বিজ্ঞাপন

‘শনিবারের আগে হামলাকারীরা চিহ্নিত না হলে বৃহত্তর আন্দোলন’

August 9, 2018 | 5:38 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একাধিক গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

ডিআরইউ’র সামনে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বলা হয়েছে, আগামী শনিবারের (১১ আগস্ট) আগে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীরা চিহ্নিত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে গোটা সাংবাদিক সমাজ।

ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভ’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ একাধিক সাংবাদিক নেতা বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি এবং সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

ডিআরইউ’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তথ্য সংগ্রহ করার সময় ডিআরইউ’র সদস্যসহ একাধিক গণমাধ্যমকর্মী নির্যাতন, হামলা ও নিপীড়নের শিকার হন। ওই সময় কারা সাংবাদিক নির্যাতন করেছে তা স্পষ্ট। ঘটনাস্থলে পুলিশও ছিল, তারাও দেখেছে কারা নির্যাতন করেছে। এ ছাড়া নির্যাতনের একাধিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাই সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের চিহ্নিত করা কঠিন কাজ নয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী শনিবারের আগে সাংবাদিক নির্যাতনের জন্য যারা জড়িত, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে গোটা সাংবাদিক সমাজ একত্রিত হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় গত বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) উত্তরা জসিম উদ্দিন এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন সারাবাংলা‘র সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট উজ্জল জিসান। গত শনিবার (৪ আগস্ট) মোহনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হোসেন পিন্নু ও বাংলাভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সানজিদ আহমেদকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। গত রোববার (৫ আগস্ট) মিরপুরে কতিপয় তরুণ সারাবাংলা’র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট গোলাম সামদানীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। এ ছাড়া সায়েন্স ল্যাবরেটরি, জিগাতলা ও ধানমন্ডি এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার একাধিক সাংবাদিক হামলার শিকার হন। তাদের অনেকের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

সর্বশেষ অনুযায়ী, আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেলের প্রায় ২৪ জন সংবাদকর্মী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারাত্মক মারধরের শিকার হন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপি’র একজন আলোকচিত্রী ও একজন ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) আলোকচিত্রী এম এ আহাদ, দৈনিক বণিক বার্তার পলাশ শিকদার, নিউজ পোর্টাল বিডি মর্নিংয়ের আবু সুফিয়ান জুয়েল, দৈনিক জনকণ্ঠের জাওয়াদ, দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ ফটোগ্রাফার সাজিদ হোসেন ও প্রতিবেদক আহম্মেদ দীপ্ত। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার রাহাত করীম, এনামুল হাসান, মারজুক হাসান, হাসান জুবায়ের ও এন কায়ের হাসিনের ওপরও হামলা হয়েছে।

ঘটনার বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায়, সাংবাদিকদের ওপর হামলার সময় উপস্থিত থাকলেও পুলিশ তাদের সুরক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/এএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন