December 26, 2017 | 1:09 pm
সারাবাংলা ডেস্ক
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে একটু দেরি করে স্কোরকার্ড দেখলে চমকে ওঠার কথা। ৯ রান তুলতেই ৫ জন ব্যাটসম্যান নেই! ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোরই তখন চোখরাঙানি দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা আর হয়নি, ধুঁকতে ধুঁকতে ৯৯ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ২৩ ওভারের ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত ৬৬ রানে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। ৩-০ ব্যবধানেই ধবলধোলাই করেছে নিউজিল্যান্ড, বছরের শেষটা হলো দাপুটে জয় দিয়েই।
বৃষ্টির জন্য খেলাটা নেমে এসেছিল ২৩ ওভারে। ওয়ানডে ম্যাচ তাই প্রায় টি-টোয়েন্টিই হয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। লক্ষ্যটা ২৩ ওভারের জন্য খুব বড় নয়, ১৬৬ রান। ক্রিস গেইল যখন ছিলেন, মোটেই অসম্ভব ছিল না তা। কিন্তু ম্যাট হেনরির প্রথম ওভারেই ফিরে গেছেন ক্রিস গেইল।
তখনও বোঝা যায়নি কী বিপর্যয় অপেক্ষা করছে সামনে। ট্রেন্ট বোল্টের পরের ওভারে ফিরে গেছেন শাই হোপ। হেনরির পরের ওভারে কাইল হোপ ফিরে গেলে ৭ রানেই ক্যারিবিয়রা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। কিন্তু দুঃস্বপ্ন ছিল। চতুর্থ ওভারেই জেসন মোহাম্মদ ও চ্যাডউইক ওয়ালটনকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন বোল্ট। ক্রাইস্টচার্চে বক্সিংডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন একের পর এক ঘুষি খেয়ে তখন ধরাশায়ী।
এরপর সেই লজ্জা থেকে বাঁচালেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও রভম্যান পাওয়েল। দুজন ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করলেন ৫১ রান, ২১ বলে ৩৪ রান করে হোল্ডার পালটা আক্রমণই করছিলেন। কিন্তু ৫৭ রানে পাওয়েলকে হারানোর পর ৬৪ রানের মধ্যে হোল্ডারকেও হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একটাই সান্ত্বনা, নিকিতা মিলার ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল শেষ জুটিতে আর বিচ্ছিন্ন হয়নি, অলআউট না হয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩ ওভার খেলেছে। স্যান্টনার ও বোল্ট নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট, দুইটি উইকেট পেয়েছেন ম্যাট হেনরি।
তার আগে বৃষ্টি বার বার হানা দিয়েছে ম্যাচে। ৩৩ ওভার থেকে ২৭ ওভার, শেষ পর্যন্ত ২৩ ওভারে নেমে এসেছে ম্যাচের আয়ু। নিউজিল্যান্ড শুরুতে অবশ্য হোঁচট খেয়েছে বেশ কবার, ২৬ রানের ভেতর হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। সেখান থেকে রস টেলরের ৪৭ রান পথ দেখিয়েছে তাদের। শেষ ৪ ওভারে ৪৮ রানে স্কোরটা শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১৩১। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬। কে জানত, সেটাই তাদের জন্য পাহাড়সম হয়ে যাবে!
সারাবাংলা/এএম