December 26, 2017 | 10:23 am
জোসনা জামান, স্টাফ করসপনডেন্ট
এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলাকে সাজানো হচ্ছে অন্য ঢঙ্গে। যোগ হচ্ছে বেশ কিছু নতুন বিষয়। মেলার অনেক দূর থেকে দেখা যাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। প্রতিবছরের মতো মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন থাকলেও সেটি এবার আরও তথ্যবহুল আর সমৃদ্ধ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশের প্রথিতযশা চিত্রশিল্পীদের আঁকা ২৬টি চিত্রকর্ম রাখার কথা রয়েছে।
দর্শনার্থীদের আকর্ষনীয় করতে সুন্দরবনের আদলে করা হচ্ছে পার্ক। এই পার্ক তৈরির কাজ অনেকটাই শেষ হয়েছে। শিশুদের জন্য থাকছে শিশু পার্ক। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পাখির পরিচিতির জন্য থাকবে পৃথক ফিশ অ্যাকুরিয়াম ও বার্ড অ্যাকুরিয়াম। মূলমঞ্চে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন থাকবে লোকজ ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া মেলায় থাকবে ডিজিটাল টাচস্ক্রিন। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন চেনা যাবে।
এদিকে, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী আয়োজন সফল করতে যে যার মতো করে সাজাচ্ছে প্যাভেলিয়ন ও স্টল। ফলে, সকাল থেকে রাত অবধি হাতুড়ি, করাত, বাটাল আরও নানা শব্দে মুখরিত থাকছে মেলা মাঠ। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই কারো। চারদিকে চলছে সাজ সাজ রব। সোমবার রাজধানীর আগরগাঁওয়ে মেলা প্রাঙ্গন সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
মেলায় আরএফএল কোম্পানির প্যাভেলিয়ন তৈরি কাজ করছেন, ইঞ্জিনিয়ার আজিম। তিনি সারাবাংলাকে জানান, এ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ৩৬টি প্যাভেলিয়ন থাকবে মেলা জুড়ে। ইতিমধ্যেই ৯০ ভাগ কাজ গুটিয়ে এনেছেন তারা। এরএফএলের প্যাভেলিয়নগুলোতে রেইনবো রং এর আবহ ফুটিয়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি। কোকাকোলা ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডের হেড অব এক্সিকিউটিভ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী দুই দিনের মধ্যেই তাদের প্যাভেলিয়ন তৈরির কাজ শেষ হবে। ব্রাদার্স ফার্নিচারের প্যাভেলিয়ান তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো: তরিকুল ইসলাম জানান, তাদের একটি প্যাভেলিয়ন থাকবে। এটির কাজ ৯৯ শতাংশ শেষ হয়েছে। আকিজ ফুড প্রডাক্ট এর দৃষ্টিনন্দন প্যাভেলিয়নে চলছে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের কাজ। মেলা শুরুর আগেই কাজ শেষ হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
মেলা আয়োজক সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ডেপুটি ডিরেক্টর ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ সোমবার সারাবাংলাকে জানান, গত বছরের তুলনায় প্রস্তুতিতে আমরা এ বছর এগিয়ে রয়েছি। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৬ দিনের মধ্যেই ১০ ভাগ কাজ শেষ হবে।
যেসব পণ্যের পসরা বসবে: ইপিবি সূত্র জানায়, অন্যান্য বছরের মতোই এবছরও মেলায় থাকছে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ফার্নিচার শিল্প পণ্য, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, কার্পেট, পাট ও পাটজাত পণ্য, টায়ার টিউব সামগ্রী, গৃহস্থালি ও উপহার সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকের তৈজসপত্র, প্লস্টিক পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধন সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও আসবাবপত্রের স্টল, পটারি শিল্প (কাপরের ফুল)। ক্রেতাদের জন্য খাবারের দোকান থাকবে। মেলায় নিয়ে আসা পণ্যের মান যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য মনিটরিংয়ের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা থাকবে।
(সারাবাংলা/জেজে/জেএএম/)