বিজ্ঞাপন

ভেসে এলো প্রকাণ্ড হিমশৈল, আতঙ্কে গ্রিনল্যান্ডের দুই গ্রামবাসী

July 16, 2018 | 5:18 pm

|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||

বিজ্ঞাপন

গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্নারসুটের দুটি গ্রামের দিকে ভেসে এসেছে প্রকাণ্ড এক হিমশৈল। এ নিয়ে বেশ আতঙ্কে রয়েছে গ্রাম দুটির ১৬৯ বাসিন্দা। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে হিমশৈলটি। এর ফলে যে বিপর্যয় ঘটবে, তা এড়ানো যাবে না মোটেও।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আগে এমন বৃহৎ আকারের হিমশৈল ভেসে আসতে দেখেননি তারা। স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান কার্ল পিটারসন কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পকে বলেছেন, ‘আমরা সত্যি সত্যিই খুব ভয়ে আছি। কখন যে কি হয়!’

বিজ্ঞাপন

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ ফুট ওপরে মাথা উঁচিয়ে থাকা হিমশৈলটি চওড়ায় সাড়ে ৬০০ ফুট। যা দুটি আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের সমান। আর এর ওজন ১ কোটি ১০ লক্ষ টন।

গ্রাম দুটির কাউন্সিল সদস্য সুসান এলিয়াসেন বলেছেন, ‘বৃষ্টি হলে হিমশৈলটিতে চিড় ধরবে। এর একটি বড় টুকরো পানিতে গিয়ে পড়লে ঘটতে পারে ছোট আকারের সুনামি। আর তাতে গ্রাম দুটি ভেসে যাবে, কোনও সন্দেহ নেই!’ এছাড়া গ্রাম দুটির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জ্বালানী ট্যাংকগুলোও সৈকতের নিকটে থাকায় বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনই এ ধরণের হিমশৈল ভেসে আসার কারণ। এ ধরণের ঘটনাগুলো সুনামির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। তবে আশার কথা হলো- হিমশৈলটি যেখানে রয়েছে সেখানে তীব্র গতির বাতাস প্রবাহ অব্যাহত থাকলে তা ধীরে ধীরে সরে গিয়ে বাফিন উপসাগরে চলে যেতে পারে।

এরইমধ্যে গ্রাম দুটির ৩৩ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে তড়িঘড়ি করে তাদের নৌকোগুলি অন্যত্র সরিয়ে নিতে। হিমশৈলটির সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য সেখানে একটি জাহাজ মোতায়েন করেছে দেশটির নৌবাহিনী।

সারাবাংলা/এএস

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন