বিজ্ঞাপন

নদী ভাঙন: রামগতিতে ১ মাসে বাড়িহারা ৫শ’ পরিবার

July 17, 2018 | 8:51 am

।। মো. আতোয়ার রহমান মনির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্মীপুর: মেঘনার ভাঙনে গত এক মাসে বাড়িহারা হয়েছেন পাঁচশো পরিবার। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ২৫০ হেক্টর কৃষি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে কমলনগর উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন এলাকার সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা।

বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যা প্রতিরোধে জেলায় ৯৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ থাকলেও মেঘনার ভয়াল থাবায় ইতোমধ্যে ভেসে গেছে ৩৭ কিলোমিটার বাঁধ। সাহেবের হাট, পাটওয়ারীর হাট এলাকায় বাড়ি-ঘর হারা অনেকে চলে গেছেন অন্য জায়গায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে উপজেলার কাদির পণ্ডিতের হাট, চর ফলকন, মাতব্বর হাট, লুধুয়া ও তালতলি এবং রামগতি উপজেলার বড়খেরী, আসলপাড়া এলাকার ১০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবিতে প্রতিদিনই মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মাহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভাঙন প্রতিরোধে আরো ১৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের কথা রয়েছে। সেটা হলে আশা করি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মুছা কালিমুল্লা, দিদার হোসেন, রফিক ও আনোয়ারা বেগম জানান, এখন পর্যন্ত শুধু আশ্বাস পেয়েছি, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একই অভিযোগ করেন চর জগবন্ধু এলাকার সফি উল্যাহ। তিনি বলেন, আমরা জানি না কী হবে আমাদের ভবিষ্যত। এখন নদীর পাশে বেড়া দিয়ে ঘর তুলে বাস করছেন।

সাহেবের হাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভাঙন আরো বেড়েছে। ইতোমধ্যে কালকিনি, সাহেবের হাট এলাকার বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন রোধে নদীর কিছু অংশে ব্লক ফেলা হয়েছিল, এখন তাতেও কাজ হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ হোসেন সারাবাংলাকে জানান, চারটি ইউনিয়নে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুছা জানান, ভাঙনের তীব্রতা এবার বেশি। তবে আমরা দ্রুতই ব্যবস্থা নেব।

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন