বিজ্ঞাপন

‘পুলিশ-ছাত্রলীগ আন্দোলনরত ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে’

July 6, 2018 | 7:36 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সাধারণ নারী শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ। পাশাপাশি ছাত্রীদের উলঙ্গ করে ছবি তোলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।’

শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকালে কোটা আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়ে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ এবং অভিবাবকরা’ রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা করে। ওই সভায় এসব কথা বলা হয়।

প্রতিবাদ সভায় নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ বলেন, ‘মরিয়ম নামে তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থী এই আন্দলনে ছাত্রলীগ এবং পুলিশের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মরিয়ম বলেছে যে সে দুইটি জানান্নাম দেখেছে, একটি সিএনজিতে ছাত্রলীগের যৌন নির্যাতনের জাহান্নাম। অন্যটি থানাতে পুলিশের যৌন হয়রানির ঘটনা। তাই যৌন নির্যাতনের ঘটনাও তদন্ত করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের পাণ্ডারা ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ছাত্রলীগ ছাত্রীদের উলঙ্গ করে ছবি প্রকাশের গুমকি দিচ্ছে। এমন ঘটনায় কোথায় আছে বাংলাদেশের অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী, কোথায় স্পিকার শিরিন শারমিনসহ বিভিন্ন উচ্চ পদে আসীন নারী নেতারা।’

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমরা অবিশ্বাস্য বাজে পরিবেশে বাস করছি। সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী এবং ছাত্রলীগের কর্মীরা একই কায়দায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ মরিয়মকে হুমকি দিয়ছিল যে তার ব্যাগে ইয়াবা ভরে দিয়ে তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানাবে। পুলিশ আর ছাত্রলীগ এখন ব্যাপক ক্ষমতাশালী। কিন্তু তাদেরকে এতো ক্ষমতা দিতে হবে কেন।’

পুলিশের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সভায় ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে আমার একজন জুনিয়র নারী আইনজীবী তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে তারই ছাত্র ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে। একবার ভাবুন তো আমরা কী অসভ্য সমাজে বাস করছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, ‘কিছু বললেই জামাত-বিএনপির সিল জড়িয়ে দেওয়া হয়। আপনারা অন্যায় করবেন, রাস্তায় পেটাবেন, ধর্ষণের হুমকি দেবেন আর আমরা কিছুই বলতে পারবো না।’

আরও পড়ুন: আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, ক্ষোভ-প্রতিবাদ নাগরিক সমাজের

সারাবাংলা/জেআইএল/এমও/

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন