বিজ্ঞাপন

জাবালে নূর বাস চালকের ৭ দিনের রিমান্ড

August 1, 2018 | 4:23 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাসের চাপায় মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি জাবালে নূরের একটি বাসের চালক মাসুম বিল্লাহর (৩০) সাত দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (০১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম মামলাটির সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৭ দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

তবে আদালতে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিল না।

এর আগে গত মঙ্গলবার একই মামলায় জড়িত চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-১১-৯২৯৭ এর অজ্ঞাত চালক, আরও অজ্ঞাতনামা জাবালে নূর পরিবহনের কয়েকটি বাসের সাথে বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালিয়ে হোটেল রেডিসনের বিপরীত পাশে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের পাশে বাসে ওঠার অপেক্ষায় থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্র ছাত্রীর উপর গাড়ীটি উঠিয়ে গুরুতর আহত করে চালক পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়।

এছাড়া আরও কয়েকজন বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সিএমএইচসহ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থায়ী তদন্তে জানা যায়, উক্ত বাসের অজ্ঞাতনামা চালক জাবলে নূর পরিবহনের বাস যার রেজিস্ট্রেটশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৭৫৮০, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৬৫৭সহ আরো কয়েকটি অজ্ঞাতনামা বাসের চালকগণ হেল্পারদের প্রত্যেকের উপস্থিতি ও উস্কানিতে প্রতিযোগীতামূলক ভাবে বেপরোয়ানা ও দ্রুত গতিতে বাসগুলো চালিয়ে আসায় ঘাতক বাস ছাত্র ছাত্রীদের উপর উঠিয়ে দেয়। প্রতিযোগীতায় লিপ্ত বাসগুলোর মধ্যে ৪ জন চালক ও হেল্পারদের নাম প্রাপ্ত হয়ে তাদের রাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ঘাতক বাসের চালকসহ প্রতিযোগীতায় থাকা অজ্ঞাতনামা চালক ও হেল্পার এখনো পলাতক রয়েছে। এর মধ্যে ঘাতক বাস ঢাকা মেট্টো-১১-৯২৯৭ ও ঢাকা মেট্টো গ-১১-৭৫৮০ জব্দ করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনা নিয়ে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক উত্তপ্ত রয়েছে। উক্ত কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ঘাতক বাস চালক ও তাদের সহকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে অন্দোলন করে আসছে।

ওই ঘটনায় গত রোববার দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বর ৩৩।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এসএমএন

 

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন