December 25, 2017 | 6:04 pm
সারাবাংলা ডেস্ক
ওয়াশিংটনের পথ অনুসরণ করে গুয়েতেমালাও জেরুজালেমে তার দূতাবাস স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দেওয়ার পরদিনই গুয়েতেমালা তার দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার গুয়েতেমালার রাষ্ট্রপতি জিমি মোরালেস এ খরবের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।
শনিবার জিমি মোরালেস এক ফেসবুক পোস্টে ইসরায়েলের জন্মলগ্ন থেকেই তাদের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে ঘোষণা করে জানান, ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনজামিন নেতানিয়াহুর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।
বিভিন্ন বিষয়ে কথা হলেও জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি ছিলো উল্লেখযোগ্য বলেও জানান তিনি।
পরে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুয়েতেমালার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, গুয়েতেমালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনের ভোটাভুটিতে গুয়েতেমালা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিপক্ষে ভোট দেন। যেটা পরবর্তীতে জাতিসংঘের অধিবেশনে বাতিল হয়ে যায়।
কিছুদিন আগে জিমি মোরালেস ঘোষণা দেন, ‘গুয়েতেমালা ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েলের পক্ষে আছে। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে আমরা ৭০বছর ধরে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি।’
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার ঘটনায় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এক ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সত্ত্বেও সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ (১৮২টি) তাদের বিপক্ষে জাতিসংঘে ভোট দেন।
সারাবাংলা/এমআই