বিজ্ঞাপন

‘নাগরিকত্ব তালিকার ফলে সমস্যায় পড়বে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ’

July 30, 2018 | 4:00 pm

।। কলকাতা থেকে, শুভজিত পুততুন্ড ।।

বিজ্ঞাপন

আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) তালিকা প্রকাশ হতেই ফের সরব হলেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার (৩০ জুলাই) ওই নাগরিক পঞ্জির দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ হতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণে সরব হলেন মমতা।

পশ্চিম বঙ্গের সচিবালয় ‘নবান্নে’ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানিয়েছেন, এনআরসি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। কারণ—ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশবাসীকে উদ্বাস্তু করে দিচ্ছে ৷ বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ না করলে এই ৪০ লাখ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ?

এ বিষয়েও প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, ‘আসামের একদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যদিকে বাংলাদেশের সীমানা লাগোয়া রয়েছে এটা খুবই উদ্বেগের। এই ঘাটনার ফলে বাংলা ও বাংলাদেশ দু দিকেই সমস্যার সূত্রপাত হবে। কেন্দ্রের উচিত ছিলো পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলা। এরা কেউ রোহিঙ্গা নয়। কেউ কেউ বাংলাদেশ গঠন হওয়ার পর থেকে রয়েছেন। ৭১-এ যারা এসেছিলেন তারা অফিসিয়ালি ভারতীয়। আজ দেশের মধ্যে থেকেই এরা রিফিউজি হয়ে গেলেন।’

বিজ্ঞাপন

যারা রিফিউজি হয়ে গেলো তারা আমার ভাই বোন উল্লেখ করে মমতা আরও বলেন, ‘আমি তাদের পাশে আছি। অাসামের ইস্যু সংসদে তুলবো। অাসামে সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠাবো, প্রয়োজনে নিজে যাবো। মানবতা ও আগুন নিয়ে খেলবেন না।’

‘অনেক পরিবার তো চার-পাঁচ বছর ধরে অাসামে বাস করছে। এনঅরসি-র খসড়া প্রকাশ করে বাঙালি খেদাও চলছে। ভোটের দিকে তাকিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আমরা অাসাম বাসীর সঙ্গে আছি। ওখানে ইচ্ছা করে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়ছে’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

পাশাপাশি সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় তৃনমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্যরা রীতিমতো হইচই শুরু করে দেন। তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংসদে এসে ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলিটিক্যাল অ্যাডভাইসর এইচটি ইমাম তার ভারত সফরকালে স্পষ্ট জানিয়ে দেন এনআরসি ভারতের নিজের অভ্যন্তরীন ইস্যু। এতে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।

এনআরসি নিয়ে চলমান সমস্যার মধ্যেই চলতি সপ্তাহে আসাম জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে ৫২জনকে আটক করা হয়। ৫২ বাংলাদেশিকে ‘কনভিকটেড ফরেনার’-এর তালিকায় ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ, ৫২ জনের কেউই ভারতীয় নাগরিক হওয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। তখনই ৫২ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ভারতে থাকার মামলা দায়ের হয়। সেনা ক্যাম্পে আটক করে ৫২ জনকেই সোমবার দুপুরের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের সীমানায় ৷

সারাবাংলা/এসপি/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন