December 25, 2017 | 7:11 pm
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
এডমন্ড গুয়েন ও রিচার্ড অ্যাটেনব্রো [মিরাকল অন থার্টি ফোর্থ স্ট্রিট]
একই নামে, একই বিষয়ে দু’টি ছবি হয়েছে হলিউডে। ১৯৪৭ সালের প্রথম ছবিতে এডমন্ড গুয়েন এবং ১৯৯৪ সালের ছবিটিতে রিচার্ড অ্যাটেনব্রো হাজির হয়েছিলেন সান্তা ক্লজের চরিত্রে। চরিত্রের নাম ক্রিস ক্রিংগল। বাদামি কোট পরা একজন বৃদ্ধ নম্র লোক নিজেকে আসল সান্তা ক্লজ দাবি করে বসে। সঙ্গে সে এ দাবিও তোলে, সান্তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর তার আগমন ঘটেছে আসল সান্তার প্রতিনিধি হিসেবে। পুরো শহরকে নিজের নতুন পরিচয় জানাতে চায় সে। তার এ দাবি কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। মূলত ক্রিসমাসের পাওয়ার এবং সান্তা ক্লজের বাস্তবতা বোঝাতে নির্মিত হয়েছে ‘মিরাকল অন থার্টি ফোর্থ স্ট্রিট’।
জেফ গিলেন [আ ক্রিসমাস স্টোরি-১৯৮৩]
এ ছবির সান্তা ক্লজ পরিচিত একটি সংলাপের কারণে। ‘ইউ উইল শ্যুট ইয়োর আই আউট’- জেফ গিলেন বারবার এ সতর্ক সংকেত দেয় ছবিটির কিশোর চরিত্র রাল্ফকে। ক্রিসমাসে এ কিশোরের চাওয়া থাকে একটি রেড রাইডার বন্দুক। শ্যুটার হতে চায় সে। কিন্তু সান্তা ক্লজ জেফ গিলান সহ প্রত্যেকেই তাকে সতর্ক করে। শেষমেষ রাল্ফ সেটাই করে, প্রত্যেকেই যে বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছিলো।
জান রিউবস [ওয়ান ম্যাজিক ক্রিসমাস-১৯৮৫]
জ্যাক গ্রিনজারের মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প নিয়ে নির্মিত এ ছবিতে সান্তা ক্লজ হয়েছেন জান রিউবস। মাস কয়েক ধরে জ্যাকের কাজ নেই। ক্রিসমাসের পাঁচ দিন পরই কোম্পানির বাসা ছাড়তে হবে। অথচ তেমন অর্থসংস্থানও নেই। জ্যাকের কন্যা অ্যাবি এসব সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সান্তা ক্লজের কাছে চিঠি পাঠানোর চেষ্টা করে। আমেরিকান এ ফ্যান্টাসি ছবিটির শেষভাগে সান্তা ক্লজের ম্যাজিকে হাসি ফোটে এ পরিবারের প্রত্যেকের মুখে।
ডেভিড হাডলস্টন [সান্তা ক্লজ: দ্য মুভি ১৯৮৫]
এটি মূলত এক কাঠুরের গল্প যে গ্রামের বাচ্চাদের জন্য কাঠের পুতুল বানিয়ে দিন পার করছে। এগুলো বিতরণ করতে গিয়ে ক্লজ নামে ওই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী দু’টি পোষা হরিণসহ তুষারঝড়ে পড়ে। মৃত্যু হয় তাদের। মৃত্যুর পর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বরফের পাহাড়ে। যেখানে বাস করে একদল পরী। তারা ক্লজকে প্রস্তাব দেয় একসঙ্গে কাজ করার জন্য। যাতে তারা পৃথিবীর সমস্ত শিশুদের কাছে ক্রিসমাসের উপহার পৌঁছে দিতে পারে।
বিলি বব থর্নটন [ব্যাড সান্তা ২০০৩ ও ব্যাড সান্তা-২ ২০১৬]
এ দুই হলিউডের ক্রিসমাস-কেন্দ্রীক কমেডি ছবিতে বিলি বব থর্নটন অন্যরকম এক সান্তার চরিত্রে অভিনয় করেছে। যে কিনা ডাকাত, মাতাল এবং সেক্স-অ্যাডিক্ট। দু’বন্ধু মিলে থর্নটন সান্তা সেজে শপিং মলে ঢোকে। সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক করে ডাকাতি করার চেষ্টা করে।
জেমস কসমো [দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া: দ্য লায়ন, দ্য উইচ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ডরোব ২০০৫]
নার্নিয়া একটি গোপন শহর। লন্ডনের এক বাড়িতে চারটি শিশু লূকোচুরি খেলতে গিয়ে ওয়ার্ডরোবে ঢোকে এবং শহরটি খুঁজে পায়। তুষারে ঢাকা ওই শহর আচ্ছাদিত শীতকালে, বরফে। যতোদিন সাদা জাদুকর ওই শহরে রাজত্ব করবে, ততোদিন শীতকাল কখনও শেষ হবে না। নার্নিয়াকে বাঁচাতে ওই চারটি শিশু দেখা করে সান্তা ক্লজ জেমস কসমোর সঙ্গে।
সারাবাংলা/কেবিএন