বিজ্ঞাপন

আবারও ক্ষমতায় এলে ফাইভজি সেবা নিশ্চিত করা হবে: জয়

July 25, 2018 | 12:52 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে ফাইভজি সেবা নিশ্চিত করা হবে। এটা আমি কথা দিচ্ছি।’

বুধবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে ‘বাংলাদেশ ফাইভজি সামিট-২০১৮’-তে ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

জয় বলেন, কম দামে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম। গত ৫ থেকে ৬ বছরে এ দেশের ইন্টারনেট খরচ ৯০ শতাংশ কমে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

‘একসময় ফোরজি স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এটি এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা’ দাবি করে জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করে যাচ্ছি, আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এটি। বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে মাত্র কয়েক বছরেই। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দেশ যারা কম দামে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। বাংলাদেশ এখন দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে, দেশের বাইরেও ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সক্ষমতা আছে।

এ কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ধারাবাহিকতায় সরকার এবার ফাইভজি সেবা চালু করার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়।

বিজ্ঞাপন

এ বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের চার মোবাইল অপারেটরকে ফোরজি সেবার লাইসেন্স দেওয়া হয় উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘চার মোবাইল ফোন অপারেটরকে ফোরজি সেবার লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে দেশে এ সেবার যাত্রা শুরু হয়। এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চগতির এই সেবা সুবিধা নিতে পারছেন গ্রাহকরা।’ যদিও লাইসেন্স নেওয়ার পর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি এই সেবা চালু করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক এই সেবা চালু করেনি।

ফাইভজি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ফাইভজি সেবা পরীক্ষামূলক চালু হওয়ার ফলে এখনই ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার করা যাবে না। আজকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফাইভজি’র পরীক্ষামূলক সংযোগ চালু হলো। এই সংযোগ শুধু ফাইভজি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করবেন।

এদিকে, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফাইভজি ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করবে, তা উপস্থাপন করা হয় অনুষ্ঠানে। তাতে দেখানো হয়, এই সেবার সুবাদে চালকবিহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, বিগ ডাটা ইন্টারনেট অব থিংস, স্মার্ট সিটি ও নেটওয়ার্ক তৈরিতে ফাইভজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফাইভজি’র সহায়তায় অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ডিজিটাল জীবনকে আরও বেশি উপভোগ করতে পারবে বলে এ সময় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।

ফাইভজি সেবার পরীক্ষামূলক উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিটিআরসির সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, রবির এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলিজস (বাংলাদেশ) লিডিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং জেং জুন ও হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ।

বিজ্ঞাপন

আজকে আমরা প্রমাণ করছি, পৃথিবী যেখানে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই প্রযুক্তির সঙ্গে যদি আমরা পরিচিত হতে না পরি, তাহলে আবারও হয়তো পিছিয়ে যাব। সে কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার অনুপ্রেরণায় আজকের দিনটি তৈরি করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন বিশ্বভিক্ষুকের দেশ কিংবা তলাবিহীন ঝুড়ির দেশের খেতাব নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই খেতাবের জায়গাটি এখন উল্টোপথে হাঁটছে। এই উল্টোপথে হাঁটা হলো— আমরা এখন পৃথিবীর বুকে ‘প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বলে আমাদের দেশকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। পৃথিবীর কাছে প্রকাশ করতে পেরেছি। বাংলাদেশের এই অব্যাহত যাত্রা সামনের দিকে যতভাবে এগিয়ে যাবে।

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন আর কোনো প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার দেশ নয়। এটি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে, সেই পথেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, মাত্র ফেব্রুয়ারিতে ফোরজি চালু হয়েছে; তাহলে আজকে কেন ফাইভজি সামিট? সেখানে একটাই উত্তর— আওয়ামী লীগ সময়ের চেয়ে আগে চিন্তা করে। বঙ্গবন্ধু অনেক দূরে দেখতে পেতেন। শেখ হাসিনাও সময়ের চেয়ে আগে চিন্তা করেন। সজীব ওয়াজেদ জয় সময়ের চেয়ে আগে পরিকল্পনা করেন।

তার প্রমাণ দিতেই সজীব ওয়াজেদ জয় ফাইভজি সামিটে উপস্থিত হয়েছেন মন্তব্য করে পলক বলেন, একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য একটি জাতির উন্নয়নের জন্য একজন সৎ দেশপ্রেমিক দূরদর্শী সাহসী নেতার প্রয়োজন। বাংলাদেশের একটি মাত্র দলই পারে দেশের মানুষকে  উপহার দিতে। সেই দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একজন নেতাই পারেন বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে, তিনি শেখ হাসিনা। তাই আসুন, আগামী নির্বাচনে দেশের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করতে, একটি মাদক জঙ্গিবাদ অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হই।

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন