August 4, 2018 | 1:08 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
মাহিয়া মাহি মিশরীয় নারী, তাসকিন আহমেদ ইসরায়েলি গুপ্তচর। দুজনেই বাংলাদেশে এসেছেন একটি গোপন মিশনে। আর তাদের এই মিশনে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশি সিআইডি অফিসার আসিফ। মোটা দাগে বললে এটিই হতে যাচ্ছে সৈকত নাসিরের পরের সিনেমা ‘ভিআইপি’র গল্প।
তবে গল্পটা যতটা সহজে বলা হয়ে গেলো, ততটা সহজ সমীকরণে সেটা পর্দায় দেখাবেন না পরিচালক। সৈকত নাসির জানিয়েছেন, ভিআইপি সিনেমার পরতে পরতে থাকবে রহস্য আর রোমান্স।
নানা কারণেই সমসাময়িক বাংলা চলচ্চিত্রে ভিআইপি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা। এই ছবিতে প্রথমবারের মতো নায়ক হচ্ছেন ‘গায়ক’ আসিফ। এছাড়া এই ছবির মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো একটি ইসরায়েলি চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত হবে বাংলা ছবির দর্শকেরা। জায়নবাদী এ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ইসরায়েল সম্পর্কে জানার সুযোগ খুবই কম।
সারাবাংলাকে সৈকত নাসির বলেছেন, ‘দর্শকদেরকে চমৎকার একটি সিনেমা দেখাতে চাচ্ছি। এই সিনেমায় দেখানো রহস্য, হবে বৈশ্বিক। আমি গল্পের ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে। আগের যে কয়টা সিনেমা সিনেমা বানিয়েছি, সব কটির গল্প সাজাতেই বেশি সময় গেছে। এবারও তাই। তবে এবারের গল্পটা আগেরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।’
সৈকত নাসির ‘দেশা : দ্য লিডার’ ও ‘পাষাণ’-এর মতো সিনেমার নির্মাতা। তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার বাইরে এই প্রথম ছবি করতে যাচ্ছেন তিনি। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তের কি কারণ? নাসির বললেন, ‘ওই যে বললাম গল্পের ব্যাপারে আমি খুঁতখুঁতে। নৈতিক জায়গা থেকে অনেকের অনেক পরামর্শ আমি সহজভাবে নিতে পারি না। ইচ্ছে করে না। এজন্য সরে দাঁড়িয়েছি।’
ভিআইপি প্রযোজনা করছে আরএমভি। অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী ছবিটির গল্প ও চিত্রনাট্য করছেন আসাদ জামান এবং সৈকত নাসির। ছবি নির্মাণের পূর্বপ্রস্তুতি বলতে গেলে শেষ। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদুল আজহার দিন বিশেক পর দলবল নিয়ে দৃশ্যধারণ করতে রওনা হবেন সৈকত নাসির।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম