বিজ্ঞাপন

পাসের হার কমলো আরও ২ শতাংশ

July 19, 2018 | 11:47 am

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কমলো। গত তিন বছরের এই পরীক্ষার ফল তুলনা করলে দেখা যায়, ২০১৬ সালে আগের বছরের তুলনায় পাসের হার বাড়লেও এরপর থেকে তা কমছে। গত দুই বছরে এই হার কমেছে ৮ শতাংশেরও বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০১৮ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তিনি জানান, এ বছর দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী।

আগের কয়েক বছরের ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে গত দুই বছর ধরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমছে। ২০১৬ সালে এই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর পরের বছর পাসের হার কমে যায় ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সে ব্ছর (২০১৭) পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১। এ বছরে এসে পাসের হার আরও ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- এইচএসসির ফল জানা যাবে যেভাবে

এর আগে ২০১৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছিল আগের বছরের তুলনায়। ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০১৬ সালে পাসের হার বেড়েছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করার সময় শিক্ষামন্ত্রী জানান সারাদেশে পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন। ছেলেদের পাসের হার ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, মেয়েদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৫তম দিনে ফল প্রকাশ করা হলো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসাইন।

এ বছর সারাদেশের ২,৫৪১টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী। গত ২ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম)-এ ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন ও ডিআইবিএসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৬৯। এছাড়া বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যার মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র ও ১৪০ জন ছাত্রী রয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন