বিজ্ঞাপন

এখনও ৩৩ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের বাইরে

August 7, 2018 | 12:21 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বর্তমানে কফে জীবাণুযুক্ত যক্ষ্মারোগী শনাক্তকরণের হার প্রতি এক লাখে ৮৬ জন। ২০১৭ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৪৪ হাজর ২০১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং চিকিৎসার আওতায় এসেছে। চিকিৎসার সফলতার হার শতকরা ৯৫ ভাগ। কিন্তু বাকি ৩৩ শতাংশ রোগী এখনও শনাক্তের বাইরে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ।

সোমবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাফল্য ও প্রতিবন্ধকতা: আসন্ন জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের সভায় জাতীয় অঙ্গীকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সুপারিশও তুলে ধরেন। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, দৈনিক ইত্তেফাক ও ব্র্যাক যৌথভাবে এ  গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. রুপালী শিশির বানু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সরদার মুনিম ইবনে মহসিন।

বিজ্ঞাপন

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ যক্ষ্মারোগে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ এবং নতুনভাবে শনাক্ত করা যক্ষ্মারোগীর হার ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যায় শীর্ষ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।

দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আসিফুর রহমান সাগরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম, ন্যাশনাল অ্যান্টি টিউবারকিউলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নাটাব) প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস, ওয়াশ ও ডিএমসিসি কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামগ্রিকভাবে যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এলেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শনাক্ত না হওয়া, যক্ষ্মা রোগী সেবার আওতায় না আসা, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব, নগরে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ, তৃণমূল পর্যায়ে সর্বাধুনিক ডায়াগনস্টিক ব্যবস্থার সুযোগ না থাকা, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রাইভেট চিকিৎসকদের কম সম্পৃক্ততা থাকা, যক্ষ্মা শনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক না হওয়া।

গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- সরকারের পাশাপাশি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত বেসরকারি সংস্থাগুলোর ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা, রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়া, এ সম্পর্কিত আচরণবিধি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে জনসাধারণের মাঝে আরও প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া, মানসম্মত ওষুধ নিশ্চিত করা, চিকিৎসার জন্য স্বতন্ত্র এমডিআর হাপাতালের ব্যবস্থা করা, শিশু যক্ষ্মা সনাক্তকরণে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া।

সারাবাংলা/জেএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন