বিজ্ঞাপন

সৈকত নিখোঁজ : জিডি নিয়েছে পুলিশ 

December 27, 2017 | 7:07 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ব্রাক ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নাইমুল ইসলাম সৈকত নিখোঁজের একদিন পর অবশেষে জিডি নিয়েছে পুলিশ। তবে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো কেউ মুক্তিপণ চাননি।

সৈকতের কোন খোঁজ না মেলায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। তেজগাঁও থানার শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ জিডি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, ব্রাক ব্যাংকের হেড অফিস তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় হওয়ায় ব্যাংকের লোকজন এই থানায় এসে জিডি করেছেন। জিডি নম্বর-১১৪৩। তেজগাঁও থানার এসআই বারেক নিখোঁজের এ ঘটনাটি তদন্ত করবেন। এরই মধ্যে সৈকতকে উদ্ধারে এসআই তারেক মাঠে নেমেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার সন্ধ্যায় সৈকতের ভায়রা ভাই (স্ত্রীর ছোটবোনের জামাই) জামাল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, একদিন ঘোরার পর পুলিশ জিডি নিয়েছে। ২৪ ঘণ্টাতেও কেউ মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেননি। তাকে অপহরণ করা হলে তো মুক্তিপণ চাইতো কিন্তু তা এখনো কেউ করেনি। তবে সৈকতের কোনো খোঁজ না মেলায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছে। পরিবারের লোকজনকে সন্ধ্যায় পুলিশ আবারও ডেকেছেন বলে জানান তিনি।

সৈকতের ভায়রা ভাই জামাল উদ্দিন বুধবার সকালে সারাবাংলার কাছে অভিযোগ করে বলেন, সৈকত ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে চাকরি করেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর ২০১৭) সকালে যথারীতি অফিসে যান। দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে তার স্ত্রী তন্বী সৈকতের সাথে কথা বলেন। তখন তিনি জানান যে তিনি গুলশান হেড অফিসে আছেন। গতকাল তার কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল ৪টার দিকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘণ্টা দুয়েক তাকে না পেয়ে মতিঝিলে ট্র্যাকিং করে জানা যায়, তার সর্বশেষ অবস্থান ছিল সোয়া দুইটায় নিকেতনে। এরপর তার আর কোন অবস্থান পাওয়া যায়নি।

ভায়রাভাই জামাল উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল রাতে গুলশান থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জানায় যে এলাকায় কর্মস্থল সেই এলাকার থানায় জিডি করতে। সৈকতের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি রাত ১২ টার দিকে আদাবর থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ সেখানেও জিডি না নিয়ে ফেরত পাঠান। এরপর আর রাতে কোথাও না গিয়ে বুধবার সকালে স্ত্রীসহ শ্বশুর শাশুড়ি আবার গুলশান থানায় গেছেন।

বিজ্ঞাপন

সৈকতের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। কিছুদিন হলো তার বিয়ে হয়েছে। ঢাকার মিরপুর-২ এলাকায় ভাড়াবাসায় স্ত্রীসহ থাকতেন। তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করে দেড় বছর হলো ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরি করছেন।

সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন