বিজ্ঞাপন

আগস্টের শেষ দিনে নেপালে বৈঠক করবেন হাসিনা-মোদি

July 9, 2018 | 7:26 pm

।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগস্ট মাসের শেষ দিনে নেপালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে ঢাকা এবং নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, নেপালের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, গত মার্চে বিমসটেকের শীর্ষ প্রধান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি। জানা যায়, নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট দক্ষিণ ও দক্ষিণ এশিয়ার ৭ রাষ্ট্রের আঞ্চলিক জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ প্রধানদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি বছর বিমসটেক ২১ বছরে পদার্পণ করছে। ওই সম্মেলনের শেষ দিনে (৩১ আগস্ট) দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিমসটেক শীর্ষ প্রধানদের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টিসেরিং টোবগে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মিথিরপালা সিরিসেনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেউথ চান-ওচা অংশ নেবেন।

বিজ্ঞাপন

আসন্ন বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বার্তায় বলেন, ‘বিমসটেক’র ২১ বছর উদযাপনে এই অঞ্চলের নেতা এবং নাগরিকদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা আরো সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী হবে বলেই বিশ্বাস করি। বিমসটেক এই অঞ্চলের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।’

নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এই অঞ্চলের উন্নয়নে সার্কের বিকল্প হিসেবে বিমসটেককে কাজে লাগাতে চায় ভারত। সে জন্য আসন্ন বিমসটেক সম্মেলন ভারতের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

সূত্রগুলো আরো জানাচ্ছে, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন ভালো। ঢাকার কারণে নয়াদিল্লি তার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে শান্তি আনতে পেরেছে। নয়াদিল্লি এই সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে চায়। বিমসটেক’র শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বিজ্ঞাপন

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার (৯ জুলাই) এক বার্তায় বলেন, ‘আজ থেকে ত্রিপুরা এবং মিজোরাম জঙ্গি মুক্ত হলো। এই ঘটনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে।’

এদিকে, গত দুই মাসে ঢাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুইটি রাজনৈতিক দলেরই শীর্ষ নেতারা ভারত সফর করছেন। দুই দলের নেতারাই সফর নিয়ে বলছেন, আগামী নির্বাচনে ভারত তাদের পক্ষে রয়েছে।

ঢাকায় নিয়োগ পাওয়া ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত অবশ্যই ঢাকায় নিজেদের পছন্দের দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। বড় দুইটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে তুলনা করলে দেখা যাবে- আওয়ামী লীগ আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সদ্ভাব বাড়ে এবং ভালো কাজ হয়। অন্যদিকে, বিএনপি’র মধ্যে এখনো ভারতবিরোধী একটা দৃষ্টিভঙ্গি রয়ে গেছে। এছাড়া বিএনপিতে পাকিস্তানপন্থী শক্তি এবং জামায়াতের সঙ্গে দলটির আঁতাত করা ভারতের জন্য বিরাট সমস্যা।’

গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতে সর্বশেষ দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল লন্ডনে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন