বিজ্ঞাপন

আন্দোলনের সুযোগ নিচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

August 1, 2018 | 3:19 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বুধবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, জনদূর্ভোগ নিরসনসহ সার্বিক বিষয়ে দ্রুত সমাধান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এক বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এতে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঁঙ্গা, পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার সোহেল, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম আলী খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, গত ২৯ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩০৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের গাড়িসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আটটি গাড়ি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই কাজ করতে পারে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই কাজ করেছে।

শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই তিনি তাদের ক্লাস রুমে ফিরে গিয়ে পড়াশোনায় মন দিতে অনুরোধ করেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘অনুরোধ করবো তারা যেন অবরোধ তুলে ক্লাসে ফিরে যায়। পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়। জোর গলায় বলছি দোষীদের সর্বোচ্চ শান্তি যেন হয় সেই ব্যবস্থা নেবে সরকার। আর তারা (শিক্ষার্থীরা) যে বিভিন্নভাবে আমাদের কাছে দাবি পৌঁছেছে, আমরা সবই মেনে নিয়েছি। সবই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোক্রমেই লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেসবিহীন, রুট পারমিট বিহীন কোনো গাড়ি শহরে চলতে দেবো না।’

‘ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান করবো তোমাদের জন্য বার্তা দেশের কাছে পৌঁছেছে। আমরাও ব্যাথিত। আমরা অনুরোধ করবো তোমাদের দাবি সবই মানা হয়েছে। যারা অন্যায় করেছে তাদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের ছাত্রদের অুনরোধ করুন তারা যেন ক্লাসে ফিরে আসে। কারণ এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সারা শহর অচল হয়ে পড়েছে। এটা কারোরই কাম্য নয়। কাজেই আমরা মনে করি প্রিয় ছাত্রছাত্রছাত্রী ভাইরা অবরোধ তুলে নেবেন’, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

দেশব্যাপী বাস ট্রাক টার্মিনালের স্টার্টিং পয়েন্টে গাড়ি বের হওয়ার সময় ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিকমতো আছে কি না তা মালিক সমিতি পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এছাড়া সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এসব তদরকি করবে। ।

ট্রাফিক আইন মেনে চলতে পথচারীদের প্রতিও আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, শ্রমিক এবং গাড়ির চালকদের সচেতন করতে বিভিন্ন সচেতনামূলক কাজ করবে মালিক সমিতি। করেত তারা বিভিন্ন ব্যবস্থা নেবেন। কোনো চালক প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনো মালিক যদি প্রভাব খাটিয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা জানতে চান, অনেক সময় ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটক করা হলে প্রভাবশালী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বা অন্যদের কাছ থেকে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া জন্য অনুরোধ জানিয়ে টেলিফোন আসে। সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। এই ধরনের ফোন এখন আর করে লাভ নেই। এটা আগে হতো, আর হবে না। আপনারা জেলখানার দিকে তাকালেই তো বুঝবেন যে আইন সবার জন্য সমান।’

বৈঠক শেষে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা সারাবাংলাকে বলেন, মালিকপক্ষও স্বীকার করে নিয়েছে যে শ্রমিকদের কারণে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিনে ৩০০’র বেশি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। যানজট ও ফিটনেসবিহীন গাড়িমুক্ত একটি ঢাকা আগামী এক মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন