বিজ্ঞাপন

জামিন হয়নি হল মার্কের জেসমিনের, চিকিৎসার নির্দেশ

August 14, 2018 | 7:53 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় হল মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে জামিন না দিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তার মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপনের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এ আমিন উদ্দিন। এ মামলায় দুদকের আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

বিজ্ঞাপন

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, জেসমিন ইসলাম জামিন পাননি। তবে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পদক্ষেপ নিতে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এ আমিন উদ্দিন জানান, গত ১৭ জুলাই জামিন নিয়ে রুল শুনানির সময় তার আইনজীবী জানান জেসমিন ইসলাম অসুস্থ। পরে হাইকোর্ট কাশিমপুর কারাকর্তৃপক্ষের কাছে দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মেডিকেল রিপোর্ট চান। কাশিমপুর কারাগারের চিকিৎসক গত ২ আগস্ট একটি মেডিকেল প্রতিবেদন দেয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসমিন ইসলামের হাইফারটেনশন, কার্ডিওলজী, গাইনী ও সাইকোলজীক্যালসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত, তাকে ইতোমধ্যে তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করানো হয়েছে। আদালত এ রিপোর্ট দেখে জামিন না দিয়ে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন।

ওই দিন বিকালে তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল মার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও আমদানি-রপ্তানির ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। ওই সব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়। সোনালী ব্যাংক থেকে ওই কাগজপত্রের বিপরীতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে বিলের সমপরিমাণ মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়, যা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এসব অভিযোগে জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারিক আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট একই বছরের ৫ নভেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গত ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন