়ে গেছে। গোয়েন্দাদের তৎপরতায় মাঠপ্রশাসনে কর্মরত কর্মকতাদের মধ্যে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়ছে বলে জানাচ্ছে সূত্রগুলো।

এসব বিষয়ে সারাবাংলার কথা হচ্ছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসনে ইউএনওসহ অন্যদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা খোঁজখবর নেয়ায় একটু ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল, তবে তা এখন মিটে গেছে। বিষয়টি নিয়ে মূলত তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

প্রশাসনে অনেকেই ঘাপটি মেরে আছেন, যারা সুযোগ পেলেই সরকারকে বিপাকে ফেলবে, বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, এ বছরের শেষভাগে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসন থেকে শুরু করে সচিবালয়ে কর্মরত সচিব অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব ও উপসচিব পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করা হবে। এ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও তাদের কর্যক্রম অব্যাহত রখেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে মন্ত্রী পরিষদ ছোট করা হলে প্রশাসনে কোন পদন্নোতি হবে না। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম-সচিব, যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব ও অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব পদে পদোন্নতি দিতে পারেন। কারণ প্রশাসনে চলতি বছরে বিভিন্ন সময় ১২ জন সচিব অবসরে যাবেন। আর পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের রুটিন মাফিক কার্যক্রম প্রস্তুত রেখেছে।

সূত্র মতে, যে কোন সময় প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনে পদোন্নতি দেয়ার জন্য একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে চাইতে পারেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, প্রত্যেক সরকারের শেষ সময় প্রশাসনকে তাদের নিজেদের মত করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে হয়তো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারের নির্দেশে সে রকম সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৭/৮ মাস। তাই সরকারের প্রশাসনে কিছুটা রদবদল করতে হলেও পছন্দমতো ব্যক্তিরাই যাতে ওইসব পদে থাকেন- এমন চিন্তভাবনা থেকেই তা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এসবের পাশাপশি সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসনে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি হতে পারে। কারণ সুপিরয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) এক দফা বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসে আরও একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা বলেন, কারণ মাঠ প্রশাসন থেকে শুরু করে সচিব পর্যায় পর্যন্ত অনেকেরই তিন বছরের বেশি সময় পার হয়েছে, তাদের রদবদল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসআই/এমএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন