July 31, 2018 | 5:00 pm
রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
হুম। শুটিংয়ের কাজে বালিতে যাওয়া। দু’টি ধারাবাহিক, একটি টেলিছবি এবং একটি একক নাটকের শুটিং করেছি। ঈদ অনুষ্ঠানমালায় টেলিভিশনে এগুলো প্রচারিত হবে।
বেশ কিছু নাটকে কাজ করছি। এখন কিছু নাটকের শুটিং চলছে। ইতোমধ্যে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘শোক হোক শক্তি’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’ উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে ইমরাউল রাফাতের ‘গোপনে’, সাজিন আহমেদ বাবুর ‘কিড সোলায়মান ২’ নাটকে অভিনয় করেছি। এবার চার-পাঁচটি ধারাবাহিকে আমাকে দেখা যাবে। এছাড়া সিনেমাওয়ালা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের শর্টফিল্মে অভিনয় করেছি। সামনে আরও কিছু কাজ করার কথা চলছে।
আমি অবশ্যই অভিনয়ের ক্ষেত্রে মানে বিশ্বাসী। আগের বেশকিছু নাটক এখন প্রচার হওয়ার কারনে ইদানিং বেশি বেশি দেখা যাচ্ছে। আমি কাজের বেলায় বরাবরই খুঁত খুঁতে। স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে চাই না। বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। যতদিন অভিনয় করবো ততদিন এভাবে কাজ করে যাবো। মানসম্পন্ন কাজ আমাকে দর্শকদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা সবগুলো নারী চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছা করে। নির্দিষ্ট একটি চরিত্রের নাম বলে অন্য চরিত্রকে ছোট করতে চাই না। আমার অভিনয় জীবনে তার সৃষ্ট কোন নারী চরিত্রে অভিনয় করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
আমি আমার কথা বলতে পারি। এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে এসব নিয়ে অভিযোগ কিংবা অনুযোগ করেনি। আমি খুব ডাউন টু আর্থ থাকতে পছন্দ করি। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড থিয়েটার না। আমি অগ্রজদের কাছ থেকে অভিনয় শিখেছি। শুধু অভিনয় নয় আদব-কায়দাও শিখেছি। সে কারণে আমি আমার অগ্রজদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই যে, গতকাল আমি কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন আফরান নিশো, নুসরাত ইমরোজ তিশা কাজ বন্ধ করে আধাঘন্টা সেবা করে সুস্থ করে তুলেছে। এগুলো কিন্তু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এরকম ব্যবহার আমিও আমার অনুজদের সাথে করি।
চলচ্চিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। তবে পছন্দের কোন গল্প পাচ্ছি না। আমার কাছে যেসব গল্পগুলো আসছে সেগুলো পড়ে আমার মনে হয়নি যে ছবিটি করা উচিত। ভালো গল্পের অপেক্ষায় আছি।
সামাজিক ঘরানার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী। যেসব ছবি আমি আমার পরিবার নিয়ে দেখতে পারবো। বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করার প্রস্তাব পাচ্ছি। এ ধরনের ছবিতে অভিনয় করতে আমি এখনও নিজেকে প্রস্তুত মনে করছি না।
সময় পেলে কবিতা লিখি। আমার কবিতার ডায়েরিটা আস্তে আস্তে ভরে উঠছে। বই আকারে বের করার মতো এখনও সাহস জন্মায়নি। তবে আত্মবিশ্বাস পেলে হয়তো বই বের করতে পারি। সেজন্য সময়ের প্রয়োজন।
বিয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে হচ্ছে। পরিবার থেকে ছেলে খোঁজা হচ্ছে। মনের মতো ছেলে পেয়ে গেলে এ বছরই বিয়ে করতে পারি। নতুবা দুই বছর পর করতে পারি। জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তো সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করে।
অনেকে মনে করে আমি অনেক মুডি, অহংকারি। আসলে আমি অহংকারি নই। ব্যক্তি হিসেবে আমি যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ। মানুষ আমাকে অপছন্দ করতেই পারে কিন্তু আমি কাউকে শত্রু মনে করিনা। একজন বন্ধু, সহকর্মী হিসেবে আমি সহযোগিতা পরায়ন।
ছবি সংগ্রহ : ফেসবুক
সারাবাংলা/আরএসও/এএসজি/পিএম