বিজ্ঞাপন

গুজব সৃষ্টিকারীদের সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

August 12, 2018 | 12:10 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আর যাই হোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারীদের সহ্য করা হবে না।

শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের কাছে আন্ডারপাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি আন্ডারপাসের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন।

গত ২৯ জুলাই জাবাল-ই-নূর পরিবহনের একটি বাস একই কোম্পানির আরেকটি বাসের সঙ্গে যাত্রী উঠা-নামা নিয়ে প্রতিযোগিতাকালে ধাক্কায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম এবং আবদুল করিম রাজীব ঘটনাস্থলে নিহত হয়। প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রতি পরিবারকে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেন। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পাঁচটি বাসও হস্তান্তর করেন।

বিজ্ঞাপন

দুর্ঘটনা ঘটার পর শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ করার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হোক, সেটা আমি চাইনি। আমি জানি, অনেকে অস্থির হয়ে যাচ্ছিল। তারপরও আমরা এটা চেয়েছি। শিক্ষার্থীরা দুইটা দিন রাস্তায় ছিল। আমি সবসময় চিন্তিত ছিলাম কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে!

শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দুইটা দিন তাদের নিরাপত্তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু তৃতীয় দিনের পর যখন দেখলাম, অবাক লাগল। নিচে অন্য শার্ট। রাস্তার দাঁড়িয়ে সেই শার্ট পরিবর্তন করছে। অথবা সবাই স্কুল ড্রেস পরে ছাত্র হয়ে যাচ্ছে। যখন দেখলাম শিক্ষার্থীদের ব্যাগের ভেতর থেকে দা, চাইনিজ কুড়াল, পাথর নানা ধরনের জিনিসপত্র বের হচ্ছে? তাহলে এরা কারা? এরা তো স্কুল ছাত্র হতে পারে না। তাই তখনই আমি খুব চিন্তিত হয়ে পড়লাম এবং পরেরদিন সকালে একটা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তখনই আমি আহ্বান করলাম, তোমরা এখন ঘরে ফিরে যাও। শিক্ষক অভিভাবকদের আহ্বান করলাম, আপনারা আপনাদের সন্তানদের ঘরে ফিরে নেন কারণ এর মধ্যে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে। যেকোনো সময় ছাত্রছাত্রীদের একটা ক্ষতি করে তারা হয়ত তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে। যেটা চরম জঘন্য কাজ। এজন্য সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এই ছাত্রনামধারী যারা এসে ঢুকল? অনুপ্রবেশকারী তাদের উদ্দেশ্যে তো খুব খারাপ ছিল? তারা তো এমন একটা কিছু করতে চেয়েছিল? এবং কোনো কোনো মহল ফেসবুকে, সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ছড়াতে শুরু করল। আওয়ামী লীগ অফিসে নাকি মেয়েদের লাশ রেখে দেওয়া হয়েছে? ২৫ সাধারণ শিক্ষার্থীকে আমাদের ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা তাদেরকে নিয়ে গেল, তোমরা নিজেরা ঘুরে দেখো কোথায় লাশ রাখা হয়েছে। তারা সমস্ত অফিস ঘুরে দেখল? দেখে বলে নাই, তাহলে এ গুজবে কেন কান দিলা তোমরা? এই গুজবটা কারা ছড়াল?

বিজ্ঞাপন

ছাত্রছাত্রীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাঙালিরা একটু গুজবে মাতি। কিন্তু কেউ গুজবে কান দেবেন না। আর সোশ্যাল মিডিয়া। ডিজিটাল বাংলাদেশ তো আমিই করে দিয়েছি। সকলের হাতে এখন মোবাইল ফোন। আধুনিক প্রযুক্তি ফোর-জি এসে গেছে। কিন্তু এই যে প্রযুক্তি ব্যবহার মিথ্যা কথা বলে, গুজব ছড়িয়ে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা? এমন কি অনেক বয়স্ক লোকও এসবের সঙ্গে জড়িত। এমন এমন লোক আছে যাদের ভাল কাজের জন্য একসময় পুরস্কার দিয়েছি। অথচ তারাই যখন এই ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করল, আর যাই হোক এইগুলো তো কখনো সহ্য করা যায় না।

তাই শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘কেউ দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। কেউ বললো, আপনার কান চিলে নিয়ে গেছে, আপনি চিলের পিছনে ছুটবেন, সেটা যেন না হয় আগে কানে হাতটা দিয়ে দেখেন, আছে কি না?

ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি সুশিক্ষার জন্য, আধুনিক শিক্ষার জন্য অশ্লীল কথা, মিথ্যা কথা গুজব এসবের জন্য না। কাজেই এর থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সারাবাংলা/এনআর/একে

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

দায়ী চালকদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন